হলুদের রাজ্যে আমরা
দীর্ঘদিন হলো পরিবার নিয়ে তেমন কোন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া হয় না। হয়তো সেটা ব্যস্ততার কারণে নতুবা যে জায়গাগুলোতে যাওয়ার ইচ্ছে জাগে সেগুলো বাসা থেকে অনেক দূরে। গত কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে আমাদের এলাকার বাইগুনী গ্রামের, সরিষার ক্ষেতের ছবি প্রতিনিয়ত চোখে আসছিল।
ভিডিও লিংক
কেননা ইংলিশ নিউজপেপার ডেইলি স্টারে এই বাইগুনী গ্রামের সরিষা ক্ষেতের সৌন্দর্য ইতিমধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। একটা প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে। যেহেতু নিউজপেপারে ব্যাপারটি প্রকাশ পেয়েছে, তাই মোটামুটি এলাকার লোকজনের ভিতরে জায়গাটি দর্শন করার জন্য বেশ আগ্রহ বেড়ে গিয়েছে।
গোবিন্দগন্জ শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে শালমারা ইউনিয়নের বাইগুনী গ্রামে অবস্থিত এই বিস্তর সরিষা ক্ষেতের বাগান। মানে আপনার যতদূর চোখ যাবে ততদূর শুধু হলুদ লাগবে। মানে এখানে একত্রে দুইশো থেকে তিনশো বিঘা জমিতে শুধু সরিষার চাষ হয়। যদিও আগে এটা বিল ছিল, যার কারনে হঠাৎই এবছরের বন্যাতে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছিল সরিষার চাষ। তারপরেও এখনো যা আছে, তা একদম দেখার মত।
গতকাল দুপুরবেলা একটা ছোট সিএনজি নিয়ে, আমরা পরিবারের সবাই মিলে চলে গিয়েছিলাম সেই স্থানে। মোটামুটি যেহেতু অচেনা জায়গা, বেশ ভালই বেগ পেতে হয়েছিল যেতে, তবে গুগল ম্যাপের সহযোগিতা নিয়ে অবশেষে পৌঁছে গিয়েছিলাম সেই প্রান্তিক অঞ্চলে।
এই যে শীতের দিনে পড়ন্ত বেলায় এত কষ্ট করে সেখানে গিয়েছে, গিয়ে যখন এমন সুন্দর নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দুচোখ ভরে উপভোগ করলাম তখন যেন অনেকটাই প্রশান্তি পাচ্ছিলাম। পরিবারের সবাই বেশ খুশি হয়ে গিয়েছিল, তারা নিজেরা নিজেদের মতো করে সময় কাটাচ্ছিল। আমাদের মত অনেক ভ্রমণ পিপাসু লোকজন সেখানে ইতিমধ্যেই বেড়াতে এসেছে।
আসলে শহুরে লোকজনের কাছে এটা যেন অনেকটাই স্বর্গীয় ছোঁয়া। এত খোলামেলা পরিবেশে দীর্ঘ জায়গা জুড়ে যে সরিষার চাষ হয়েছে এবং মোটামুটি হলুদের যে রাজ্য তৈরি হয়ে গিয়েছে, তা একদম চোখ জুড়ানোর মতো। চেষ্টা করেছি জমির পাশের আইল দিয়ে এদিক সেদিক হাঁটাহাঁটি করার জন্য, কোন অবস্থাতেই যেন সরিষার ক্ষতি না হয় সেটা কিন্তু আমরা প্রচুরভাবে নজরে রেখেছিলাম। তবে অনেকেই যারা বেড়াতে এসেছিল, এই ব্যাপারটাতে তারা অসতর্ক ছিল।
