ভুক্তভোগী
রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা হচ্ছে মনু মিয়া, পেশায় একজন কৃষক। মানে গরীব কৃষক। চেষ্টা করছে, পারিপার্শ্বিক অবস্থা সবকিছু মানিয়ে নিয়ে কোন রকমে জীবনটা চালিয়ে নেওয়ার জন্য। তবে তারপরেও সে প্রতারণার খপ্পরে ফেঁসে গিয়েছে।
আসলে যারা মানুষকে প্রতারিত করে, তাদের কাছে কে গরিব কে ধনী, এতকিছু বিচারকার্য করার সময় নেই। তারা তাদের স্বার্থ হাসিল করতে পারলেই, তারা বেশ খুশি। তবে তারপরেও যদি একটা খসড়া তালিকা করা যায়, তাহলে সেই তালিকায় দেখা যায়, প্রতারণার শিকার হয়েছে সাধারণ মানুষ।
কিছুদিন আগে থেকেই গ্রামে তথাকথিত জনপ্রতিনিধি বেশ সজাগ হয়েছিল গ্রামীন এলাকাতে। মূলত কৃষি ব্যাংকে প্রান্তিক কৃষকদের জন্য লোন এসেছিল,এই খবরটা কোনরকমে পৌঁছে গিয়েছিল তথাকথিত জনপ্রতিনিধির কাছে আর তাতেই সে যেন নিজের আসল রূপ প্রকাশ করেছে এই অবস্থাতে।
মূলত এর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল ব্যাংক কর্তৃপক্ষের ম্যানেজার এবং তথাকথিত জনপ্রতিনিধি। বিষয়টা আরো পরিষ্কার করে বলার চেষ্টা করছি, মনু মিয়ার মত সাধারণ মানুষকে তারা টার্গেট করেছিল, তাদের কাছ থেকে ভোটার আইডি কার্ড, ছবি ও টিপসই সংগ্রহ করেছিল। বিনিময়ে গ্রামের হোটেলে পেট চুক্তি মাংস দিয়ে ভাত খাইয়েছিল। তাতেই বড্ড খুশি হয়ে গিয়েছিল মনু মিয়ার মতো সাধারণ কৃষক। জনপ্রতিনিধির গুণগান করে, সবাই একদম ভাসিয়ে দিয়েছিল।
থাক সেসব কথা, জনপ্রতিনিধি মাঝ থেকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যায়। তবে কয়েক মাস যেতে না যেতেই, ব্যাংক ম্যানেজারের পরিবর্তন হয়। তবে কাজের তো গাফিলতি থেকেই যায়, কেননা জনপ্রতিনিধি লোন পরিশোধ করেনি। নতুন ব্যাংক ম্যানেজার এসে, যখন এতগুলো পয়সার ঘাটতি দেখে। তখন প্রথমত, ব্যাংক থেকে মনু মিয়ার মত সাধারণ লোকজনদের কাছে চিঠি পাঠায়। তাদের কে দ্রুত ব্যাংকে সাক্ষাৎ করার জন্য।
মনু মিয়ার মত সাধারন মানুষরা, এতটাই সাধারণ জীবনযাপন করে যে, তারা জীবনে কোনদিন ব্যাংকের দরজায় কখনো পা রাখেনি। তবে যখন ব্যাংক থেকে এমন চিঠি এসেছে, তখন তারা অনেকটাই আতঙ্কিত হয়ে গিয়েছে। তারা এখন জনপ্রতিনিধির খোঁজ করার চেষ্টা করছে, তবে জনপ্রতিনিধিকে আতশ কাঁচের মাধ্যমেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কেননা স্বার্থ তো বহু আগেই হাসিল হয়ে গিয়েছে, এখন কি আর তাকে খুঁজে পাওয়া যাবে। কি একটা অবস্থা, তাই না।
সমসাময়িক সময়ে, আমাদের দেশে জনপ্রতিনিধি কর্তৃক এমন ঘটনা প্রান্তিক অঞ্চলে ঘটেছে। যার ভুক্তভোগী হয়েছে মনু মিয়ার মত সাধারণ মানুষ।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মনু মিয়ার কাহিনীটি কষ্টের।মনু মিয়ারা বিশ্বাস করে জনপ্রতিনিধির কাছে যায়। জনপ্রতি্নিধিরা বিশ্বাসের খেলাপ করে। মনু মিয়ারা বিপদে পড়ে। এরকম মনু মিয়ার সংখ্যা অনেক আমাদের চারপাশে। তবে ব্যাংক থেকে অন্যের নামে লোনের ঘটনা এসময়েও ঘটে এটা ভাবতেই অবাক লাগছে। এই ব্যাংক কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধি কতবড় জালিয়াত। এদের যথাযথ শাস্তি হওয়া দরকার। ভুক্তভোগি মনু মিয়ার জন্য সমব্যাথি। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, পোস্টটি শেয়ার দেয়ার জন্য।
এমন ঘটনা আসলেই ঘটে আপু, তাও আবার এই সময়ে এসে। ভাবতে অবাক লাগলেও, ব্যাপারটা সমসাময়িক এবং সত্যি।
শুভ দাদা কথা গুলো একদম সত্যি ৷আসলে বর্তমান সময়ে এমন ঘটনা অনেক ৷ আর এসব ঘটনা গ্রামের মানুষ গুলোর সাথেই করছে ৷ ওই যে প্রথমে বললে না মানুষ প্রতারিত করলে ধনী আর গরিব নাই ৷
দিনশেষে মানুষ কি এমন সে প্রশ্ন রয়েই যায় ৷
এদের কে আসলে মানুষ বললে ভুল হবে, এসব ব্যক্তি হচ্ছে মানুষরূপী জানোয়ার।
মনু মিয়ার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাটা শুনে বেশ খারাপ লাগছে ভাইয়া। গ্রামের সাধারণ মানুষের মাঝে তো এতো প্যাচ নেই। টিপাই নিয়ে যে এসব করবে গ্রামের জনপ্রতিনিধি কে জানতো! ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়ে এখন উধাও হয়ে গিয়েছে। এমন জনপ্রতিনিধি সমাজ ও দেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর
এমনটাই তো সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঘটছে, বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে। কেউ যেন দেখার নেই।
আসলে জনপ্রতিনিধিদের কাজ হচ্ছে লোক ঠকানো। তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য, যতোটা নিচে নামা দরকার ততটাই নামে। এসব জনপ্রতিনিধিদের জন্যই গ্রামের নিরীহ মানুষজনদের বিপদ শেষ হয় না। তারা বিভিন্ন সময়ে এসব মানুষদেরকে ঠকিয়ে আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। একবেলা ভরপেট খাইয়ে টিপসই নিয়ে নিয়েছে, বাহ্ কি দারুণ কথা। ভাবতেই অবাক লাগে, মানুষ কিভাবে পারে এতো বাজেভাবে লোক ঠকাতে। মাঝেমধ্যে ভাবি যে,মৃত্যুর পরেও যদি আমরা টাকা পয়সা নিয়ে কবরে যেতে পারতাম, তাহলে এসব লোকজন কি করতো তাহলে। হায়রে দুনিয়া, আফসোস হয় এসব প্রতারকদের জন্য। কারণ তারা তো মানুষ ঠকাচ্ছে না,বরং নিজেরাই ঠকছে। কারণ প্রতিটি জিনিসের হিসাব দিতে হবে একদিন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মতামতের কাছে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।