দীর্ঘদিন পর আম্মুর কর্মস্থলে

in আমার বাংলা ব্লগ8 months ago

শেষ কবে বাবা-মার কর্মস্থলে গিয়েছিলাম তা এই মুহূর্তে মনে করতে পারছি না। তবে গতকাল দীর্ঘদিন পরে আম্মুর কর্মস্থলে গিয়েছিলাম। মূলত আমার ছোট শালী আমার আম্মুর স্কুল থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষা দিচ্ছে, যেহেতু ওর পরীক্ষা চলছে তাই সেই সুবাদে ও আমাদের বাসায় বেড়াতে এসেছে।

20231120_125105-01.jpeg

20231120_125113-01.jpeg

20231120_125320-01.jpeg

20231120_130107-01.jpeg

20231120_130115-01.jpeg

20231120_125108-01.jpeg

IMG_20231120_212450_966.jpg

20231120_130406.jpg

20231120_130234.jpg

20231120_130215.jpg

20231120_130143.jpg

20231120_130100.jpg

20231120_125036.jpg

গতকাল সকালবেলা আমার আম্মু আর ছোট শালী যখন স্কুলে যাচ্ছিল তখন নাকি শায়ান ভীষণ কান্নাকাটি করছিল ওদের সঙ্গে স্কুলে যাবে এজন্য। আমি এসবের কিছুই জানতাম না, আমি ঘুম থেকে ওঠার পরে, হীরা আমাকে বলছে, মা শায়ানকে স্কুলে নিয়ে গেছে। যদিও আমার কিছুটা চিন্তা হচ্ছিল, কেননা ওকে কখনো চোখের আড়াল করিনি। তাছাড়াও চিন্তার পরিমানটা একটু কমই ছিল, কেননা ওর সঙ্গে ওর আন্টি আর দাদী আছে।

যেহেতু আমরা গতকাল হীরার নানুবাড়িতে পারিবারিক অনুষ্ঠানের জন্য দাওয়াত খেতে গিয়েছিলাম আর আমার আম্মুর স্কুলটাও ঐ একই পথে। তাই আমাদের চিন্তাধারা ছিল যখন দাওয়াত খেতে যাব তখন শায়ানকে ওখান থেকে আমাদের সঙ্গে করে নিয়ে যাবো।

অবশেষে ঘুম থেকে উঠে দ্রুত রেডি হয়ে, সিএনজি ড্রাইভার ভদ্রলোক কে ফোন দিয়ে ডেকে আমরা প্রথমত আম্মুর স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিলাম, ভালই লাগছিল দীর্ঘদিন পর আম্মুর স্কুলে যাচ্ছি এটা ভেবে। আমার আম্মু মূলত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। যদিও তার কর্মজীবন একদম শেষের দিকে আর অল্প কিছুদিন পরেই অবসরে চলে যাবে।

যাইহোক আম্মুর স্কুলে গিয়ে যখন পৌঁছলাম, তখন ইতিমধ্যেই দুপুর হয়ে গিয়েছে। আমাদের দেখে মোটামুটি সবাই উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালো। বেশ ভালই সময় কাটালাম স্কুলের অন্যান্য স্টাফ ও ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে। বাবু আমাদের দেখে বেশ ভালই খুশি হয়েছে, আম্মু বারবার বলছিল শায়ান এখানে এসে, বিন্দুমাত্র কান্নাকাটি করেনি বরং স্কুলের বাচ্চাদের সঙ্গে প্রচুর খেলাধুলা করেছে। যেহেতু একদম ফাঁকা ও নিরিবিলি জায়গা তাই এমন খেলাধুলা করা ওর জন্য এটা নিতান্তই স্বাভাবিক।

যাইহোক অবশেষে সেখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে, সেখান থেকে পুনরায় আবার আমাদের গন্তব্য ছিল হীরার নানুবাড়ি। যাত্রাপথে গ্রামীন প্রাকৃতিক পরিবেশ বেশ ভালই উপভোগ করেছি, বলতে গেলে অন্যান্য দিনের থেকে গতকালকের সময়টা ছিল আমার কাছে মনে রাখার মত। বাবা-মার কর্মস্থলে ইচ্ছে করেই খুব একটা যাই না। তবে এমন সুযোগ যখন হঠাৎই এসে যায়, তখন আসলে কিছুটা ভালো লাগা কাজ করে নিজের মাঝে। এই ছবিগুলো গতকালকের মুহূর্তের, আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সবার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে।

Banner-16.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 8 months ago 

আন্টির কর্মস্থলটা বেশ সুন্দর, আসলে স্কুল মানেই সুন্দর আর খুব মূল্যবান একটা জায়গা। শায়ান বাবু খুব আনন্দ করেছে বোঝাই যাচ্ছে। সবমিলিয়ে স্কুলের পরিবেশ এবং আপনাদের সবাইকে একসাথে দেখে ভালো লাগলো ভাই।
দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 8 months ago 

এটা সত্য যে, বাবু বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছে আমার আম্মুর স্কুলে।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 8 months ago 