তারপরেও জমির মালিকরা ব্যক্তি উদ্যোগে বারবার বলার চেষ্টা করছিল, আপনারা এখানে ঘুরুন, সময় কাটান, কোন সমস্যা নেই, তবে কোন অবস্থাতেই সরিষার ক্ষেতের যেন ক্ষতিসাধন না হয় সেটা কিন্তু লক্ষ্য রাখবেন। এইযে গতকাল পরিবার নিয়ে অল্প সময়ের জন্য চলে গিয়েছিলাম ২৫ কিলোমিটার দূরে সেই প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে এবং গিয়ে যখন এমন সৌন্দর্য উপভোগ করে আসলাম, তখন যেন শুধু আমার একার ভিতরে না বরং পরিবারের সকলের ভিতরেই বাড়তি আনন্দ কাজ করেছিল। তারাও বেশ হাসিখুশি ছিল। একজন পরিবারের কর্তা হিসেবে, তাদের মুখের এই প্রাণবন্ত হাসিই, আমার কাছে সফলতার প্রাপ্তি।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1742835133579948451?t=gn-dzE3A3yU_fKjtf03V_A&s=19
বাহ্ ভাই পরিবার নিয়ে হলুদের রাজ্যে বেড়াতে গিয়েছেন দেখতে অনেক ভালো লাগছে। ২০০ থেকে ৩০০ বিঘার উপর সরিষা চাষ করা মানে তো বিশাল ব্যাপার। দেখে মনে হচ্ছে পুরো এলাকাটায় হলুদ চাদরে মোড়ানো। অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাই। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে আসলেই অনেক বেশি ভালো লাগে।অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
মূলত এটা নদী অঞ্চলের পার্শ্ববর্তী এলাকা ভাই, তাই সেখানকার সব লোকজনই এই সময়ে সরিষা চাষ করে থাকে।
ইংলিশ নিউজপেপার ডেইলি স্টারে এই বাইগুনী গ্রামের সরিষা ক্ষেতের সৌন্দর্য ইতিমধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। একটা প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।আপনারা হলুদের রাজ্যে কিন্তুু সময়ের জন্য রাজা, রাণী হয়ে গিয়েছিলেন কিন্তুু ভাই কাপল ড্রসে।হলুদের মাঝে হলুদ পোষাকে দারুণ লাগছে আপনাদের কে।আসলে জমির মালিকেরা বলে কারণ অনেকে আছে আনন্দ উপভোগ করতে গিয়ে অনেক ক্ষতি করে বসে সরিষা ক্ষেতের।আপনি সরিষা ফুল দেখতে গিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন এবং সেই মূহুর্তের অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি আর কয়েকদিন এখানে থাকলে, আপনাদের সবাইকে নিয়েই ঘুরতে যেতাম, তবে তার আগেই তো চলে গেলেন।
ডেইলি স্টারে এই বাইগুনী গ্রামের সরিষা ক্ষেতের সৌন্দর্য তুলে ধরা হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। সরিষা ক্ষেতের অপরূপ সৌন্দর্য দেখে সত্যিই ভালো লেগেছে। তবে এটা একদম ঠিক সরিষা ক্ষেতের মালিকরা সবসময় সতর্ক করে দেন যাতে করে তাদের সরিষা ক্ষেতের কোন ক্ষতি না হয়ে যায়। আপনাদের সবার কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া।
আমার দৃষ্টিতেও তাই মনে হয়, সৌন্দর্য উপভোগ করতে কোন অসুবিধা নেই, তবে ফসলের যেন কোন ক্ষতি না হয়।
পুরো পরিবার এক ফ্রেমে বন্দী দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো। হলুদের রাজ্যে আপনাদের দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছে ভাইয়া। ভাবিকে এবং বাবুকে নিয়ে সরিষা খেতে বেশ সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন। এধরনের জায়গায় গেলে তো মন এমনিতেই অটোমেটিক ভালো হয়ে যাবে। আপনার পুরো পরিবারের জন্য শুভ কামনা রইল ❣️
আমি আপনার মতামতের কাছে, কৃতজ্ঞতাবোধ প্রকাশ করছি ভাই।
