এসো নিজে করি সপ্তাহ(দ্বিতীয় দিন)ঃ ধনেপাতার সস তৈরি।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, সবাই ভাল ও সুস্থ্য আছেন,আশাকরি। সকলে ভালো থাকেন এই প্রত্যাশা করি । আমিও ভাল আছি' আজ ১৯ই বৈশাখ, গ্রীষ্মকাল,১৪৩১বঙ্গাব্দ। ২লা মে,২০২৪ খ্রীস্টাব্দ।
অত্যধিক গরম অব্যহত আছে ঢাকাসহ সারা দেশেই। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় একটু কম মনে হচ্ছে গরম। দেশের বিভিন্ন জায়গায় গতকাল ও আজ বৃষ্টি হয়েছে কিন্তু ঢাকায় এখনো হয়নি।আবহাওয়া দপ্তর ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির সম্ভবনার কথা জানিয়েছেন। এই গরমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাল্লা দিয়ে চলছে লোডশেডিং। মানুষ স্বাভাবিক কাজকর্মও ঠিক মত করতে পারছে না। সবকিছু মিলে মানুষের ত্রাহি অবস্থা। এই অতি গরমে আমাদের সাবধানে চলাফেরা করা ছাড়া উপায় নেই! আশাকরি এই তাপপ্রবাহে সবাই সতর্ক থাকবেন, নিরাপদে থাকবেন।বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে, আজ হাজির হয়েছি একটি রেসিপি ব্লগ নিয়ে। আর তা হচ্ছে ধনে পাতার সস রেসিপি।প্রধান উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করেছি ধনে পাতা। এছাড়া প্রয়োজনীয় অন্যান্য উপকরণ। যা নিম্নে বিস্তারিত দেওয়া আছে। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের রেসিপিটি। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক, কিভাবে তৈরি হলো আমার আজকের ধনে পাতার সস রেসিপি।
উপকরণ
উপকরণ
রন্ধণ প্রনালী
ধাপ-১
প্রথমে ধনেপাতা বেছে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে ব্লেন্ডার জারে নিয়ে নিয়েছি। তাতে পরিমাণ মতো সরষে বাটা ,রসুন বাটা লবন ,কাঁচা মরিচ ও সামান্য পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিয়েছি।
ধাপ-২
তেতুল সামান্য পরিমাণ পানিতে কিছুক্ষন ভিজিয়ে রেখে কাঁদ বের করে নিয়েছি।
ধাপ-৩
ব্লেন্ড করা ধনেপাতা একটি চালনীর সাহায্যে চেলে নিয়েছি।
ধাপ-৪
এবার ধনেপাতার সস তৈরি করার জন্য একটি কড়াইতে তেতুলের কাঁদ দিয়ে চুলায় বাসিয়ে দিয়েছি। তাতে পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে ভালোভাবে তেতুলের কাঁদের সাথে মিশিয়ে নিয়েছি। ৫-৬ মিঃ জ্বাল দিয়ে নিয়েছি।এবং একটি বাটিতে ঢেলে নিয়েছি।
ধাপ-৫
এবার তেতুল ও চিনি জ্বাল দিয়ে নেয়া মিশ্রনের সাথে ব্লেন্ড করে চেলে নেয়া ধনেপাতা ও সরষের তেলে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। ব্যস তৈরি আমার ধনেপাতার সস।এবার একটি বয়ামে ঢেলে নিয়েছি। এই সস তৈরির জন্য তেল ও চিনির পরিমাণ একটু বেশি দিতে হবে ।তাহলে সসটি অনেকদিন রেখে খাওয়া যাবে।
পরিবেষণ
এরপর একটি বয়ামে তুলে নিয়েছি।
আশাকরি আজকের ধনেপাতার সস তৈরির রেসিপিটি আপনাদের ভাল লেগেছে। চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা,সিঙ্গাড়া ও সমুচাতে এই সস খেতে খুবেই মজার।সেই সাথে এই সস বানিয়ে সারা বছর সংরক্ষন করা যাবে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার রেসিপির ব্লগ এখানেই শেষ করছি । আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন,সুস্থ্য থাকুন।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | রেসিপি |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
ডিভাইস | Redmi Note 5A |
তারিখ | ২রা মে ,২০২ইং |
লোকেশন | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
ধনেপাতার সস কখনো তৈরি করা হয়নি। এমন কি কখনো খেয়ে দেখা হয়নি। ধনেপাতার ফ্লেভারটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আপু আপনার কাছে নতুন একটি রেসিপি শিখতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি আপু আপনার গুনের কথা বলে শেষ করার মত নয়।
আমারও পছন্দ ধনেপাতার ফ্লেবার।ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://twitter.com/selina_akh/status/1785984812945461574
আপনার ধনেপাতার সস রেসিপি দেখে আমার খুব ভালো লাগলো। আমার ধনে পাতার ভর্তা খেতে খুব ভালো লাগে তবে ধনে পাতার সস হয় এটা আমার জানা ছিল না। আপনার ধনেপাতার সস দেখে এটাও জানা হয়ে গেল। ধনেপাতার সস গুলো খেতেও মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছে । যা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আমিও একবার চেষ্টা করবো ধনেপাতার সস তৈরি করতে। যাইহোক আপু আপনি এত সুন্দর একটা ধনেপাতার সস রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
একদিন বানিয়ে খাবেন ।আশাকরি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
একদম ইউনিক একটি রেসিপি দেখতে পারলাম আপু। খুব সুন্দর ভাবে আপনি ধনিয়া পাতার সস তৈরি করে দেখিয়েছেন। বেশি ভালো লাগলো আপনার এই অসাধারণ রেসিপি তৈরি করতে দেখে। নতুন একটি ইউনিক রেসিপি সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেলাম।
আমার রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
দারুণ একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।ধনে পাতার সস খুব যত্ন নিয়ে তৈরি করেছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে। খেতেও নিশ্চয়ই অনেক ভালো হয়েছে।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর এই রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জি আপু বেশ সময় নিয়ে করতে হয়েছে । সেই সাথে বেশ যত্ন।ধন্যবাদ আপু।
ধনেপাতার সস এই প্রথমবারের মতো দেখতে পেলাম আপনার এই রেসিপির মাধ্যমে। আপনার এই রেসিপিটি সম্পূর্ণ ইউনিক মনে হলো আমার কাছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এই ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমার রেসিপিটি আপনার কাছে ইউনিক লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলেই আপু খুব ইউনিক ছিলো।
ধনেপাতার সস কখনো খাওয়া হয়নি।আজই প্রথম এই রেসিপিটি দেখলাম।খুব সুন্দর করে তৈরি করেছে । তবে করতে যে খুব সহজ হয়েছে তা কিন্তু নয়,যদি ঠিকঠাক মত উপকরণ না দেয়া হয় তাহলে অল্প কদিনেই নষ্ট হয়ে যায়।আপনার কাছ থেকে মজার একটা রেসিপি শিখে নিলাম।
জি আপু উপকরণ সব ঠিক ঠাক মতো দিলে অনেক দিন রেখে খাওয়া যাবে। ধন্যবাদ আপু।
ধনেপাতার সস এর আগে কখনো আমার দেখা হয়নি। আমার কাছে ধনে পাতার ভর্তা খেতে ভীষণ ভালো লাগে। তাছাড়া ধনেপাতা যে কোনো রেসিপিতে দিলে ও খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার আজকের ধনেপাতার সস এর তৈরি আমার কাছে একদম ইউনিক মনে হয়েছে। ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
আমার বানানো ধনের পাতা সস এর রেসিপি আপনার কাছে ইউনিক লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।