সাম্প্রতিক সময়ে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকুন এই প্রত্যাশা করি।আমিও ভালো আছি। আজ ১৪ই বৈশাখ, গ্রীষ্মকাল, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ২৭শেএপ্রিল, ২০২৪ খ্রীস্টাব্দ।
সারাদেশে তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ট। এই গরমে সুস্থ্য থাকাটা জরুরি। সুস্থ্য থাকতে গেলে খাবারে কি খাচ্ছেন, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। বাইরের খাবার, বেশি মসলা যুক্ত খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলাই ভালো।সারাদিনে অল্প অল্প করে পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে। এছাড়া সিজনাল ফলমূল, সবজি, ডাবের পানি, আখের রস, বেলের শরবত, লেবু পানি শরীরের জন্য বেশ কার্যকর। বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করবো। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে দৃশ্য গুলো ধারণ করা হয়েছে। এবারে গ্রামীণ জনপদের কিছু ছবি আমার আজকের ফটোগ্রাফি পোস্টের বিষয়বস্তু। আপনাদের ভালো লাগবে আশাকরি।
প্রথম ফটোগ্রাফি
এই ফটোগ্রাফিটি করা গ্রামের বাড়িতে থাকাকালীন সময়। ফটোগ্রাফিটি হলো দু'ভুট্টা ক্ষেতের মাঝখানের আইল।দুপাশে বেড়া দেওয়ার কারণে দেখতে বেশ সুন্দর সরু মেঠোপথটি । মানুষের হাটা চলা করার জন্য ব্যবহৃত হয় এই পথ।
দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি
এখন গ্রামে ইরি ধান ও ভূট্টার ক্ষেত দেখা যায় মাঠের পর মাঠ। সবুজে ছেয়ে গেছে গ্রামের মাঠ । গ্রামে থাকাকালীন মাঠে বেড়াতে গিয়ে এই ভূট্টার ফটোগ্রাফি করা । বেশ লাগছিলো দেখতে। ভূট্টা তোলা শুরু হয়ে গেছে । আস্তে আস্তে ফসলের মাঠ ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।
তৃতীয় ফটগ্রাফি
নদীমার্তৃক দেশ বাংলাদেশ।কিন্তু আজকাল বাংলাদেশে নদীর সংখ্যা কমে আসছে। দেখা যায় খুব কম। আক্কেল্পুর থেকে জাফরপুর যাওয়ার পথে নদীটি দেখেছি। নদীর নামটি বেশ সুন্দর তুলশীগঙ্গা। নদীটি বেশ গভীর কিন্তু পানির পরিমাণ বেশ কম।যাওয়ার পথে দেখলাম কিছু শিশু গোসল করছে নদীতে।বেশ ভালো লাগলো দেখে।
চতুর্থ ফটোগ্রাফি
এই ফটোগ্রাফিটি ছোট বেলার সেই কবিতার কথা মনে করে দেয়। তাল গাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে উঁকি দেয় আকাশে। কি সুন্দর না ফটোগ্রাফিটি? এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম এইবার ঈদে বাড়িতে যাওয়ার সময় ট্রেন থেকে।
পঞ্চম ফটোগ্রাফি
এই ফটোগ্রাফিটিও করা ট্রেন থেকে ।ট্রেন লাইনের ফটোগ্রাফি। সাথে গ্রামের চিত্র। আজকাল গ্রামের চিত্র বদলে যাচ্ছে। আগে গ্রামে দেখা যেতো খড়ের বাড়ি আর এখন গ্রামে গ্রামে গড়ে উঠেছে কনক্রিট এর বিল্ডিং।
আশাকরি ,আজকের সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন জায়গা্ থেকে ধারণ করা, ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার ফটোগ্রাফি ব্লগ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে । সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | ফটোগ্রাফি |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
ডিভাইস | Redmi Note A5 ও Samsung A-10 |
তারিখ | ২৭শে এপ্রিল,২০২৪ইং |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ। |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
বর্তমান গরমের কথা আর কিইবা বলবো আপু।তবে আপনি ঠিক বলছেন ডাবের পানি সহ বিভিন্ন শরবত পরিমিতভাবে খেতে হবে ।আর বাইরের খাবার মোটেও খাওয়া যাবেনা।গ্রামীণ সমাজের বেশ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্যে।
এই গরমে বাহিরের খাবার না খাওয়াই ভালো।ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
https://twitter.com/selina_akh/status/1784274111608594777
গ্রামীণ দৃশ্য গুলো ভালো লাগার জন্য আলাদা কোন কিছুর প্রয়োজন পরে না। খুব সিম্পল এমন ছবিগুলো দেখে আমিও আমার শ্বশুড়বাড়ির সাথে রিলেট করতে পারছি। ঈদের ছুটিতে গিয়ে ওখানেও এমন ভুট্টার অসংখ্য ক্ষেত দেখেছি। তবে এমন সুন্দর দুই ক্ষেতের মাঝে বেড়া দেয়া আইল চোখে পড়ে নি আমার। আবার ট্রেন থেকে করা তালগাছের ছবির সাথে কী সুন্দর ছোটবেলার কবিতা মিলিয়েছেন! আসলেই বেশ ভালো লাগার রেশ ছড়িয়ে গেলো আপনার পোষ্ট টি দেখে!
জি আপু এখন গ্রামে মাঠের পর মাঠ এ ধরনের ভূট্টা ক্ষেত চোখে পরে।আর তাল গাছটি দেখে ছোট বেলার কবিতার কথাই মনে পরল।ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে, আসলে সাম্প্রতিক সময়ে আপনি ফটোগ্রাফি গুলো উঠিয়ে ছিলেন অনেক সুন্দর ক্লিয়ার ছিল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ।এর মধ্যে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল ভুট্টার আইলের ফটোগ্রাফি টা।
আমার তোলা ফটোগ্রাফি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
এটা একদম ঠিক বলেছেন আপু এই গরমে ভালো থাকতে হলে পানি খেতে হবে। আর বিভিন্ন রকমের জুস খেতে হবে। যাইহোক আপু আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। আর এই দৃশ্যগুলো গ্রামে গেলে অনেক দেখা যায়। যদিও আমাদের এদিকে এই ধরনের চাষাবাদ খুবই কম হয়। তবে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লেগেছে।
জি আপু এ গরমে সবাইকে বেশি পরিমাণে তরল খাবার খেতে হবে।যাইহোক আমার ফটোগ্রাফিগুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু।
এখন শুধু বাংলাদেশ না, সব জায়গাতেই নদীর সংখ্যা অনেক কমে যাচ্ছে আপু। আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি যেহেতু গ্রামীণ পরিবেশের, এজন্য দেখতে বেশি ভালো লাগছে। তবে আমার কাছে ভুট্টা ক্ষেতের ফটোগ্রাফি এবং ট্রেন থেকে তোলা তাল গাছের ফটোগ্রাফিটা অনেক বেশি সুন্দর লেগেছে। ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।