দেখে অনেক ভালো লাগলো পরিবেশটা খুব সুন্দর। হলুদের রাজ্য সেই সাথে হলুদের পোশাক সব মিলিয়ে একাকার হয়ে গেল। আপনাদের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে খুব রোমান্টিক মুহূর্ত ছিলেন। এমন পরিবেশে গেলে মনটা অনেক প্রশান্তিতে ভরে যাবে। অনেক সুন্দর একটি জায়গা বেছে নিলেন ঘুরতে যাওয়ার জন্য। অনেক ভালো লাগলো মুহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এটা সত্য মুহূর্তটা আসলেই বেশ রোমান্টিক ছিল আমাদের কাছে ।
ভাই আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে, কেনো ইংলিশ পত্রিকায় সেই গ্রামের সরিষা ক্ষেতের সৌন্দর্য জায়গা করে নিয়েছে। আসলে সরিষা ক্ষেত বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে। তবে দুইশো থেকে তিনশো বিঘা জমিতে সরিষার চাষ খুব কম জায়গায় করা হয়। সরিষা ক্ষেতের এমন সৌন্দর্য দেখে যেকোনো মানুষের মন ভরে যাবে। বাপ বেটা হলুদের রাজ্য দেখতে হলুদ পাঞ্জাবি পরিধান করেছেন এবং দু'জন একইরকম পাঞ্জাবি পরিধান করেছেন,এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাই। আসলে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে, মনটা আনন্দে ভরে যায়। সবমিলিয়ে দারুণ লেগেছে পোস্টটি। যাইহোক এমন মনোমুগ্ধকর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এটা একদম ঠিক বলেছেন ভাই, আসলেই পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে, যে কোন পরিবারের কর্তার খুব ভালো লাগে।
শীতকালীন ফসলের মধ্যে সরিষা অন্যতম। বাংলাদেশের প্রায় ফসলের জমি গুলোতে কম বেশি এই সরিষা ক্ষেত লক্ষ্য করা যায় এই সময়ে। তবে আপনাদের এলাক বাইগুনী গ্রামের সরিষা ক্ষেতের দৃশ্য ইংরেজি নিউজ পেপার উঠে গেছে জেনে সত্যি অবাক হলাম হাত দীর্ঘ ফসলের মাঠ শুধু সরিষা ক্ষেত তাহলে তো দেখতে বেশ দর্শনীয় স্থানের মত হয়ে উঠেছে। যাইহোক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পরিবার এর সবাই মিলে সিএনজি ভাড়া করে সেখানে গিয়েছেন এবং হলুদ ফুলের সাথে নিজেদের পোশাকের মেলবন্ধন রেখে কিছুটা সময় অতিবাহিত করেছেন ফটো আর ভিডিওর মাধ্যমে, দেখে বেশ ভালো লাগলো। এমন সুন্দর পরিবেশে মাঝেমধ্যে অবস্থান করা উচিত এতে মন ফ্রেশ থাকে।
সত্যি রীতিমতো অবাক হলাম যে ২৫ কিলো দূরে গিয়েছিলেন শুধুমাত্র সরিষা ফুলের মাঝে কি ছুটা সময় কাটানোর জন্য। এ থেকেই বোঝা যায় যে সরিষা ফুলের প্রতি রয়েছে আপনাদের অন্য রকমের ভালোবাসা এবং ভালোলাগা। ফ্যামিলির সকলে মিলে একত্রে সেখানে ছিলেন দেখে ভালো লাগলো অবশ্যই সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন সেই সাথে দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন, ভাবির কপালে চুমু এঁকে দেওয়ার দৃশ্যটা দেখেই বোঝা যায় যে ভালোবাসাটা মনের গভীর থেকেই উদয় হয়েছে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে সুন্দর মুহূর্ত টা শেয়ার করার জন্য।