রেসিপিঃচিনির মজাদার গজা।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

সবাইকে শুভেচ্ছা।

বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? আশাকরি ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি। আজ ১লা আশ্বিন, শরৎকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ১৫ সেপ্টেম্বর,২০২৩ খ্রীস্টাব্দ। আমার বাংলা ব্লগে নিয়মিত ব্লগিং এ আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি রেসিপি নিয়ে। আর তা হচ্ছে মজাদার চিনির গজার রেসিপি। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য গজা পছন্দ করেন না এমন মানুষ পাওয়া যাবে না। গ্রামীণ মেলা,বারনী পুজায় গজা না হলে চলেই না! শহরেও এখন সর্বত্রই পাওয়া যায়। গুড় বা চিনি দিয়ে তৈরি করা যায়। আমি চিনি দিয়ে করেছি। গজাকে অনেকে খুরমাও বলে। আবার আঞ্চলিক ভাবে একেক এলাকায় একেক নাম আছে গজার। নাম যাই হোক খেতে কিন্তু খুব মজার। আমার বেশ ভাল লাগে তাই মাঝে মধ্যেই তৈরি করি। বন্ধুরা, আজকের এই রেসিপি তৈরিতে প্রধান উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করেছি ময়দা ও চিনি। এছাড়া অন্যান্য উপকরণতো আছেই। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক, কিভাবে তৈরি হলো আমার উপস্থাপিত আজকের রেসিপি মজাদার চিনির গজা।আশকরি ভালো লাগবে আপনাদের।

r18.jpg

উপকরণ

r11.jpg

r6.jpg

r24.jpg

উপকরণপরিমাণ
ময়দা১ কাপ
লবনপরিমাণ মতো
কালো জিরা১ চাঃ চমচ
চিনি১ কাপ
এলাচ২টী
দারুচিনি২ টুকরো
তেজপাতা২টি
তেল২কাপ

রন্ধণ প্রনালী

ধাপ-১

r1.jpg

প্রথমে একটি বাটিতে ১ কাপ ময়দা নিয়েছি।

ধাপ-২

r3.jpg

r2.jpg

r4.jpg

r5.jpg

ময়দায় পরিমাণ মতো লবল,তেল ও কালো জিরা মিশিয়ে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে মেখে নিয়েছি। এবং ১৫ মিনিট রেস্টে রেখে দিয়েছি।

ধাপ-৩

r12.jpg

r13.jpg

এরপর এলটি রুটি বেলে নিয়েছি সিকি ইঞ্চি পুরু করে। এবং ছুড়ি দিয়ে চিকন চিকন করে কেটে নিয়েছি।

ধাপ-৪

r14.jpg

চুলায় একটি কড়াই এ পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিয়েছি।

ধাপ-৫

r15.jpg

r16.jpg

তেল হাল্কা গরম হয়ে এলে তাতে কেটে রাখা ময়দার টুকরোগুলো দিয়ে দিয়েছি। এবং ধীরে ধীরে বাদামী করে ভেঁজে নিয়েছি। এভাবে সবগুলো ভেঁজে নিয়েছি।

ধাপ-৬

r7.jpg

r8.jpg

r9.jpg

r10.jpg

এবার চিনির শিরা তৈরি করার জন্য একটি হাড়িতে আধা কাপ পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিয়েছি। এবং তাতে এক কাপ চিনি দিয়ে দিয়েছি। এবং এলাচ,দারুচিনি ও তেজপাতা দিয়ে দিয়েছি। এবং দুই তারে শিরা তৈরি করে নিয়েছি।

ধাপ-৭*

r17.jpg

এবার সেই শিরায় ভাজা ময়দার টুকরো গুলো দিয়ে ভালোভাবে চিনির শিরার সাথে মিশিয়ে নিয়েছি। আর এ ভাবেই তৈরি করে নিলাম মজাদার চিনির গজা।

