ঝড়-বৃষ্টিতে কাটানো মুহূর্ত
টানা কয়েকদিন অসহ্য ভ্যাপসা গরম যাওয়ার পরে, গতকাল রাত থেকে আবহাওয়া এতটাই নাজুক হয়ে গিয়েছে যে, যা বলার বাহিরে। তবে সত্যি বলতে কি, ধরণী শীতল করার জন্য হলেও এমন আবহাওয়ার দরকার ছিল। কেননা ভ্যাপসা গরমে জনজীবন বড্ড কাহিল হয়ে পড়েছিল।
ভিডিও লিংক
ধরণী যেমন এখন বড্ড শীতল হয়েছে, তেমনটা কিছুটা একঘেয়েমি ইতিমধ্যেই চলে এসেছে জনজীবনে। টানা বৃষ্টিতে সব কিছু যেন স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে গিয়েছে। প্রচন্ড ঝড়ো বাতাসে অনেক কিছুই লন্ডভন্ড হয়েছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা। যেহেতু গ্রামে আছি, তাই আজ বিকেল বেলায় বেরিয়ে পড়েছিলাম পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখতে।
দুইদিন আগেও এখানকার জনজীবনে এমন অবস্থা ছিল না, তবে আজ সময়ের ব্যবধানে সব এলোমেলো। ছাতা হাতে একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছিলাম আর আশেপাশের অবস্থা দেখে বড্ড চিন্তিত হয়ে গিয়েছিলাম।
বিদ্যুৎ সকাল থেকেই নেই, যার কারণে হয়তো বাস্তব জীবনে আমার তেমন কোনো অসুবিধা হয় নি বরং কর্মক্ষেত্র থেকে আমি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ছিলাম। এই সময়ে নেটওয়ার্ক যারা ছাড়া থাকা যে কত কঠিন বিষয়, তা যেন হাড়েহাড়ে টের পেয়েছি। ইচ্ছে আছে এই দীর্ঘ সময় কিভাবে নেটওয়ার্ক ছাড়া ছিলাম, সেই বিষয় নিয়ে পরবর্তীতে কিছু কথা লেখার।
গ্রামের কাঁচা রাস্তার পাশের গাছপালার সব ডালপালা ভেঙে শেষ, রাস্তার অবস্থা একদম নাজুক। চর্তুদিকে শুধু কাদা আর কাদা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে জমিতে থাকা ফসলের । এই ঝড় বৃষ্টিতে কৃষকের যে মাথায় হাত পড়েছে তা যেন চাক্ষুষ দেখতে পাচ্ছি।
কোন লোকজন নেই রাস্তায় কিংবা হাট-বাজারে। সবাই যেন যে যার মতো করে বাড়িতে কিংবা গ্রামের ভিতরে টঙ্গের দোকানে অবস্থান করছে। আর প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে, কখন এই ঝড় বৃষ্টি থামবে। কোন কিছুই অতিরিক্ত ভালো না । তবে এ যাত্রায় আপাতত কেউ জানে না, কখন সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আসবে বা আবারও কখন জনজীবন স্বাভাবিক হবে।
আমিও প্রতীক্ষার প্রহর গুনছি, তবে সেটা বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্ক আসার জন্য। বড্ড অস্থির লাগছে সবকিছু নিজের কাছে। অতঃপর কিছুটা সময় এভাবেই বাহিরে ঝড়-বৃষ্টির মাঝে কাটিয়ে অবশেষে বাড়িতে ফিরেছিলাম।
চেষ্টা করেছি আমার কাটানো মুহূর্তের উপর ভিত্তি করে, একটা ভিডিও বানানোর জন্য। যেখানে সর্বোচ্চ ভাবে দেখানোর চেষ্টা করেছি, এখানকার পারিপার্শ্বিক অবস্থা। ঝড়-বৃষ্টি কিন্তু এখনো থামেনি, আপাতত নিরাপদে থাকুন সবাই।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
আপনার আজকের লিখনিতে দেশের ঝড় বৃষ্টি ও মানুষের বাস্তবতার সুন্দর চিত্র ফুটে উঠেছে। শুধু উপকূলবর্তী জেলা গুলো নয় সারাদেশেই বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা বিপর্যস্ত ছিল। ঢাকায় অবশ্য তেমন সমস্যা হয়নি। তবে গতকার দিনভর ঢাকায় বৃষ্টির ফলে জনজীবন ছিল স্থবির। ঝড় ও বৃষ্টির ভিডিও ও ছবি অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। ঝড়-বৃষ্টিতে কাটানো মুহূর্ত শিরোনামে পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