অনেকদিন পর আপনার আম্মুর কর্মস্থলে গিয়েছেন দেখে। ভীষণ ভালো লাগলো ভাইয়া আবারো। আমি কিন্তু আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়েছি। আকাশটি এত সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে এবং আপনি তো দেখছি দারুন ফটোগ্রাফি করতে পারেন ভাইয়া। সবাইকে একসঙ্গে দেখে ভীষণ ভালো লাগতেছে।সায়ান বাবু আস্তে আস্তে অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে কারণ অনেক আদরের বাবু আপনার তাই চোখের আড়াল হতে দেন না । আশা করি এই ভালোবাসার যেন সারা জীবন অটুট থাকুক। স্কুলটা একই পথে তাহলে তো বেশ ভালোই হলো সবাই একসঙ্গে দেখা করতে পারলেন। বাচ্চারা কিন্তু এগুলো খুবই পছন্দ করে এবং অনেক ছেলে মেয়েরা ছেলেদেরকে খুব ভালোবাসে। এই কারনে ও কান্নাকাটি করে নাই। অনেক সুন্দর সময় কাটালেন ওখানে সকলে মিলে।যাত্রা পথে গ্রামীণ প্রাকৃতিক পরিবেশটা আমিও বেশি ভালো উপভোগ করেছি যাই হোক ভাইয়া অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং এই মুহূর্ত এই স্মৃতিগুলি আজীবন থেকে যাবে এর পোস্টের মধ্যেই।

 8 months ago 

বলতে গেলে একজন অনেক সৌভাগ্যবান সন্তান আপনারা। যেহেতু একজন সরকারি চাকরিজীবী মায়ের সন্তান আপনারা। তাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ভালো লাগলো শুনে আন্টির কথা গুলো। আন্টি তো দেখছি অনেক পরিশ্রমি মানুষ অনেক সংগ্রামী মানুষ। তো আন্টির স্কুলে গেলেন আপনাদেরকে তো বেশ ভালো সম্মান জানানো হলো। অনেক খুশি লাগলো আপনার কথা গুলো শুনে। ছেলেরা মায়ের স্কুলে যাওয়া মানে আলাদা একটা ভালো লাগার কাজ করা। সেটা শুধু আমরা লেখা গুলো পড়ে বুঝেতে পারছি। কিন্তু আপনার অনুভূতিতে আরো অনেক ভালো লাগবে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফিও শেয়ার করলেন ভাল লাগলো।

 8 months ago 

এটা সত্য আমার মা তার ব্যক্তি জীবনে অনেক সংগ্রাম করেছে এবং অনেক কষ্ট করেই আজকে সে এই অবস্থানে এসেছে।

 8 months ago 

অনেকদিন পর আন্টির কর্মস্থলে গিয়ে সবার সাথে খুব ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন। যেহেতু প্রাইমারি স্কুল ছোট ছোট বাচ্চারা আছে তাই শায়ন বাবু সেখানে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে খেলাধুলা করে খুব ভালো সময় কাটিয়েছে। আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া।

 8 months ago 

আপনার মায়ের কর্মস্থলে অনেকদিন পর যেয়ে আপনি যেমন উপভোগ করেছেন, ঠিক তেমনি সায়ানও উপভোগ করেছে। শায়ান স্কুলের শিশুদের সাথে বেশ আনন্দময় সময় কাটিয়েছে।হেমন্তের মিষ্টি গ্রামীণ জনপদের ছবি গুলো বেশ সুন্দর হয়েছে।ভালো লাগলো যেনে আপনার মা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মানুষ গড়ার কারিগর আপনার মায়ের জন্য শুভ কামনা। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

 8 months ago 

যদিও সমসাময়িক সময়ে প্রাইমারি স্কুল গুলোর অবস্থা খুবই ভঙ্গুর, তারপরেও মা চেষ্টা করে ভালোভাবে শিক্ষা দেওয়ার জন্য বাচ্চাদের ।

 8 months ago 

আসলে বাবা মায়ের কর্মস্থলে যাবার মধ্যে একটা অন্যরকম আনন্দ আছে। আমিও ছোটবেলায় আমার আব্বুর কর্মস্থলে বেড়াতে যেতাম। সত্যি সেখানে ভিন্ন রকম একটা ভালো লাগা কাজ করতো। শায়ানও দেখছি স্কুলে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছে ।তবে আপনার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু চমৎকার হয়েছে ভাইয়া।আকাশটা দেখতে বেশ ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

 8 months ago 

ধন্যবাদ আপু আমার অনুভূতি বুঝতে পেরে মন্তব্য করার জন্য।

 8 months ago 

এমন গ্রামীণ পরিবেশ এর ছবি দেখলেই গ্রামটাকে খুব মিস করি। কী সুন্দর নীল আকাশ, ধানের ক্ষেত, সবুজ গাছপালা আর সহজ মানুষের জীবন এখনো গ্রামে। আর আমাদের যান্ত্রিক জীবন, চারপাশে শুধু দালানকোঠা এবং ধূলাবালিতে ভরা। আপনি বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনার আম্মুর স্কুলে জেনে ভালো লাগলো।

Posted using SteemPro Mobile

 8 months ago 

এটা সত্য যে, এমন খোলামেলা পরিবেশে আমাদের সময়টা বেশ ভালই কেটেছিল।

 8 months ago 

অনেকদিন আগে আপনার একটি পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম, আপনার মায়ের সঙ্গে আপনার তেমন যোগাযোগ নেই।কিন্তু দীর্ঘদিন পর এভাবে আপনার পাশে আপনার মাকে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ভাইয়া।আসলে যতই দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করা হোক না কেন মায়ের সঙ্গে সন্তানের মমতার বন্ধন কখনো ছিন্ন করা যায় না।এটা একটা আত্মতৃপ্তির বিষয় বলে মনে হয়, আশা করি খুবই সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন আপনার মায়ের স্কুলে।ধন্যবাদ ভাইয়া।

 8 months ago 

আসলে শুধুমাত্র আমার মায়ের সঙ্গে না, মোটামুটি আমার পরিবারের সকলের সঙ্গেই কিছুটা দূরত্ব আমি নিজের থেকেই বজায় রেখে চলি, কেননা আমি বিশ্বাস করি, দূরত্বই সম্পর্ক গুলোকে বেশ সতেজ ও প্রাণবন্ত রাখে।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 64153.02
ETH 3205.80
USDT 1.00
SBD 2.63