সূর্যমুখী ফুলের বাগানে কিছু সময়
যেহেতু কয়েকদিন হল গ্রাম থেকে বাসায় এসেছি, বাসায় আসার পর থেকেই অনেকটা গৃহবন্দী জীবনযাপন করছি। তাছাড়া শরীরটা খুব একটা ভালো ঠেকছে না, আসলে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এমনটা হচ্ছে।
গতকাল বিকেলবেলা পরিবার নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলাম, আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকাতে। খুবই সাম্প্রতিক সময়ে, সেখানে এক ভদ্রলোক সূর্যমুখী ফুলের বাগান করেছে। মূলত শহুরে পরিবেশে এত বড় পরিসরে এমন বাগান দেখতে পাওয়া কিছুটা অবাক করার মতই।
ভিডিও লিংক
যদিও পড়ন্ত বেলায় গিয়েছিলাম, যার কারনে ফুলগুলো অনেকটাই নুয়ে পড়ে গিয়েছিল। তাছাড়া সূর্যমুখী ফুলের এটা একটা বৈশিষ্ট্যের ভিতরে পড়ে, যতক্ষণ রোদ থাকবে ততক্ষণ ফুল গুলো অনেকটাই সতেজ ও প্রাণবন্ত থাকে। তবে যখনই সূর্যের আলো কমে যায়, তারপর থেকেই ধীরে ধীরে ফুলগুলো নুয়ে পড়ে যায়।
অনেকটা সময় ফুলের বাগানের চারপাশে হাঁটাহাঁটি করেছিলাম নিজেদের মতো করে, সময়টা বেশ ভালই কেটেছে। এই যে কয়েকদিন হচ্ছে গৃহবন্দী জীবন যাপন করছিলাম, সেই ক্লান্তিবোধটা যেন মুহূর্তেই কেটে গিয়েছিল। যেহেতু হালকা বাতাস ছিল, তার ভিতরে এমন মন মুগ্ধকর পরিবেশ, যা হঠাৎই মনকে প্রফুল্লতায় ভরে তুলেছিল।
দেখছিলাম হীরা নিজের মতো করে এদিক সেদিক হাঁটাহাঁটি করছিল এবং নিজের ফোনে বাগানটা ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন ফুলের ছবি তোলার চেষ্টা করছিল। বাগানের ঠিক শেষের দিকে আরো কিছু শীতকালীন ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে, সেদিকটাতেও বেশ ভালোই ফুল ফুটেছে। যে ভদ্রলোক এই সূর্যমুখী ফুলের বাগান করেছে, তাকে ধন্যবাদ দিতেই হয়, কেননা বাগানটা সবার জন্য উন্মুক্ত।
তাছাড়া দর্শনার্থী বলতে ঠিক আশেপাশের এলাকা থেকে আগত লোকজনরাই। বলতে গেলে যারা গৃহবন্দী জীবনে অভ্যস্ত। বাবু চেষ্টা করছিল নিজের মত করে ছোটাছুটি করার জন্য, যদিও প্রথমের দিকে ফুল ছিঁড়তে গিয়েছিল, তবে ওকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম দূর থেকে সৌন্দর্য উপভোগ করো। কোন অবস্থাতেই গাছ থেকে ফুল ছেঁড়া যাবে না। ঘন্টাখানিক সময় অনায়াসেই কাটিয়ে দিয়েছিলাম সেই বাগানে, খুব যে খারাপ লেগেছিল তা বলবো না, বলা যায় মানসিক প্রশান্তি পেয়েছিলাম।
আমাদের কাটানো মুহূর্তের উপর ভিত্তি করে, একটা ভিডিও দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
পরিবার নিয়ে সূর্যমুখী ফুলের বাগানে যেয়ে খুব ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন আপনারা। গৃহবন্দী জীবন কারোরই বেশি দিন ভালো লাগে না। মাঝে মাঝে এরকম মনোরম পরিবেশে ঘুরতে বের হলে মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়। খুব ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্টটি পড়ে।
একদম ঠিক বলেছেন আপু, অনেকটা মানসিক প্রশান্তির জন্যই এই ঘোরাফেরা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সত্যি ভাইয়া সূর্যমুখী ফুলের তুলনা হয় না। আপনারা বেশ ভালোই একটা সময় কাটিয়েছেন। যদিও রোদের সময় ফুল গুলো দেখতে ভালো লাগে কিন্তু রোদে ফটোগ্রাফি করা কঠিন ব্যাপার। সত্যি ভাইয়া যে সূর্য মুখি বাগানে রয়েছে ধন্যবাদ তাকেই দিতে হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বিকেলবেলা সূর্যমুখী ফুলের বাগানে ভ্রমন করতে গিয়েছিলেন। আসলে বিকেলবেলা সূর্যমুখী বাগানের ফুলগুলো একদম নয়ে পড়ে যায়। আপনি যদি দুপুরবেলা যেতেন সূর্যমুখী জানো সূর্যের দিকে তত সুন্দরভাবে তাকিয়ে থাকতো।আপনার ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো।