এদিকের জনজীবনও অনেকটা স্থবির হয়ে গিয়েছিল আপু, সব মিলিয়ে বেশ জটিলতা ছিল।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে ভাইয়া ঠিকই বলেছেন অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না । তবে যে পরিমাণ গরম পড়েছিল তাতে করে এখন প্রকৃতি যে শীতল হয়েছে এটা বেশ শান্তির। তবে এই ঝড় বৃষ্টিতে ফসলের মাঠ, কৃষকের যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা বোঝাই যাচ্ছে ।আর আপনি এত ঝড় বৃষ্টির মাঝে বেরিয়ে পড়েছেন এটা দেখেও বেশ অবাক হয়েছি ।ভাগ্যিস নিরাপদে বাড়ি ফিরেছেন ।তবে এরকম পরিস্থিতিতে বাইরে না বের হওয়াই ভালো ।ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু চমৎকার হয়েছে। আর আমাদের এখন বর্তমান যে অবস্থা এতে করে নেটওয়ার্কের বাইরে থাকা সত্যিই অসম্ভব। যাই হোক বেশ ভালো লাগলো আপনার বৃষ্টিময় দিনের অনুভূতি পড়ে ।তবে সত্যি কথা বলতে বৃষ্টির দিনে গ্রামের কাদা আমি ভীষণ ভয় পাই।ধন্যবাদ।
আমি আসলে গৃহবন্দী জীবনযাপন করছিলাম আপু, একদিকে ইন্টারনেট ছিল না, অন্যদিকে কারেন্ট নাই, সব মিলিয়ে বেশ ঝামেলায় ছিলাম, তাই বাইরে বের হয়ে একটু এদিক-সেদিক দেখার চেষ্টা করছিলাম পারিপার্শ্বিক অবস্থাটা।
ভাই ঝড় বৃষ্টির কারণে আবহাওয়া কিছুটা শীতল হলেও, বিদ্যুৎ নেই বলে বেশ ঝামেলার মধ্যে আছি। আমাদের এখানে প্রায় ৩০ ঘন্টা যাবৎ বিদ্যুৎ নেই। বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে গিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। তাই কখন বিদ্যুৎ আসবে সেটাও বলা যাচ্ছে না। দুটি পাওয়ার ব্যাংকে ফুল চার্জ ছিলো বিধায় মোটামুটি কাজ করতে পারছি। তবে আপনাদের দিকে তো রাস্তাঘাটের অবস্থা একেবারেই খারাপ হয়ে গিয়েছে। যা দেখে ভীষণ খারাপ লাগলো। তাছাড়া বিদ্যুৎ না থাকলে তো ভোগান্তির কোনো শেষ নেই। আশা করি খুব শীঘ্রই সবকিছু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাই।
বিদ্যুৎ ছিল না দেখে, আমি অনেকটা দৌড়ের উপর ছিলাম রে ভাই, আমাদের এদিকেও টানা ৩৬ ঘন্টা ধরে কারেন্ট ছিল না, বেশি ঝামেলা পোহাতে হয়েছে ইন্টারনেট না থাকার কারণে।
আমার অবশ্য দুটি পাওয়ার ব্যাংকে ফুল চার্জ ছিলো এবং ডাটা ইউজ করে কমিউনিটির কাজ গুলো করতে পেরেছিলাম। তবে মোবাইল ডাটাও অনেক সমস্যা করেছিলো।
হায়! হায়! আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো বেশ খারাপ লাগলো। খুব ক্ষতি করে দিলো এই অনাকাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি। আসলে বৃষ্টি হলে ধান গুলো এভাবে বিছিয়ে যায় না। যখন প্রচুর পরিমাণ বাতাস হয় বাতাসের কারণে এমন হয়। খুব খারাপ লাগলো আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনার লেখা অনুভূতিগুলো পড়ে। সত্যি কথা বলতেই এই বৃষ্টি এই ঘূর্ণিঝড় অনেক ক্ষতি করে দিলো দেশের। যদিও বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। কিন্তু যা হয়েছে তাতে যথেষ্ট পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে বলা যায়।
প্রচুর বাতাস-বৃষ্টিতে আসলেই খুবই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কৃষকের,জমির ফসলের অবস্থা একদম নাজুক। এটা সত্য এই অনাকাঙ্খিত ঝড়-বৃষ্টি বেশ ভালই ক্ষয় ক্ষতি করেছে সকলের ।
