মঙ্গল হোক সকলের
কিছু কিছু কথা অকপটে বলে ফেলতে আমি কখনোই দ্বিধা করি না বরং কথা নিজের ভিতরে চাপিয়ে রাখলে মনে হয় যেন দম বন্ধ হয়ে আসে। যেহেতু বাস্তবতা কে প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত লেখায়, তাই বাস্তবতা যত নিষ্ঠুর কিংবা কঠিনই হোক না কেন, সেটা মেনে নিতে কোন কার্পণ্যতা বোধ করি না।
কিছু মজ্জা গত সমস্যা থেকে আমরা এখনো বের হতে পারিনি, পারিনি নিজেকে উন্মুক্ত করে দেখতে কিংবা ভাবতে। তাছাড়া অহেতুক বাহানা কিংবা ছলচাতুরী তো আছেই, সবমিলেয়ে আমরা যেন অনেকটা ভঙ্গুর হয়ে গিয়েছি।
নিজেকে গতানুগতিক স্রোতে গা ভাসিয়ে তৈলমর্দনে ব্যস্ত হয়ে, নিজের আখের গুছিয়ে নিতে যেন ক্রমাগত ব্রত থাকাটা আমাদের স্বভাব হয়ে গিয়েছে।
হীনমন্যতার বেড়াজালের কাছে নিজেকে সঁপে দিয়েছি বহু আগেই, সব মিলিয়ে পিষ্ট হয়ে যাওয়াকেই যেন আমরা স্বাভাবিক হিসেবে ভেবেই নিয়েছি , বড্ড জর্জরিত হয়েছে মনুষ্যত্ব ও বিবেক।
এখানে নিজ বলতে শুধুই নিজ, এর বাইরে কোন কিছু ভাবার যেন কেউ সুযোগ খুঁজে পাচ্ছে না। অন্ধত্বের ছানি পড়ে গিয়েছে চোখে, ভোঁতা মগজে সব আত্মিক চিন্তাচেতনা, পুঁজে গলিয়ে গিয়েছে নরম কোমল হৃদয় নামক স্থানটি। দুর্গন্ধে জীবন যেন দুর্বিষহ হয়ে গিয়েছে, তারপরেও মেকি হাসি দিয়ে জানাই, সবাই ঠিক আছি।
সহজ খোঁজার ধান্দায় নেমে, জীবনটাকে কখন যে সবাই বিষিয়ে নরক বানিয়ে ফেলেছে, তা হয়তো কেউ বুঝে উঠতেই পারেনি। পারেনি নিজেকে এসবের থেকে সরিয়ে নিয়ে আসতে। চতুর্দিকে যখন ক্ষয়প্রাপ্ত ব্যাধি ধরে গিয়েছে, তখন মুক্তি মিলবে কিভাবে । সুযুক্তির ছোঁয়া নেওয়ার সহ্য তো সবার নেই।
মনগড়া যুক্তি, সেঁধানো নিয়ম কিংবা পরিশ্রমহীন সাফল্যের নেশা থেকে যতদিন না কেউ নিজেকে বাহির করতে পারবে, ততদিন হতাশা কোন অবস্থাতেই পিছু ছাড়বে না। সময় গুলো যৌক্তিক কাজে লাগুক, সুকর্মে নিজেকে সবাই ব্যস্ত রাখুক, তাহলে হয়তো হতাশার ছাপ কমে যাবে এবং সফলতার আলো ক্রমেই আসা শুরু করে।
চিন্তাধারায় পরিবর্তন আসুক , সবাই সঠিক কর্মে নিয়োজিত হউক, এই প্রত্যাশাই রেখে যাচ্ছি।
মঙ্গল হোক সকলের।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
চারিদিকে স্বার্থপর মানুষের সংখ্যা এতটাই বেশি যে,উচিত কথা বলা তো সবাই ছেড়েই দিয়েছে। চোখের সামনে এতো এতো অন্যায় অপকর্ম ঘটে যাওয়ার পরেও,কেউ কোনো কথা বলে না। কিছু কিছু মানুষ তো নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য তেল মারতে ভীষণ পছন্দ করে। তাদেরকে যদি লাথি মেরেও ফেলে দেয়, তবুও বলবে হ্যাঁ স্যার ঠিক আছে, লাথি মারাটা অবশ্যই দরকার ছিলো। মোটকথা লাভের জন্য নিজের ব্যক্তিত্ব পর্যন্ত বিক্রি করে দেয়। এই ধরনের তেলবাজ মানুষের সংখ্যা প্রতিটি সমাজে দেখা যায়। আর কিছু কিছু মানুষ আছে, যাদের যুক্তি শুনলে ভুলটাকেই সঠিক বলে মনে হয়। এককথায় বলতে গেলে জাতি হিসেবে আমাদের চরম অবনতি হয়েছে। যাইহোক তবুও বলবো সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এমতাবস্থায় সুযুক্তি বা সুবুদ্ধির উদয় ছাড়া আর কোন কিছুই সত্যিই চিন্তা করা যায় না ভাই।
বাহ চমৎকার লিখলেন আপনি লেখাগুলো মন ছুঁয়ে গেলো। আপনার প্রতিটি বাক্য, প্রতিটি লাইন, প্রতিটি অক্ষর আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। কারণ আপনি বাস্তবতাকে সামনে রেখে সবগুলো কথায়ই সঠিক বললেন। বর্তমান সময়ে আসলে মানুষ বিবেকহীন হয়ে গেছে। যে যার মত কাজ করতেছে যে যার মত চলতেছে কারোর জন্য কারোর চিন্তাভাবনা নেই। এই সমাজের এই সভ্যতার মানুষের মগজ মনে হয় পচে গেছে।
আমাদের কিন্তু দায়িত্ব আছে, নিজ অবস্থান থেকে এই গলিত সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা।
বর্তমান মানুষের বিবেক বুদ্ধি লোপ পাচ্ছে এটা সত্যি।তারা নিজেদের সত্তা হারিয়ে ফেলছে সহজেই।বর্তমান তেল দেওয়া এটা একটা ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে।যার জন্য অন্যায় অপকর্ম বেড়েই চলেছে প্রতিনিয়ত।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
তৈল মর্দনের ব্যাধি দূর হোক, এমনটা প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি নিজ অবস্থান থেকে।
হতাশা মানুষের জীবনে আরও বেশি বিপর্যয় ডেকে আনে। তবে পরিশ্রম ছাড়া হতাশা করে কোন লাভ নেই। পরিশ্রম একসময় সফলতা এনে দিবে। হয়তো কিছু কিছু ক্ষেত্রে জীবনের বাস্তবতা অনেক কঠিন হয়ে যায়। তবে সবকিছুই হয়তো কোন এক সময় পূর্ণতা পায়। লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
জীবনে পরিশ্রম ছাড়া সফল হওয়ার বিকল্প কিছু নেই।