অবশেষে বাধ্য হয়ে কিনতেই হলো
আমার খুব একটা সহজে কোন কিছু কিনতে ইচ্ছে করে না। বলা যায়, একদম খুবই দরকার হলে তখন কেনার চেষ্টা করি। এই যে গতকাল সন্ধ্যায় নতুন ট্যাব কিনলাম, তাও সেটা বলতে গেলে অনেকটা বাধ্য হয়েই।
মূলত আমি আর হীরা কাজ করি, নিজ নিজ মোবাইলে। তবে বাবু যত বড় হচ্ছে, দিন দিন ওর মোবাইলের প্রতি ওর আসক্তি বাড়ছে, সেটা মূলত কার্টুন দেখা কে কেন্দ্র করে। যেমন প্রতিনিয়ত ও ইউটিউবে কার্টুন দেখে। আর এই ক্ষেত্রে বাছাই করে নেয় ওর মায়ের মোবাইলটি। সেজন্য হীরার এখানে কাজ করতে ভীষণ বেগ পেতে হয়।
মানে বাবুর সঙ্গে এক প্রকার যুদ্ধ করে, তারপরে তার মুঠোফোনটা নিয়ে সে এখানে কাজ করে নতুবা বাবু ঘুমিয়ে গেলে ফোনটা নিয়ে এখানে কাজ করার চেষ্টা করে। এক্ষেত্রে এক প্রকার বেশ ঝামেলায় ভুগতে হয়। যেহেতু আমাদের আয় রুজি রোজগার সম্পূর্ণটা নির্ভর করে এখানকার কাজের উপরে, তাই আমরা ভীষণ সচেতন এখানকার কাজের প্রতি।
হীরা আমাকে কিছুদিন থেকেই তার সমস্যার কথাটা বারবার জানাচ্ছিল , বলছিল যদি আলাদা একটা ডিভাইসের ব্যবস্থা বাবু কে করে দেওয়া যায়, তাহলে হয়তো সে স্বাচ্ছন্দে কাজ করতে পারবে এখানে। তাছাড়া আমি নিজেও তো দেখছিলাম বাবুর কর্মকাণ্ডগুলো। আসলে বাবু অনেকটা এখানে বন্দী জীবনের মত কাটায়, কেননা আমরা তো আমাদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকি, ও কে যে ঠিকমতো সময় দেবো, সেটা যেন কোনভাবেই হয়ে ওঠে না।
আমি বিকেল বেলা করে ওকে নিয়ে মাঝে মাঝে ঘুরতে যাই, ঠিক এতটুকুই আর বাকি সময়টা পুরোটাই ঘরের ভিতরে বন্দী। ট্যাব কেনার পক্ষে বা বিপক্ষে আপনারা অনেকই মন্তব্য করতে পারেন, সেটা নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই, তবে আমি জানি, আমি কোন পরিস্থিতিতে গিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।
অবশেষে গতকাল সন্ধ্যেবেলায় বাসার সামনে যে মোবাইল শোরুমটা আছে, ঠিক সেখানে গিয়েছিলাম আমরা, তারপর দেখে শুনে সামর্থ্য অনুযায়ী একটা ট্যাব কিনে ফেললাম। বাবু মোটামুটি খুশি হয়ে গিয়েছে, তবে হীরা কে বলে দিলাম, দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত যেন ট্যাবটা বাবু ইউজ করে এবং ছবি আর্ট করার এবং কিছু বর্ণমালা শেখার অ্যাপস নামিয়ে ইন্সটল করে দিলাম।
তবে সত্য কথা বলতে গেলে কি, ট্যাবটা কেনার পরে সম্ভবত আমি ৫-৭ মিনিটের জন্য ট্যাবটা হাতে নিতে পেরেছিলাম, তারপর থেকে যার জিনিস তার দখলে, এখন পর্যন্ত দখল মুক্ত হয়নি। হয়তো চার্জ শেষ হলে, তখন দিয়ে যাবে। শহুরে বন্দী জীবনে বড্ড অসহায় আমি।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আসলে শহরাঞ্চলের বাচ্চাদের মোবাইল আসক্তিটার জন্যে তাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই।সারাদিন বাসায় বসে কি আর করবে।ভালো করেছেন ট্যাব কিনে দিয়ে।তবে সারাদিন ওটা হাতে না দেওয়াই ভালো।
একদম ঠিক বলেছেন আপু, তবে চেষ্টা করছি ওকে একটু নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার জন্য।
যাক বাবা , তাহলে কাজের উছিলায় হলেও বাবু তার শখের জিনিস টি পেল। আসলে বলেন ভাইয়া বাবু বা কি করবে? বন্দী জীবন কার ভালো লাগে? তবে বাবুকে প্রয়োজনীয় সময়ের মধ্যেই ট্যাব রাখতে হবে বলেই কি হয়? আশা করি এখন আপনাদের সকলের সমস্যাই সমাধান হয়ে যাবে। ভালো ছিল আজকের পোস্টটি।
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1738085912893084016?t=D1NtPMcXb_ti71KDkkZNNg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ বেশ ভালো কাজই করেছেন ভাই। বাবু এখানে অনেক কিছু শিখতে পারবে বিশেষ করে ড্রয়িং এবং বর্ণমালা গুলো যথাযথভাবে শিখতে পারবে। তবে এটা ঠিক যার জিনিস সে তো দখলে নিবেই। আর এখনকার বাচ্চাদের মোবাইলের প্রতি একটু বেশি আকর্ষণ থাকে । ধন্যবাদ ভাই আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ড্রয়িং এবং বর্ণমালা শেখার বুদ্ধিটা, আমি অবশ্য কিছুদিন আগে ইউটিউব ভিডিও দেখে পেয়েছিলাম, তাই ট্যাব কিনেই আগে ঐ দুটো অ্যাপস নামিয়ে দিয়েছে।
