তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিশেষ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ।ডাই পোস্ট -বাইস্কোপে আমার বাংলা ব্লগ।

দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে প্রতিদিন। ঢাকায় বৃষ্টি নেই। তাই ঢাকায় গরমের মাত্রা অনেক বেশী। দিন দিন বেড়েই চলছে গরমের মাত্রা।যদিও আবহাওয়া অফিস বলছে, ঢাকায় বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা আছে। কিন্তু সে রকম ভারী বৃষ্টি নেই ঢাকায়। বাতাসে অতিরিক্ত আদ্রতার কারণে গরমটা অস্বস্তিকর। ঢাকায় একটা ঝুম বৃষ্টি দরকার।

বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিং এ আজ হাজির হয়েছি একটি ডাই পোস্ট নিয়ে। আর তা হচ্ছে "আমার বাংলা ব্লগের" তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিশেষ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ মূলক পোস্ট। তিন বছর পূর্তি হচ্ছে প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের। সেই সাথে দুই বছর বাংলা ব্লগ এর সাথে আমার জার্নি। আগামী ২২ শে জুলাই দু'বছরের পথ চলা পুর্ণ হবে আমার বাংলা ব্লগের সাথে। বাইস্কোপ আমরা আনেকেই চিনি।আগে বাইস্কোপের বক্স মাথায় করে নিয়ে ফেরি করে বেড়াতো। শিশুদের বিভিন্ন কাহিনী শুনান হতো। আজ এই বাইস্কোপ কেবল বিভিন্ন মেলায় দেখা যায়। সুরে সুরে বিভিন্ন কাহিনী বর্ণনা করা হয় । আজ আমি বাইস্কোপের মাধ্যমে আমার বাংলা ব্লগের কিছুটা ধারনা দেয়ার চেস্টা করেছি।আমি ইউটিউব সম্পর্কে তেমন জানিনা বলে কণ্ঠ দিতে পারিনি। এডিটিং করতে পারিনি।একেবারে র ভিডিও আপলোড করেছি। জানি না কত টুকু পেরেছি। তবে চেস্টা করেছি। এবিষয়ে ভবিষ্যতে আরো উন্নতি করবো বলে আশা করছি। অনেক কিছুই বাদ দিতে হয়েছে আমার বাংলা ব্লগের কার্যক্রম। সবকিছু নিয়ে পোস্টটি তৈরি করলে অনেক বড় হয়ে যেতো ।তাই উল্লেখযোগ্য কিছু কার্য্যক্রম নিয়ে তৈরি করেছি। বাইস্কোপ ডাইটি তৈরি করতে আমি বেশ কিছু উপকরণ ব্যবহার করেছি। আর তা হলো রঙ্গিন কাগজ,বক্স, পোস্টার রং সহ আরও কিছু উপকরণ। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক, কিভাবে তৈরি করলাম বাইস্কোপে আমার বাংলা ব্লগ ডাইটি। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।

প্রথমে ১৪ সেঃ X১৬সেঃ সাইজের এক টুকরো সাদা কাগজ কেটে নিয়েছি আমার বাংলা ব্লগের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বানানো লোগো আঁকার জন্য। এরপর পেন্সিল দিয়ে লোগোটি এঁকে নিয়েছি।

এবার এবিবি স্কুল বানানোর জন্য ১৪ সেঃ X১৬সেঃ সাইজের লাল রং এর কাগজ কেটে নিয়েছি। এবং হলুদ কাগজ আয়তক্ষেত্রের মতো করে কেটে নিয়েছি। এবং গোলাপী রং এর কাগজ ত্রিভুজ আকৃতির করে কেটে নিয়েছি ।

এরপর কেটে নেয়া কাগজের টুকরো দু'টো ঘরের মতো করে গাম দিয়ে লাগিয়ে নিয়েছি। এবং জানালা ,দরজা এঁকে নিয়েছি। সেই সাথে কিছু কথা লিখে নিয়েছি।

পেন্সিল এর দাগ অনুযায়ী পিনটি কাঁচি দিয়ে কেটে নিয়েছি ।এবং গাম দিয়ে টিয়া রং এর কাগজ উপর লাগিয়ে নিয়েছি। সেই সাথে কিছু কথা লিখে নিয়েছি।

১৪ সেঃ X১৬সেঃ সাইজের হলুদ রং এর কাগজ কেটে নিয়েছি। তার উপর সাইন পেন দিয়ে একটি কম্পিউটার এঁকে নিয়েছি। এবং কিছু কথা লিখে নিয়েছি।

১৪ সেঃ X১৬সেঃ সাইজের টিয়া কাগজ কেটে নিয়েছি। তার উপর কম্পিউটার এঁকে নিয়েছি কালো রং এর সাইন পেন দিয়ে এর উপরও কিছু কথা লিখে নিয়েছি।

১৪ সেঃ X১৬সেঃ সাইজের লাল রং এর কাগজ কেটে নিয়েছি। তার উপর লাজুক খ্যাঁক এর স্কেচ করে নিয়েছি পেন্সিল দিয়ে। পেন্সিল এর স্কেচ এর উপর সাদা ও ব্রাউন পোস্টার রং দিয়ে রং করে নিয়েছি। সেই সাথে কিছু কথা লিখে নিয়েছি।

১৪ সেঃ X১৬সেঃ সাইজের হলুদ রং এর কাগজের উপর একটি হাঁসির ইমোজি এঁকে নিয়েছি কালো ও লাল রং এর সাইন পেন দিয়ে। সেই সাথে কিছু কথা লিখে নিয়েছি।

এরপর একই সাইজের টিয়া রং এর কাগজের উপর বৃত্তের মধ্যে সাইন পেন দিয়ে কিছু ডিজাইন এঁকে নিয়েছি। সেই সাথে ফিচারড আর্টিকেল নিয়ে কিছু কথা লিখে নিয়েছি।

২৩ সেঃ X১৫সেঃ সাইজের একটি বক্স নিয়েছি বাইস্কোপের বক্স বানাতে। বক্সটি জানালার মতো করে কেটে নিয়েছি। এবং কালো রং এর কাগজ গ্লু দিয়ে কাটা জায়গাটির চারদিকে লাগিয়ে নিয়েছি।

বক্সটিকে সুন্দর করার জন্য ক্লে দিয়ে কিছু পাতা ও পাপড়ি বানিয়ে নিয়েছি। সেই পাতা ও পাপাড়ি দিয়ে কিছু ফুল,পাতা ও ডাল দিয়ে বক্সটি সাজিয়ে নিয়েছি।

এবার বাইস্কোপের স্ট্যান্ড বানানোর জন্য টিসুল রোল একই সাইজের দু'টুকর করে নিয়েছি ।এবং হলুদ কাগজ গ্লু দিয়ে লাগিয়ে নিয়েছি। টিসু রোল দু'টি গাম দিয়ে বক্সের নিয়ে লাগিয়ে দিয়েছি।

আশাকরি, আমার বাংলা ব্লগ এর তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজন করা প্রতিযোগিতায় আমার উপস্থাপিত বাইস্কোপে আমার বাংলা ব্লগ আপনাদের ভাল লেগেছে। আমি চেষ্টা করছি বাইস্কোপে আমার বাংলা ব্লগ ডাইটি সুন্দরভাবে তৈরি করতে। আপনারাই ভালো বলতে পারবেন কতটুকু সফল হয়েছি। আমার আজকের উপস্থাপিত ডাইটি আপনাদের ভালো লাগলেই আমার ভালো লাগবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। শুভ রাত্রি।

আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।