হঠাৎই পুরনো বান্ধবীর সঙ্গে দেখা

in আমার বাংলা ব্লগlast month

1000025879.jpg
source

১৪ বছর পরে সেদিন আমার শৈশব জীবনের বান্ধবীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। মজার ব্যাপার হচ্ছে শুরুতে, আমি ওকে চিনতে পারিনি। চিনতে না পারার অবশ্য যথেষ্ট কারণ আছে, কেননা সময়ের পরিক্রমায় ওর চেহারায় বড্ড পরিবর্তন এসেছে।

এখন কি আর সেই স্কুল জীবনের মত ও আছে, যে আগের মতো দেখলেই ওকে মুহুর্তেই চিনতে পারব। ওর চেহারা এখন কত পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে, দীর্ঘ সময় ফুচকার দোকানে কেয়ার সঙ্গে একদম সামনাসামনি বসে ছিলাম, তবে তাও কেয়া কে চিনতেই পারিনি।

হঠাৎই যখন বিল দেওয়ার সময় একদম খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম, ঠিক তখনই দুজন দুজনের দিকে খানিকটা সময় চেয়েছিলাম, আমি তো সংকোচ কাটিয়ে অবশেষে ওকে বলার চেষ্টাই করলাম, আচ্ছা আমি যদি ভুল না করি, তাহলে তুমি আমার ছেলেবেলার বান্ধবী কেয়া।

অতঃপর উত্তর মিলল, সে আমাকে বলেই ফেলল, তুমি মনে হয় শুভ, যে আমাদের সঙ্গে মুক্তার মাস্টারের কাছে ইংরেজি প্রাইভেট পড়তে। আমি এবার হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ালাম, তখন ও আমাকে বলেই ফেলল তুই গোঁফ রেখেছিস আর চুল ছোট করেছিস সঙ্গে তোর ভুঁড়ি বেড়ে গিয়েছে, তোকে তো চেনাই যাচ্ছে না। আমি এবার ওকে বললাম, তোরও তো চেহারায় অনেক পরিবর্তন এসেছে, সঙ্গের দুজন কে।

ও এবার বলল, এটা তোর বড় ভাতিজা, ও ক্লাস সিক্সে পড়ে আর ঐটা তোর ছোট ভাতিজি, ও পড়ে ক্লাস ফোরে। অনেকটা সময় নিজের মতো করে হাসলাম, এবার আমি ওকে, আমার বাবুকে দেখিয়ে বললাম, এটা তোর ভাতিজা ,ওর বয়স আড়াই বছর।

মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার পরেই, কেয়া পারিবারিক কারণে খুব একটা পড়াশোনায় এগিয়ে যেতে পারিনি । তাই একটা সময়ের পরে, পরিবারের চাপেই ওকে বিয়ে করতে হয়েছিল, আমরা অবশ্য সেসময় ওর বিয়েতে গিয়েছিলাম স্কুলের বন্ধুরা মিলে। তবে, ঐ দেখাই শেষ দেখা ছিল, তারপরে তো দীর্ঘ ১৪ বছর পর আজ হঠাৎই দেখা।

এমনভাবে যে দেখা হবে, কেউ যেন কল্পনা করতে পারিনি। এই ব্যস্ত শহরের ফুচকার দোকানের ছোট টেবিলটাতে বসে পাশাপাশি দুজনই ফুচকা খেয়ে ছিলাম,তবুও কেউ কাউকে চিনতে পারিনি। অবশেষে যখন চিনেই ফেললাম, তখনো বড্ড দেরি হয়ে গেল।

যেহেতু ও মায়ের বাড়িতে এসেছে আর ওর বাচ্চারাও বেশ ভালোই অস্থির হয়ে গিয়েছিল বাড়ি ফেরার জন্য, তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই, আমাদের আলাপচারিতা বড্ড সংক্ষিপ্ত হল। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, এবার আর কেউ কাউকে ভুলে যাচ্ছি না, কেননা যেহেতু দুজনের হাতেই স্মার্টফোন ছিল, তাই সোশ্যাল মিডিয়ার আইডিতে মুহূর্তেই আমরা একে অপরের বন্ধু হয়ে গেলাম। এবার আর দূরে গেলেও, দূরে যাওয়ার কারো সুযোগ নেই, কেননা টুকটাক কথোপকথন সোশ্যাল মিডিয়াতে হয়েই যাবে। আর হয়তো এভাবেই পুরনো বন্ধুত্ব টিকে থাকবে আজীবন।

