💞 " রাতের শহরে ঘুরতে কার না ভালো লাগে " || আমার বাংলা ব্লগ
আমার বাংলা ব্লগ এ সবাইকে স্বাগতম।
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয় "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।আর প্রতিনিয়ত ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশাকরি আপনারা ও এমনটাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভালো থাকার।
আমি @shimulakter, আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আমার বাংলা ব্লগএর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।আজ ও এর ব্যতিক্রম হয়নি।আজ আমি শেয়ার করবো অল্প সময়ের একটি মিষ্টি ভ্রমনের অভিজ্ঞতা। আশাকরি সঙ্গেই থাকবেন।
রাতের শহরে ঘুরতে কার না ভালো লাগেঃ
বন্ধুরা,গরমের প্রকোপ কমে গিয়েছে।সবাই এখন বেশ স্বস্তিতে আছেন আশাকরি।আমরা ও বেশ ভালোই আছি। আমি সেদিন আমার ছেলের জন্মদিনের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম।ছেলের জন্মদিন ৬ ই মে হয়ে গেলো।সেদিন মেঘলা ওয়েদার ছিল।আমি বলেছিলাম যদি সম্ভব হয় রাতের শহরে রিকশা নিয়ে ঘুরতে যাবো।আর গিয়েও ছিলাম।
আমি আর ছেলে এই দুইজন রিকশায় চড়তে ভীষণ পছন্দ করি। বাকিরা যদিও গাড়িতে চড়তেই বেশী পছন্দ করে।আমরা দুজন সেদিন রাতে রিকশা নিয়ে ঘুরতে বের হলাম।আমাদের ঘোরাঘুরি এলিফ্যান্ট রোড,নিউ মার্কেট হয়ে ভার্সিটি এরিয়ার মধ্যে ই হয়ে থাকে।তবে আমার ভার্সিটি এরিয়াতে যেতেই বেশী ভালো লাগে।সেদিন ছিল আবার বাইরে মিষ্টি বাতাস।মন-প্রান উজার করে দিয়ে প্রকৃতি সেদিন নিজের সবটুকু ঢেলে দিয়েছিলো।তাই রিকশায় ঘুরে বেড়াতে ভীষণ ভালো লাগছিলো।
এক রিকশাওয়ালা মামাকে ঠিক করে নিয়ে দুজন রিকশায় চড়ে ঘুরতে বের হলাম।আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন বাইরের সব ধরনের খাবার গুলো আমাকে আকৃষ্ট করলে ও আমি আইসক্রিম ছাড়া আর তেমন কিছুই খাই না।রিকশাওয়ালা মামাকে একটি আইসক্রিমের দোকান দেখে দাঁড়াতে বলে আমি নেমে গিয়ে ছেলের জন্য কোন আইসক্রিম আর আমার পছন্দের চকবার দুটো নিয়ে আবার রিকশায় এসে বসলাম।মামাকে বললাম রিকশা পাশে রেখে আইসক্রিম আগে খেয়ে নিতে।মামা কিছুটা আবেগী হয়ে না না করছিলো।আমি বললাম, আরে মামা গরম কাল কেউ আইসক্রিম দিলে না করবেন না খেয়ে নিবেন,হিহিহি।সত্যি কথা বলতে তাকে স্বাভাবিক করার জন্য ই এমনটি বলেছিলাম।এরপর তিনি বসে থেকে আইসক্রিমটি খেয়ে নিলো।আমরা ও খেয়ে নিলাম।এমন এক পরিস্থিতিতে আমি ফটোগ্রাফিটা করলাম না।কারন এই ফটোগ্রাফিটি করতে আমার মন সায় দেয়নি।তবে মনের মাঝে ছবিটি ঠিক তুলে রেখে দিলাম,ভালোবাসার এক টুকরো স্মৃতি হিসেবে।
আমরা প্রায় ঘন্টাখানেকের মতো ঘুরলাম।মামা এমন এমন পথ দিয়ে রিকশা চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল যেখানে জ্যাম ছিল না।সময়টা খুবই সুন্দর ভাবে ইনজয় করলাম।ছেলের মন খুশী আমার মন খুশী।কারন ঘুরতে কার না ভালো লাগে বলেন তো। আর যখন ঘোরাঘুরিটা হয় গন্তব্য বিহীন তখন ভালো লাগাটা ও হয় সীমাহীন।মামাকে বলে রিকশা আবার বাসার উদ্দেশ্যে নিয়ে যেতে বললাম।এরপর আমরা রিকশা দাঁড় করিয়ে গরম গরম পপকর্ন নিলাম।পথে যেতে যেতে গরম গরম পপকর্ন কিন্তু মন্দ লাগেনি।যারা রাতের শহরে জ্যামহীন পথে রিকশা নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন তারাই বুঝতে পারবেন আমার সেদিনের সেই রিকশা ভ্রমনটি আমি কতটা ইনজয় করেছি ছেলেকে নিয়ে।আশাকরি আপনাদের কাছে ও আমার এই রাতের শহরের ঘোরাঘুরিটা ভালো লেগেছে। আপনাদের ভালো লাগার মাঝেই রয়েছে আমার লেখনীর সার্থকতা।