একসাথে এতগুলো সূর্যমুখী ফুলের সৌন্দর্য এ বছরে প্রথমবারের মতো আপনার ফটোগ্রাফি পোস্ট থেকে উপভোগ করলাম।
আমাদের দিকে আগে সূর্যমুখী চাষ হতো এখন আর তেমন একটা দেখা যায় না।
মাঝে মাঝে বিকেল বেলা এরকম ভ্রমণ করতে আমারও খুব ভালো লাগে তবে নদীর পাড় হলে সবথেকে বেশি মজা হয়।
পরিবারের সাথে নিশ্চয়ই অনেক আনন্দঘন মুহূর্ত পার করেছেন।
আমারও নদীর পাড়ে যেতে ভালো লাগে ভাই, তবে আমাদের শহরে তো আর নদী নেই, তাই এখানে যাওয়া।
ভাইয়া কুষ্টিয়াতে দাওয়াত নেন একদিন আসুন পদ্মা নদীতে নৌকা দিয়ে অনেক মজা করব সবাই মিলে।
আসলে ভাইয়া ফুল এমনিতে অনেক সুন্দর কারণ ফুল পছন্দ করে না এমন কেউ নেই। তবে সূর্যমুখে ফুল গুলো দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগে কারণ এর পাপড়িগুলো ছোট এবং মাঝখানের দৃশ্য দেখতে বেশ ভালো লাগে। আসলে ভাইয়া আমাদের মেহেরপুর সূর্যমুখী ফুলের জন্য বিখ্যাত এটি আমঝুপিতে অবস্থিত। তবে সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখছি আপনি ঘোরাঘুরি করেছেন এবং সেখান থেকে এই সূর্যমুখী ফুলের খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন এবং দারুন একটা সময় অতিবাহিত করেছেন আর সেটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার এলাকার ব্যাপারটা জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাই। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
সূর্যমুখী ফুল আমার ভীষণ পছন্দ। ছোটবেলায় আমাদের এদিকেও সূর্যমুখী ফুলের বাগান ছিলো ২/৩ টা। তবে এখন খোলামেলা জায়গার বড়ই অভাব। তাই সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখা যায় না আমাদের এখানে। যাইহোক আপনারা সূর্যমুখী ফুল বাগানে গিয়ে চমৎকার সময় কাটিয়েছেন ভাই। এমন জায়গায় গেলে মনটা একেবারে জুড়িয়ে যায়। ফটোগ্রাফি গুলো এবং ভিডিওগ্রাফিটাও এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করলাম পোস্টটি। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য, আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
সূর্যমুখী ফুল দেখতে যাওয়ার অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ ছিল। আপনারা সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। বিশেষ করে ভিডিও গ্রাফিটি দেখতে পেয়ে আমার আরো বেশি ভালো লেগেছে। আর আপনি ঠিকই বলেছেন সূর্যমুখী ফুল যতক্ষণ পর্যন্ত রোদ থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই ফুলগুলো দেখতে আরো সুন্দর লাগে।বিকেল বেলাতে গিয়েছিলেন তাই ফুল গুলো নুয়ে পরেছি।তবে ফটোগ্রাফি ও ভিডিও গ্রাফি দেখে খুবি ভালো লেগেছে আমার।
আসলে সূর্যমুখী ফুলের সম্ভবত ওটা প্রধান বৈশিষ্ট্যের ভিতরে পড়ে, যতক্ষণ রোদ ততক্ষণ সজীবতা।
সূর্যমুখী ফুলের বাগানে কাটানো দারুন একটি মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। সূর্যমুখী ফুল এবং সূর্যমুখী ফুলের সাথে আপনাদের তোলা অসাধারণ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সত্যি বলতে ভাইয়া এরকম সুন্দর পরিবেশের সময় কাটালে মনটা এমনিতে সজীবতায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
জি ভাই, মূলত মানসিক প্রশান্তির জন্যই ঘুরতে গিয়েছিলাম, বেশ ভালোই ছিল সময়টা।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা সূর্যমুখী ফুলের বাগান আমার কাছে দেখতে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে শহরের মধ্যে এত বড় সূর্যমুখী ফুলের বাগান সত্যি সবাইকে অবাক করেছে। ছেলে এবং ছেলের আম্মুকে সাথে নিয়ে বেশ দারুন সময় কাটিয়েছেন ভাই। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এটা সত্য যে সময়টা আমাদের কাছে বেশ ভালোই কেটেছিল পড়ন্ত বেলায়।