হঠাৎ পিকনিক
পুরান বাসা থেকে চলে এসেছি প্রায় দীর্ঘ পাঁচ-ছয় মাস হচ্ছে। তবে তারপরেও সেই বাসার সকলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা অনেকটাই এখনো প্রাণবন্ত আছে। হয়তো তার কারণ আমরা তাদের সঙ্গে বেশ ভালোভাবে মিশতে পেরেছিলাম বিধায় তারা এখনো সেই বাসায় কোন অনুষ্ঠান করলে আমাদেরকে দাওয়াত দিয়ে থাকে।
এটাকে আমি এক ধরনের প্রাপ্তিই বলছি। এই সময়ে কে কাকে মনে রাখে বলুন, তারপরেও এই ব্যস্ত শহরে আমাদের মত ক্ষুদ্র মানুষকে যে অন্যরা মনে রেখেছে এটাই বড় আনন্দের।
ঠিক সন্ধেবেলার পরে আমি সেখানে গিয়ে উপস্থিত, যদিও আমার গিন্নি আর বাবু অনেক আগেই চলে গিয়েছিল, তবে আমি আমার নিজের কর্ম সেরে অনেকটা দেরি করেই গিয়েছিলাম। মূলত এই পিকনিকের আয়োজন করেছিল বাসার মালিকপক্ষ। তাছাড়া আমরা যখন সেই বাসাতে ছিলাম, তখনও এমন আয়োজন প্রায়ই হতো।
এবারের আয়োজনটা অনেকটা বড় পরিসরে করা হয়েছিল, মূলত পুরো বাসার সব পরিবারকে নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল। তাছাড়া যেহেতু এখন শীতের সময় চলছে, তাই বাসার ছোট বাচ্চারা অনেকদিন থেকে চাচ্ছিল এ সময় পিকনিকের আয়োজন করা হোক। অবশেষে গতকাল ছিল সেই কাঙ্খিত দিন। মূলত উৎসব মুখর পরিবেশেই নানা কর্মসূচির ভিতর দিয়েই গতকালের সময়টা কেটে গিয়েছিল।
বাসার ছোট বাচ্চারা সবাই নতুন কাপড় পড়ে সাজুগুজু করেছিল, তাছাড়া ভাবীরাও বেশ সাজসজ্জা করেছিল, সবাইকেই দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল। আমি তো মূলত গিয়ে সকলের সঙ্গে টুকটাক গল্প করেছিলাম, তাছাড়া অনেক মানুষকে নতুন দেখলাম, হয়তো তারা এই বাসাতে নতুন এসেছে আমরা যাওয়ার পরে। তাছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল, সেখানে মূলত অংশগ্রহণ করেছিল বাসার বাচ্চারা এবং উপস্থিত অতিথিরা। এটা সত্য, সেখানে আমিও কিছু কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলাম।
এই বাসার নিরাপত্তার দায়িত্বে নতুন যে ভদ্রলোক আছে, সেই মূলত রান্নার আয়োজন করেছিল। মোটামুটি খাবার বেশ ভালই ছিল, সাদা পোলাও, চিকেন রোস্ট, সবজি, ডিম ভুনা, সালাদ। এই শীতের রাতে যখন গরম গরম খাবার গুলো খাচ্ছিলাম, তখন বেশ ভালই লেগেছিল।
সব মিলিয়ে বলা যায় গতকাল সন্ধ্যায় সময়টা আমার কাছে একটু ব্যতিক্রম ছিল এবং উপভোগ করেছি পুরো সময়টা পুরনো মানুষদের সঙ্গে। এমন দেখা মাঝে মাঝেই হোক, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি নিজের জায়গা থেকে। সকলের জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইলো।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1737034581872988468?t=iORvkOiqTLYLbZMBpdnWcw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পরিবার নিয়ে কাটানো মুহূর্ত গুলো আসলেই সুন্দর হয়। আশা করি খুব ভালো একটি সময় উপভোগ করেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর মুহূর্তের আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এমন পিকনিকে উপস্থিত হতে পারলে বেশ ভালই লাগে। সবাই যখন একসাথে হওয়া যায় মজা আনন্দ আরো কত কিছু। বাসার মালিক বেশ ভালো একটি আয়োজন করছে দেখছি ভাইয়া। অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন। আপনার সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