আমি কিন্তু মামাকে খুশী করার মতোই তাকে তার পারিশ্রমিক দিয়েছিলাম।মামা যখন খুশি হয়েছিল,তখন আমার আরো বেশী ভালো লেগেছিলো।আজ আর নয়।আশাকরি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।আপনাদের কাছে মনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।
সবাইকে ধন্যবাদ
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | ভ্রমন |
---|---|
প্রয়োজনীয় ডিভাইস | OPPO Reno 4Z 5G |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার,আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে আর নতুন নতুন রেসিপি করে সবাইকে খাওয়াতে ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
আসলে এভাবে রাতের বেলায় ঘুরতে আমাদের সবার খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে আপনি আপনার ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে আপনার সন্তানকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছেন এবং বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়েছেন। আসলে যারা রিক্সা এবং ভ্যান চালায় তাদেরও অনেক কষ্ট হয় এবং আপনি তাদের কষ্টের মূল্য দেওয়াতে হয়তোবা সেদিন সেই রিকশা চালক অনেক বেশি খুশি হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ দাদা চমৎকার একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একদম খুবই ভালো লাগে আমার রাতের শহরে ঘোরাঘুরি করতে। খুবই ভালো লেগেছে আপনার সুন্দর এই অনুভূতিটা আমাদের মাঝে প্রকাশ করেছেন দেখে। যেখানে বেশ অনেক কিছুই দেখতে পারলাম ও জানতে পারলাম বর্ণনা পড়ে। আমি যখন কুষ্টিয়া তে থাকতাম মাঝেমধ্যে বান্ধবীদের সাথে রাতে এমন ঘোরাঘুরি করেছি। তাই কম বেশি অভিজ্ঞতা আমারও রয়েছে এবং ভালোলাগা রয়েছে। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
Twitter link
রাতে শহরে ঘোরাঘুরি করার মজা আলাদা। তবে যে সমস্ত এলাকাগুলো নিরাপদ সেই সমস্ত এলাকাগুলোতে এভাবে চলাচল করলে মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়। খুবই ভালো লাগলো সুন্দর একটি মুহূর্ত কিন্তু আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আমারও কমবেশি এই বিষয়ে অভিজ্ঞতা রয়েছে। ঠিক এভাবে রাজশাহী শহরে আমিও ঘোরাঘুরি করেছি গাড়িতে।
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
বর্তমানে ওয়েদারটা খুবই সুন্দর। আর এই সময়ে রাতের বেলা রিকশা দিয়ে শহরে ঘুরতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে ছেলেকে নিয়ে রিকশা করে ঘুরে সময়টা দারুন এনজয় করেছেন। রিকশাওলা মামাকে খুশি করেছেন শুনে ভালো লাগলো। বেচারা রিকশা চালাতে চালাতে ঘেমে গেছে। ধন্যবাদ।
হে ভাইয়া রিকশাওয়ালা মামা ঘেমে গিয়েছিল এতো সময়ে।ধন্যবাদ মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।