লাইফ স্টাইলঃশীতের পিঠা নিয়ে বোনের বাড়িতে।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,কেমন আছেন? আশাকরি বরাবরের মত ভালো আছেন সবাই। সবসময় কামনা করি,ভালো থাকেন। আমিও ভালো আছি। আজ ৫ই পৌষ, শীতকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ২০ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রীস্টাব্দ।
শীতকাল চলছে।শীতকাল উৎসবের সময়। কি শহর কি গ্রাম। উৎসবের আমেজ দেশব্যাপী।বিভিন্ন মেলা,প্রতিটি সংগঠনের বার্ষিক আয়োজন, উৎসব, পিকনিক,গেট টুগেদার, নানা আয়োজন আর আয়োজন।শীতকাল জুড়ে বিয়েরও মৌসুম। সেইসাথে বাড়িতে বাড়িতে পিঠাপুলির আয়োজন। আত্নীয় স্বজনের আমন্ত্রণ -নিমন্ত্রণ, আনাগোনা।শীতের পিঠাপুলির আদান প্রদান।বন্ধুরা,আমার বাংলা ব্লগে নিয়মিত ব্লগিং এ আজ আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আর তা হচ্ছে আমার মেজো বোনের বাড়িতে শীতের পিঠা নিয়ে দেখা করতে যাওয়া।
আমার মেজো বোনও ঢাকায় থাকে। ঢাকার মানুষ মানেই কর্মব্যস্ত। তারপরেও প্রায়ই দেখা হয় আমাদের। কিন্তু আমি গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কারণে মাস খানেক হচ্ছে দেখা সাক্ষাৎ নেই। আমি ঢাকা ফেরার পর থেকেই মেজো আপা ফোন দিচ্ছে তার বাসায় যাওয়ার জন্য।আর সেই যাওয়া হল আজ!তাই চিন্তা করলাম শীতের পিঠা নিয়ে যাই।আটা সহ অন্যান্য উপকরণ যেহেতু রেডি ছিল যাওয়ার আগে ভাপা আর পাটিসাপটা পিঠা নিয়ে গেলাম। আমি জানি তারা এই পিঠা পছন্দ করে।যেহেতু আপা-দুলাভাই আর একমাত্র ভাগিনা তাই তাদের প্রয়োজন মতই নিয়ে গিয়েছি।
ভাপা ও পাটিসাপটা পিঠা বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিম বঙ্গের বেশ জনপ্রিয় পিঠা।ভাপা পিঠা মুলতঃ শীতকালের পিঠা আর পাটিসাপটা শীতকাল ছাড়াও তৈরি হয়।এখন গ্রাম বা শহর যেখানেই যান পাড়া-মহল্লার মোড়ে মোড়ে শীতের পিঠার অস্থায়ী দোকান।দোকান গুলোতে ভাপা ও চিতই কমন আইটেম।এছাড়া তেলের পিঠাসহ অন্যান্য পিঠাও পাওয়া যায়। এছাড়া খেয়াল করে দেখেছি শহরের স্থায়ী চায়ের দোকান গুলোতে সারা বছরেই পাটিসাপটা পিঠা পাওয়া যায়।যার অর্থ পাটিসাপটা পিঠার বিশাল বানিজ্য আছে বছর জুড়েই।এছাড়া বিভিন্ন অভিজাত পিঠাঘর দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে।
আজ বিকেলে বোনের বাড়িতে ভাপা ও পাটিসাপটা পিঠা নিয়ে হাজির হই।বোনের সাপ্তাহিক ছুটি ছিল আজ।ভাগিনা ও দুলাভাইও বাসায় ছিল।পিঠা পেয়ে সবাই খুশি। বিকেল থেকে সন্ধ্যাটা তাদের সাথে আড্ডা মেরে বাসায় ফিরে আপনাদের জন্য এই পোস্ট। আশাকরি, ভালো লেগেছে সবার।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | লাইফ স্টাইল |
---|---|
মোবাইল ফটোগ্রাফি | Redmi Note A5 |
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
তারিখ | ২০ডিসেম্বর, ২০২৩ |
লোকেশন | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
লোভনীয় পিঠা নিয়ে বোনের বাড়ি গেছেন আর ভাইয়ের কথা স্মরণ করলেন না আপু! যেই পিঠা খাওয়ার জন্য দশ কিলো পথ অতিক্রম করে বামুন্দি বাজারে যেতে হয়। ভাপা পিঠাটা আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে জড়া পিঠা বা পাটিসাপটা অতটা প্রিয় নয়। তবে এই সময় খেজুরের পাটালি দিয়ে মানুষের এই পিঠাগুলো বেশি বানিয়ে থাকে। যাইহোক ভালো লাগলো সুন্দর এই পিঠা তৈরি করে বোনের বাড়ি যাওয়ার অনুভূতি পড়ে।