1000020537.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 last month 

দীর্ঘ ১৪ টা বছর পর কেয়া আপুর সাথে দেখা হয়ে গেল! হঠাৎ করে কোনো বান্ধবী বা বন্ধুর সাথে দেখ হয়ে গেলে ভালোই লাগে। কতোশত স্মৃতি মনে পরে যায়। কেয়া আপুর দুটো বাচ্চাও আছে! যাইহোক, সোস্যাল মিডিয়াতে কানেক্ট হয়ে ভালো করেছেন। এখন চাইলেই কথা বলা যাবে মাঝে মাঝে।

 last month 

সেদিনের পর থেকে বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে ওর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে, যেটা এর আগে কখনো সম্ভব হয়নি। সব মিলিয়ে দেখা হয়ে বেশ ভালোই হয়েছে।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last month 

১৪ বছর পর দেখা হল, প্রথম দেখাতে চিনতে না পারারই কথা। আসলেই স্কুলের পুরনো বন্ধু গুলোর সাথে দেখা হওয়ার অনুভূতিটাই অন্যরকম। পুরনো বন্ধুদের সাথে দেখা হলে মনে হয় যেন খুব কাছের কাউকে ফিরে পেলাম। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অবশ্য এখন এসব পুরনো বন্ধুত্ব টিকে থাকবে।

 last month 

এটা ঠিক বলেছেন আপু, জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সময়টাই অতিবাহিত হয়েছে স্কুল জীবনের বন্ধুদের সঙ্গে, তাদের কি আর চাইলেই ভোলা যায়।

 last month 

১৪ বছর পর দেখা সেই স্কুল জীবনের বান্ধবী। আপনার এই পোস্ট পড়ছিলাম আর আমিও ভাবছিলাম আমার এমন সব বান্ধবীদের কথা।যাদের সাথে হঠাৎ করে দেখা হলে কি এক ভালো লাগা আমার মনের মাঝে বিরাজ করবে।যাই হোক এতো বছর পর দুজন প্রথমে দুজনকে চিনতে না পারলেও পরে জেনে চিনে নিলেন।সময় সল্পতার কারনে আর কথা এখন না হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাড হয়ে নিয়ে অনেক বেশি কাছাকাছি থাকা যায়। আপনাদের বন্ধুত্ব অটুট থাকুক এই প্রত্যাশাই করি।ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।

 last month 

আপনার পুরনো বান্ধবীদের সঙ্গে আপনার দেখা হোক, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। এ অনুভূতি সত্যিই অন্য রকম আপু।

 last month 

ফুচকা খেতে গিয়ে পুরনো বান্ধবীর সাথে দেখা, এরকম ঘটনা তো সচরাচর দেখাই যায় না ভাই। যাইহোক এত বছর পরেও যে বান্ধবী কে চিনতে পেরেছেন এটাই তো অনেক বড় বিষয়। তাছাড়া আপনি যে সাহস করে কথা বলেছেন এটাও তো অনেকে পারেনা। এখন যেহেতু দেখা হয়েছে তার মানে ভবিষ্যতেও টুকটাক যোগাযোগ থাকবে বলে আশা করা যায়। ভালো লাগলো ভাই আপনার পোস্ট পড়ে।

 last month 

আমি অবশ্য সবার সঙ্গেই সরাসরি কথা বলি, এটা আমার একটা খুব ভালো একটা অভ্যাস, আমার কাছে তেমনটাই মনে হয়।

 last month 

ভাইয়া আপনার পুরনো বান্ধবীর সঙ্গে দেখা হওয়ার কাহিনীটি সত্যি ভীষণ মজার ছিল ।১৪ বছর পর মেয়েরা কত পরিবর্তন হয় ,চিনতে পারার কথাও নয় তবুও যে আপনি চিনতে পেরেছেন আমি এটাই ভেবে অবাক হচ্ছি। সেই স্কুল জীবনের দেখা এত বছর পরেও মনে আছে। বেশ ভালো লাগলো ব্যাপারটা। আর আপনার বান্ধবী ও আপনাকে চিনতে পেরেছে যদিও ছেলেদের পরিবর্তন একটু কম হয়। আর এখন স্মার্টফোনের কারণে বন্ধুত্ব টিকে যাবে আজীবন ।ভালো ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last month 