বেশ ভালোই লাগছিলো আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। পুরনো বাসা,পুরনো মানুষগুলো আপনাদের মনে রেখেছে।সত্যি ই এটা বড় প্রাপ্তি।এই সময়ে এসে কেউ কাউকে মনে রাখে না।কিন্তু আপনারা সেই জায়গাটা তৈরি করতে পেরেছেন। তাইতো তাদের মনে আজও জায়গা করে নিয়েছেন।এই শীতকাল পিকনিক পিকনিক আমেজ সব জায়গায় বিরাজ করে।পুরনো বাড়ির মালিক পক্ষ সব সময় সবাইকে নিয়ে এই রকম পিকনিকের আয়োজন করেন।যা সত্যিই প্রশংসনীয়। সকলের সাথে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আশাকরি।মুহুর্তে গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
এটা একদিক থেকে অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার রাখে বাসা মালিক, কেননা তার স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যোগে এটা সম্ভব হয়েছে।
আসলে একবার মন থেকে ভালো লাগলে যতোই দূরে যাওয়া হোক না কেন সেই মানুষ গুলোকে অনেক মনে পড়ে।আপনাদের পিকনিকের ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারছি জমিয়ে খাওয়াদাওয়া ও হৈ-হুল্লোড় হয়েছে। সবাই দেখছি অনেক সুন্দর করে সাজুগুজু করে আনন্দ উপভোগ করেছে।বাচ্চাদের জন্য দেখছি বিনোদনের ব্যাবস্থাও ছিলো বেশ। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর করে ফটোগ্রাফি ও বিবরণের মাধ্যমে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আপনি কিন্তু চাইলেই আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারতেন। কেন যে আসলেন না, তা আমি বুঝলাম না।
আসলে কাউকে মন থেকে কেউ পছন্দ করলে,দূরে থাকলেও মনে পড়ে। তাছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনের চেয়ে পর ভালো। যাইহোক আপনারা চমৎকার ভাবে ঘরোয়া পিকনিক করেছেন ভাই। আসলে সবার সাথে এভাবে সময় কাটাতে এবং খাওয়া দাওয়া করতে ভীষণ ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করলাম আপনার পোস্টটি। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার কথায় কিন্তু যুক্তি আছে ভাই, মাঝে মাঝে আপনের থেকে পরই ভালো।
ব্যাপারটা হচ্ছে আসলে মানুষের সাথে মিশতে পারাটাই অনেক ভালো। মানুষের যতই মন-মানসিকতা ভালো তারা ততই মানুষের সাথে মিশতে পারে। এবং সম্পর্কটা সব সময় এক রকমই থেকে যায়। বেশ ভালই লাগলো পুরান বাসায় পিকনিক করতে গেলেন সবার সাথে। আসলে বাচ্চারা চাই এই সময় পিকনিক করতে। যেহেতু শীতের দিন তাছাড়া আবার ডিসেম্বর মাস ছুটির দিন। সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটি সময় কাটালেন সবাই মিলে।
এটা সত্য যে, সব মিলিয়ে আমাদের সময়টা বেশ ভালই কেটেছে।
আমার কিন্তু ভাইয়া রীতিমত হিংসে হওয়া শুরু হয়ে গেল। এমন সুন্দর সুন্দর আয়োজন চলে আপনাদের ওখান টায়। কি আর বলবো। তবে আমার মনে হয় মানুষের রক্তের বন্ধন থেকে আত্মার বন্ধন গুলোই কিন্তু সবচেয়ে বেশী। আর তাই তো এখনও এই বাসার সব অনুষ্ঠানেই আপনি থাকেন মধ্যমনি। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমি মধ্যমণি ছিলাম না আপু, আমাকে দাওয়াত করা হয়েছিল তাই গিয়েছিলাম। তবে আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।