মাঝে মাঝে পরিস্থিতি আমাদেরকে ভিন্ন রকমের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে। আসলে আপনারা দুজনেই যেহেতু ব্যস্ত থাকেন তাই বাবু একা একা সময় পার করে। আর সেই সময় তারও কিছু প্রয়োজন হয়। আসলে বন্দি সময় কাটানো বাচ্চাদের জন্য অনেক বেশি কঠিন। যাই হোক আশা করছি এখন বাবুর সময়টা বেশ ভালো কাটবে। তবে চেষ্টা করবেন বাবুকে নিয়ে একটু বাহিরে যাওয়ার। আসলে ছোট বাচ্চারা যদি মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে তাহলে চোখের অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। আমরা সবাই চাই শায়ান সব সময় ভালো থাকুক।♥️♥️
আসলে ভাইয়া শুধু আপনি কেন আমার মনে হয় প্রত্যেক বাবা মাই বাধ্য হয়ে বাচ্চাদের ডিভাইস গুলো দেয়।যাইহোক শহরাঞ্চলের বাচ্চারা বেশির ভাগ সময় ঘরে বন্ধী থাকে, আসলে খেলার সাথী ও ওদের নেই। তাই ওদের জন্য ডিভাইস গুলো অবশ্যই দরকার। যাইহোক আমার বাচ্চাদের খেলার সাথী থাকলেও পড়াশোনা বাদে ফোন নিয়ে বসে থাকে। তবে আমার ফোন তেমন ধরে না। তার বাবার দুটি ফোন তাই নিয়ে দুবোন বসে বসে কার্টুন দেখে। আর বাচ্চারা ফোন নিয়ে টানাটানি করলে কাজ করা অনেক ঝামেলা। ধন্যবাদ ভাইয়া।
তাও ভালো যে, আপনার ফোন নেয় না আপনার বাচ্চারা। এদিকে তো আমার বাবুটা আমার ফোন হাতে পেলে, আমাকে দিতেই চায়না।
শায়ান তাহলে এখন থেকে মোবাইলে অভ্যস্ত হয়ে গেছে।আসলে এখনকার বাচ্চাদের জন্য মোবাইল ফোন সহজলভ্য হয়ে যাওয়া আবার বাইরে বেরিয়ে খেলাধুলা কমে যাওয়াই হলো মূল কারণ।যাইহোক যেহেতু ভাবী কাজ করতে পারে না আর এদিকে শায়ানেরও সঙ্গী হিসেবে ট্যাব প্রয়োজন তাহলে তো বাধ্য হয়ে করতেই হবে।
এখানে তো খেলার মাঠই নেই আপু, পরিস্থিতি আসলে আমার বিপক্ষে চলে গিয়েছে, তাই বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া।
মাঝে মাঝে পরিস্থিতি আমাদের বাধ্য নতুন কিছু কিনতে বা নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে! আপুরও যেহেতু কাজ করতে অসুবিধে হয়ে যায় সে হিসেবে শায়ানকে আলাদা একটা ডিভাইস দিয়ে ভালোই হলো। আবার এতো ছোট বয়সে ফোন হাতে দেয়াও ঠিক না! কিন্তু ঐ যে পরিস্থিতির শিকার হয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়। বন্ধী ঘরে স্মার্টফোনই একমাত্র সঙ্গী
কিছু করার নেই ভাই এই শহুরে জীবনে, আসলে ওকে নিয়ে আমি আর পেরে উঠতে পারছি না।
ভাই আপনার সিদ্ধান্তটা একেবারে সঠিক মনে হয়েছে আমার কাছে। কারণ আপনি আর আপু কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, আর তখন শায়ান বাবুর সময় কাটানোর মতো কিছুই থাকে না। তাই আপুর ফোন নিয়ে যায় সে। আপু এমনিতেই বাসার কাজ,বাজার, শায়ানের দেখাশোনা করা সবমিলিয়ে প্রচুর ব্যস্ত থাকে। যতটুকু সময় পায় তখন যদি শায়ান ফোন নিয়ে যায়, তখন তো আপু কাজ করার সুযোগ পায় না। এতে করে এক্টিভিটি একেবারেই কমে যাবে। যাইহোক এখন যেহেতু শায়ান ট্যাব পেয়ে গিয়েছে, এখন আর কে পায় তাকে।
এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। আমি মনে করি আপনি খুবই বিচক্ষণ একজন মানুষ। সুতরাং আপনি যেহেতু ট্যাব দিয়েছেন শায়ানকে,সেটার যাতে সঠিক ব্যবহার করা হয়,সেটা আপনি অবশ্যই নিশ্চিত করতে পারবেন। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
বেশ ভালো লাগলো ভাই আপনার মন্তব্যটি, কারন আপনি আমার অনুভূতিটা বুঝতে পেরেছেন। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।