রেনডম ফটোগ্রাফি।

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, সবাই ভাল ও সুস্থ্য আছেন,আশাকরি। সকলে ভালো থাকেন এই প্রত্যাশা করি । আমিও ভাল আছি। আজ ২৫ অগ্রাহায়ন হেমন্তকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রীস্টাব্দ। বর্তমানে গ্রামে আছি।শীত ছিল সহনীয়। গতকাল থেকে তীব্রতা বেড়েছে শীতের।গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে। আজ সর্বনীম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে। আজ রাতে যখন এই ব্লগ লিখছি,তখন কুয়াশার চাদরে ঢাকা চারদিক। ৫ হাত সামনেই কি আছে দেখা যাচ্ছেনা। এই সিজনে এরকম কুয়াশা আজই প্রথম।আমাদের সকলের নিজ নিজ জায়গা থেকে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আশাকরি দানশীল- বিত্তবান মানুষেরাও এগিয়ে আসবেন । বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিং এ আজ আমি আপনাদের সাথে একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার কববো। বিভিন্ন ফুলের ফটোগ্রাফি। গ্রামের বাড়িতে তোলা। যেখানেই যাই চিন্তা থাকে, আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুদের সাথে, শেয়ার করার মত কিছু সংগ্রহ করার। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আশাকরি, ফটোগ্রাফিগুলো ভালো লাগবে আপনাদের।

এই ফুলটি কি চিনতে পারছেন? অনেকেই মনে হয় চিনেন । হ্যা এই ফুলটি হলো লেবু ফুল। আমি যখন গ্রামে ১০-১২ দিন আগে আসি তখন এই ফুলের কলির রংটি দেখে বেশ ভালো। কি সুন্দর বেগুনী রং এর ফুল তাই ফটোগ্রাফি করা। ১০ দিন পর নিচের ফটোগ্রাফিটি করা । যখন কলিটি ফুলে পরিনত হয়েছে তখন দ্বিতীয় ফটোগ্রাফিটি করা।

এই ফুলটি আমি প্রথম দেখলাম গ্রামের ক্ষেতে হাঁটতে গিয়ে। অনেকেই নিশ্চয়ই চেনেন। এই ফুলটি হল ঘাস ফুল। এই ঘাস বানিজ্যিকভাবে চাষ করা হয় গরুর খাদ্য হিসাবে।ফুলটি দেখতে বেশ সুন্দর। তাইতো ফটোগ্রাফি করা।

এই ফুল সবার চেনা। হ্যা এই ফুলটি হলো শীতের সবজি শীমের। দেখতে বেশ সুন্দর এই ফুলটি। শীমে রয়েছে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

এই ফুল সবার চেনা । লাল জবা ফুল ,দেখতে বেশ সুন্দর। ননদের নতুন বাড়িতে লাগানো জবা ফুলের গাছের ফুল। রংটা বেশ সুন্দর, লাল টকটকে। তাইতো ফটোগ্রাফি করা। জবা ফুলের পাতা ও ফুল ঔষধিগুন সম্পন্ন। চুলের যত্নে জবা ফুল ও ফুলের পাতা বেশ কার্যকর।

ফুলটির নাম রঙ্গন। রঙ্গন অনেক রং এর হয়। তবে লাল রং এর রঙ্গন ফুল প্রায় সব জায়গায় দেখতে পাওয়া যায়। প্রায় প্রতিটি জায়গায় রঙ্গন ফুলের গাছ দেখা যায় এর সহজ চাষ পদ্ধতির জন্য। এই রঙ্গন ফুলের রংটি গাঢ় লাল। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে ফুলটি। তাই ফটোগ্রাফি করা।

এই গাছটি সব জায়গায় দেখা যায়। বিভিন্ন অফিস,রোড ডিভাইডারের সৌন্দর্য্য বর্ধনে এই গাছ দেখা যায়। এই গাছটিও বিভিন্ন রং এর দেখতে পাওয়া যায়।সবুজ পাতার মাঝখানে গোলাপী পাতা ,দেখতে বেশ সুন্দর। তবে আমি এই গাছের নাম জানি না।কারও জানা থাকলে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানালে খুশি হবো।

আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।