সব জায়গাতে কম বেশি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ভালোই আঘাত হেনেছে । ধানের বেহাল অবস্থা হয়ে গিয়েছে দেখছি। তাছাড়া প্রযুক্তির যুগে নেটওয়ার্কের বাইরে যাওয়া যেটা মেনে নেয়া খুবই কঠিন। নিজের হয়তো কোন সমস্যা হয়নি কিন্তু কাজে-কর্মে অনেক ব্যাঘাত ঘটেছে। সবাই যেটা ভালই উপলব্ধি করেছি আপনার পোস্ট পড়ে । অনেক খারাপ মুহূর্ত পার করেছি দুই দিন।
সার্ভার থেকে টানা ২৪ ঘন্টা বিচ্ছিন্ন ছিলাম ভাই, কি যে ঝামেলায় সময় কেটেছে, তা বলে বোঝাতে পারবো না ভাই।
আপনাদের ওদিকে তো বেশ ভালো বৃষ্টি হয়েছে ভাইয়া ঝড়ের সাথে।তবে আমাদের এদিকে খুব একটা বৃষ্টি হয়নি বাতাস ছিল।এজন্য গরম এখনো রয়েছে।আমাদের এদিকে রাস্তা ঘাট বাজার জনশূন্য এই ঝড়ের জন্য।ভালো লাগলো পোস্টটি।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
বলতে গেলে সারাদিনই ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে, সব মিলিয়ে অবস্থা ছিল একদম বাজে।
ভাইয়া ঠিক বলেছেন কোনো জিনিসই অতিরিক্ত ভালো নয়। এই ঘূর্ণিঝড়ে সত্যি কৃষকের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। অনেকের ক্ষেতে ধান পেকেছে আবার কিছু মানুষ ঘরে তোলার অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের অবস্থা খুবই খারাপ। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বুঝা যাচ্ছে প্রকৃতির সত্যি খুব ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। তবে এমন মেঘলা আকাশের ফটোগ্রাফি দেখে খুব ভালো লাগলো। যারা নেটওয়ার্কের মধ্যে থেকে অব্যস্ত তাদের যেনো এই সময় পার করা খুবই কঠিন। আমারও গতকাল এমন হয়েছিল। এই সময়টা যেনো যেতেই চায় না। যাই হোক আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব নিয়ে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
একজনের কষ্ট একেক রকম আপু, তবে কৃষকের অবস্থা দেখে আমি সম্পূর্ণ হতাশ।
এই ঝড় হয়ে যাওয়ার কারণে জমির ফসলের কিন্তু ভালোই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যা দেখছি দাদা। আসলে এখনকার সময় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হলে কিংবা কারেন্ট চলে গেলে যে কি সমস্যা হয়, সেটা আমরা সকলেই কম বেশি জানি। আপনার ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে গ্রামে যে ঝড়ের প্রভাব, সেটা কিছুটা হলে অনুভব করতে পারলাম। তবে আশা করা যায় ,আস্তে আস্তে সবকিছু আগের মত হয়ে যাবে।
টানা ৩৬ ঘন্টা কারেন্ট ছিল না ভাই, সবমিলিয়ে একদম যা-তা অবস্থা হয়ে গিয়েছে।
ওরে বাবা! তাহলে তো খুব নাজেহাল অবস্থা ছিল দাদা আপনাদের ওইখানে।
অতিরিক্ত কোনো কিছু আসলেই ভালো নয়।ঝড়ে উপকূলীয় এলাকায় বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।তবে আপনাদের ওখানেও দেখছি ফসল নষ্ট করে দিয়েছেআর বিদ্যুতের সমস্যা সবজায়গাতেই।প্রকৃতি সেই সময় শীতল হলেও এখন আবার সেই ভ্যাপসা গরম।ঝড়-বৃষ্টিতে কাটানো আপনার লেখা মুহূর্তটি পড়ে ভালো লাগলো।সবকিছু স্বাভাবিক হোক এটাই প্রত্যাশা করি, ধন্যবাদ ভাইয়া।
সবকিছু ঠিকঠাক হোক, এমনটা তো আপু আমিও প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।