মনে হলেও কি আর করা ঠিকানাতো জানা নেই। তাই পাঠাতে পারলাম না। বোনের জন্যই নিয়ে গেলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://twitter.com/selina_akh/status/1737522779900322145
বোনের বাসায় যাওয়ার আগে ভাপা পিঠা আর পাটিসাপটা তৈরি করেছেন তাহলে আপনাকে দাওয়াত দিতে হবে কেননা ছোট ভাইয়ের বাসায় আসার সময় তো অবশ্যই পিঠা তৈরি করে নিয়ে আসবেন হি হি হি।
ছোত ভাই-এর ঠিকানা জানা থাকলেতো নিয়ে যেতাম।ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই শীতে মিঠার মৌসুমে যদি কেউ এমন মজাদার পিঠা নিয়ে আসে তবে কার না ভালো লাগে।ঠিক বলেছেন এই মজাদার পিঠাগুলো কিনতে পাওয়া যায় সারাবছর। কিন্তুু শীতকালের মতো সুস্বাদু ও মজা লাগে না।অনেক লোভনীয় করে পিঠাগুলো তৈরি করে বোনের বাসায় নিয়ে গেছেন আপু।ধন্যবাদ সুন্দর পিঠার ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য
বোন চাকরী করে বানাতে সময় পায় না। তাই নিয়ে যাওয়া। ধন্যবাদ আপু।
ঠিকই বলেছেন আপনি। কি শহর কি গ্রাম শীতের সময় পিঠা খেতে পছন্দ করেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না।শীতের সময় পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। শীতের সময় বেশিরভাগই চিতই পিঠা এবং ভাপা পিঠা খাওয়া হয়। তবে বেশ কয়েকদিন পাটিসাপটা পিঠা খাওয়া হয়না। আপনার বোনের জন্য পিঠা নিয়ে গেছেন জেনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
শীতকালে আমি প্রায় সব ধরনের পিঠা বানানোর চেস্টা করি। অন্য সময় পিঠা খেতে তেমন ভালো লাগে না। ধন্যবাদ আপু।
আহারে এরকম বোন যদি আমাদের থাকতো তাহলে আমরাও খুব মজার মজার পিঠা খেতে পারতাম। বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়ে আপনি খুব মজার পিঠা বানিয়ে নিয়েছেন। শীতকালে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। ঢাকা শহরের মানুষ ব্যস্ত থাকে এই ধরনের হাতের পিঠাগুলো ফেলে তারা অনেক খুশি হয়। একমাস আপনার বোনের সাথে দেখা হয় নাই তাই দেখা করতে মজার ভাপা ও পাটিসাপটা পিঠা নিয়ে গেলেন। নিশ্চয়ই সবাই মিলে খুব মজা করে খেয়েছেন।
জি ভাইয়া বেশ খুশী হয়েছে সবাই। ধন্যবাদ ভাইয়া।
শীতের সময় পিঠা নিয়ে আসার মজাই আলাদা। আসলে বোনের বাসায় গেলে নিজের হাতে তৈরি করা পিঠা নিয়ে। সত্যি শীতে ভাপা ও পাটিসাপটা পিঠা অনেক জনপ্রিয়। নিশ্চয়ই আপনার আপা ও দুলাভাই অনেক খুশি হয়েছে। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু তারা বেশ খুশী হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
এক মাস গ্রামের ছিলেন বিদায় বোনের বাসায় দেখা করতে গিয়ে খুব মজার মজার পিঠা বানিয়ে নিয়ে গেছেন। শীতকালে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে বোনের বাসায় একত্রিত হয়ে সবাই মিলে মজা করে পিঠাগুলো খেয়েছেন। এই পিঠাগুলো আমার খুব প্রিয়। সত্যি বলতে আপনার পিঠার রেসিপি দেখে আমার খেতে মন চাইতেছে। এবং ঢাকা শহরে যারা চাকরি করে তারা একসাথে বাসায় থাকলে এরকম পিঠা খেতে পারলে অন্যরকম অনুভূতি লাগে। সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করেছেন তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঢাকায় যারা চাকরী করে তারা পিঠা বানানোর সময় পায় না ।কিনেই খায়। যাই হোক তারা বেশ মজা করেই পিঠা খেয়েছে। ধন্যবাদ আপু।