আমার পরিবর্তন খুব বেশি হয়নি, তবে ওর পরিবর্তন বেশি ছিল আপু। এটা ঠিক যে এখন বন্ধুত্ব আরো গাঢ় হবে ।

 last month 

হি হি হি ভাইয়া ভাতিজা ভাতিজি হবে না তো। ভাগিনা ভাগিনি হবে। যাই হোক ১৪ বছর পর বান্ধবীর সাথে দেখা! এতো বাংলা সিনেমার মত কাহিনী। যাই হোক চিনতে না পারারই কথা ভাইয়া । বয়স তো আর কম হলো না ১৪ বছর। যাক সব কন্টাক্ট যদি রেখে থাকেন তাহলে তো আর হারানোর ভয় নেই।

 last month 

ধন্যবাদ আমার ভুল শুধরে দেওয়ার জন্য, আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আপু।

 last month 

এত বছর পর কারো সাথে দেখা হওয়াটা সত্যি অনেক আনন্দের। সত্যি ভাইয়া সময়ের সাথে সাথে আমরা সবাই বদলে গেছি। বদলে গেছে আমাদের অভ্যাসগুলো। তবুও কেন জানি বন্ধু বান্ধবীরা চিনতে ভুল করে না। তারা অনেক সময় মুখ ঢাকা থাকলেও চিনে ফেলে। ছোটবেলার সেই বন্ধুত্ব অনেক গভীর ছিল। তাই তো হঠাৎ করে দেখেও আপন করে নিতে পারে। আর বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির অনেকটাই উন্নয়ন হয়েছে। তাই তো সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা বিভিন্ন মাধ্যমে সবার সাথে খুব সহজে যোগাযোগ রাখা যায়। ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে।

 last month 

এটা সত্য দীর্ঘদিন পরে দেখা হয়ে বেশ ভালই বোধ করেছিলাম।

 last month 

দীর্ঘ ১৪ বছর পর দেখা হলে তো না চেনার ই কথা। দেরিতে হলেও একে অপরকে চিনতে পেরেছেন,এটাই অনেক। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা বন্ধুত্বের সম্পর্ক রক্ষা করতে পারি,আর এই ব্যাপারটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে। সোশ্যাল মিডিয়ার খারাপ দিক থাকার পাশাপাশি ভালো দিক অবশ্যই রয়েছে। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last month 

আর যাইহোক, সবাইকে একত্রে রাখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধু তালিকায়। তাদের জীবনযাত্রা সম্পর্কেও টুকটাক ধারণা পাওয়া যায়।

 last month 

স্কুল জীবনের ফ্রেন্ড দের এখন দেখলে, যাদের সাথে যোগাযোগ নাই অনেক বছর, কয়জনকে যে চিনতে পারব জানি না। ফেস মনে থাকলেও অনেকের নাম মনে নাই সিওর।

যাহোক আপনাদের এই পুনর্মিলনীর ঘটনা শুনে ভাল লাগল। সোস্যাল মিডিয়ায় কল্যাণে যোগাযোগ থাকুক সবার সাথে!


ক্ষুদে স্বাস্থ্যবার্তা
রক্তের সুগার (Blood sugar) পরিমাপ করা হয় সাধারণত ২টা ইউনিট এ; মি.লি.মোল (mmol/l) এবং মি.লি.গ্রাম (mg/dl)। আমরা অনেকেই কনফিউজড থাকি এটা নিয়ে। খুব সহজেই একটা থেকে অন্যটাতে কনভার্ট করা যায়। মি.লি.মোল × ১৮= মি.লি.গ্রাম এবং মি.লি.গ্রাম ÷ ১৮= মি.লি.মোল।


উদাহরণ দেখিঃ ১। রক্তের সুগার ৫ মি.লি.মোল= ৫ × ১৮= ৯০ মি.লি.গ্রাম। ২। রক্তের সুগার ১৮৫ মি.লি.গ্রাম= ১৮৫ ÷ ১৮=১০.২৭ মি.লি.মোল।

 last month 

স্বাস্থ্য বিষয়ক যে বার্তা দিয়েছেন, সেটা জেনে বেশ উপকৃত হলাম ভাই। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.11
JST 0.030
BTC 69805.09
ETH 3740.40
USDT 1.00
SBD 3.59