সুন্দর হোক আগামী
বেশ দীর্ঘ সময় পরেই আজ বিকেল বেলা আরজুর সঙ্গে সময় কাটালাম। সেই কত ছোট থেকে ওকে এই এলাকায় বেড়ে উঠতে দেখেছি, তা আপাতত সঠিক এই মুহুর্তে মনে করতে পারছি না। তবে এতোটুকু তো ঠিকই মনে পড়ছে, ওকে আমি হাফপ্যান্ট পরে এখানে ঘুরতে দেখেছি।
তারপরে তো অনেকটা বছর কেটে গিয়েছে, বলা যায় চোখের সামনেই ছেলেটা বেড়ে উঠলো। বেশ ভালোই সখ্যতা ছিল ওর সঙ্গে। দেখতে দেখতে কখন যে ছেলেটা স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে গেল তা যেন বুঝতেই পারলাম না। সময়কে তো আর বেঁধে রাখা যায় না, তাই হয়তো সময়ই সবকিছু পরিবর্তন করে ফেলেছে।
আজ যখন দীর্ঘ বহুদিন পরে ওর সঙ্গে আমার দেখা, তখন মুহূর্তেই কিছুটা খোশগল্প হয়ে গেল। ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত, কথাটা শুনেই যেন বেশ ভালো লাগলো। ছেলেটা কখন যে চোখের সামনে বড় হয়ে গিয়েছে, সেভাবে আসলে খেয়াল করেই উঠতে পারিনি। দৈহিক গঠনেও ওর ভালোই পরিবর্তন এসেছে, বলা যায় পাশাপাশি আমাদের দুজনকে একত্রে দাঁড় করালে, ওকেই হয়তো বয়সে আমার থেকে সবাই বড় ভাববে।
আজ যখন বিকেল বেলা দুভাই রিক্সায় চড়ে ঘুরছিলাম আর পারিপার্শ্বিক অবস্থার বিষয় নিয়ে নিজেদের ভিতরে কথোপকথন করছিলাম, তখন ও মুহূর্তেই বলছিল, ভাই আমার শরীরটা কিছুদিন থেকে খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। বুকের বাম পাশটাতে ইদানিং বেশ ভালোই ব্যথা অনুভব করছি, তাই মূলত এই সময়ে অসুস্থ জনিত কারণে বাসায় এসেছি।
যদিও এখানে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ কে দেখিয়েছে, সে বলেছে দ্রুত সেরে যাবে এবং তার দেওয়া ওষুধ গুলোই প্রতিনিয়ত খেয়ে যাচ্ছি। এবার একটু কিছুটা খটকা লেগেছে আমার। কারণ ২৪-২৫ বছর বয়সের টগবগে যুবকের এমন ব্যাধির কথা শুনলে একটু খারাপই লাগে। বুঝতে পারছি ও মানসিক দুশ্চিন্তায় ভীষণ হতাশাগ্রস্ত। যদিও তা ওর মুখ দেখে বোঝার কোন উপায় নেই, তারপরেও ভিতরে ভিতরে ও যে ঠিকই পুড়ে মরছে, তা কিন্তু একদম সত্য।
কিছুদিন পরেই ওর মাস্টার্স শেষ হয়ে যাবে, তারপরে তো আবার চাকরির প্রতিযোগিতায় নিজেকে প্রমাণ করার জন্য অবিরাম ছুটতে হবে। এ সময় এমন হতাশাগ্রস্থ হওয়া নিতান্তই অস্বাভাবিক কিছু নয় । তবে অতিরিক্ত হতাশাগ্রস্থ হয়ে যেন আবার নিজের শরীরের বড় কোন ব্যাধি না হয়, তেমনটাও ভাবা কিন্তু খুবই জরুরী।
আবার কবে ওর সঙ্গে দেখা হবে, তা আমার জানা নেই। তবে ওর আগামী দিন গুলো ভাল কাটুক, এমনটাই তো প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি ভাই হিসেবে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1720732792223650112?t=SiPvUAk48ugjzl4fXaG7Ow&s=19
আমরাও এই প্রত্যাশা করি সুন্দর হোক আগামী। যাক বেশি দীর্ঘ সময় পর আজ বিকালে আপনি আরজুর সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন এবং এত সুন্দর রাস্তা ভাইয়া। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যা আমাকে মুগ্ধ করল। সময় কত দ্রুত চলে যায় আপনার চোখের সামনে ছেলেটা বেড়ে উঠল।আজকে কত বড় হয়ে গিয়েছে। সময়কে আমরা যতই বেঁধে রাখতে চাই সময় বেঁধে রাখা যায় না। আমরা থেমে থাকলেও সময় থেমে থাকে না। সময় নিজ গতিতেই চলতে থাকে । দোয়া করি সে যেন সুস্থ হয়ে যায়। ভাইয়া প্রতিটা মানুষ ভিতরে ভিতরে শেষ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু মুখে হাসিটা ঠিকই রাখতেছে। জ্বী ভাইয়া কপালে যেটা আছে সেটাই হবে। অতিরিক্ত হতাশ গ্রস্ত হয়ে জীবন নষ্ট করা যাবে না। যাক আপনার সময়টা ভালো কাটুক। এই কামনাই করি। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল ভাইয়া
ধন্যবাদ ভাই আমার অনুভূতি বুঝতে পেরে মন্তব্য করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে ভাইয়া সময় কখনো থেমে থাকে না।সময় নদীর স্রোতের মতোই চলমান । ।ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে আরজুর জন্য অনেক খারাপ লাগলো। দোয়া করি সে যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে। এখন ভেঙে পড়লে বাকি জীবন ব্যর্থ হয়ে পরে।আসলে ভাইয়া রোগের কাছে আমাদের কোন হাত নেই। আসলে ভাইয়া প্রতিটি মানুষের ভিতরে ভিতরে অস্বস্তি বোধ করে। সব অপেক্ষা করে মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলে। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই ওর মত ছেলের দ্রুত সুস্থ হওয়া খুবই জরুরী, কারণ ওরাই তো আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।
আসলেই ঠিক বলেছেন ভাইয়া অতিরিক্ত চিন্তা আসলেই খুবই মারাত্মক । আমি আসলে অল্পতেই বেশি চিন্তা করে ফেলি । এজন্য আমার শরীরে অসুস্থতাও ভর করে বেশি । তবে আশা করি আরজু ভাই খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে ফিরতে পারবেন । সবাই ভালো কিভাবে চলে গেলে আসলে বুঝাই যায় না । আরজু ভাইয়ের সাথে ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন বিকেল বেলা
চিন্তা কম করুন, জীবনটাকে উপভোগ করুন ভাই।
শুভেচ্ছা রইল
সময় কিভাবে অতিবাহিত হয়ে যায়, সেটা আসলেই টের পাওয়া যায় না। মানুষের জীবনে দুশ্চিন্তার কোনো শেষ নেই। ছোটবেলা শুনতাম পড়াশোনা শেষ করলেই ভালো চাকরি করা যায় এবং প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায়। কিন্তু বাস্তবতা আসলেই ভিন্ন। এমন প্রতিযোগিতার বাজারে চাকরি পাওয়াটা খুবই কঠিন একটা ব্যাপার। যাইহোক দোয়া করি আরজু ভাই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে এবং ভালো একটি চাকরি পাবে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলে আরজুর সুস্থতা আমি নিজেও কামনা করছি , ওর সঙ্গে গতকাল দেখা হওয়ার পরে, ওর কথাগুলো শুনে কিছুটা খারাপই লেগেছিল।
স্বাধীন ভাইয়ের সুস্থতা ও সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করি