পরিবেষণ

r19.jpg

r20.jpg

এরপর একটি পিরিচে তুলে নিয়ে সাজিয়ে পরিবেশণ করেছি।

আশাকরি আজকের মজাদার চিনির গজার রেসিপি আপনাদের ভাল লেগেছে।আমার কাছে বেশ ভাল লেগেছে খেতে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার রেসিপির ব্লগ এখানেই শেষ করছি। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীরেসিপি
ক্যামেরাRedmi Note5A
পোস্ট তৈরি@selina75
তারিখ১৫ সেপ্টম্বর, ২০২৩
লোকেশনঢাকা, বাংলাদেশ

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Sort:  
 last year 

সারা জীবন নাম শুনেছি মজা-গজা, ছোটবেলা অনেক সময়ে বলেছি আমার জন্য মজা-গজা নিয়ে এসো, কিন্তু এই গজা যে সত্যিই একটা খাবার এইটা জেনেছি কয়েক বছর আগে। আপনি চমৎকার ভাবে গজা তৈরি করার রেসিপিটি দেখিয়েছেন খুব ভালো লাগলো।

 last year 

আসলেই অনেক মজা এই গজা।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

আমাদের এখানে এটাকে মুরালি বলে,খেতে বেশ ভালোই লাগে ছোটবেলায় আমার বেশ পছন্দের একটি জিনিস ছিলো।বাসায় কখনও বানানোর সাহস করিনি তবে আপনার রেসিপির ধাপ গুলো দেখে মনে হচ্ছে খুব বেশি কঠিন না। ভালো লাগলো। প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

জি আপু বানানো বেশ সহজ।অনেক ধন্যবাদ আপু।

 last year 

খুব দামি একটি রেসিপি উপস্থাপন করেছেন আপু চিনির যে দাম এটাকে দামি রেসিপিই বলতে হবে গজা অনেক ভাল হয়েছে ধন্যবাদ হাতে বানানো ধাপ গুলো উপস্থাপন করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

কোন জিনিস এর দাম এখন আর কম নেই ভাইয়া।সকল পণ্য এখন হাতের নাগালের বাইরে।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

গজা গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে অনেক প্রিয় একটি খাবার। তবে এখন আর এসব খাবার খুব একটা দেখা যায় না আপু। ছোটবেলায় খেয়েছিলাম। আপু আপনি অনেক সুন্দর করে এই মজার রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু। আপনার রেসিপি তৈরির দক্ষতা সত্যিই অসাধারণ।

 last year 

এখন বিভিন্ন উৎসবে বিক্রি হয়।বেশ লাগে খেতে।অনেক ধন্যবাদ আপু।

 last year 

চিনি দিয়ে তৈরি এরকম গজা আমি কখনোই দেখিনি। আর কখনো এরকম নামও শুনিনি। আপনার কাছ থেকে এই প্রথম এরকম একটি রেসিপি সম্পর্কে জানতে পারলাম এবং দেখতে পেলাম। খুবই ভালো ভাবে আপনি এটি তৈরির ধাপগুলো শেয়ার করছেন যা সকলের কাছে বোধগম্য।

 last year 

এই গজা গুড় দিয়েও বানানো যায়।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

আপনি চিনি দিয়ে খুব সুন্দর করে গজা রেসিপি বানিয়েছেন। যদিও আমাদের এদিকে গজাকে আমরা আঙ্গুলি বলে থাকি। তবে আপু আপনি ঠিক বলেছেন গজার এক জায়গায় এক এক নামে বলে থাকে। যদিও বিভিন্ন ধরনের মেলায় গজাগুলো দেখা যায়। খুব সুন্দর করে গজা বানানোর রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

চট্টগ্রামে গজাকে বলে চনামুরার ঠ্যাঙ। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

আপু আপনি আজকে যে চিনির গজা তৈরি করেছেন এটা কি আমরা খুরমা বলে থাকি। যারা খুরমা তৈরি করে আমি তাদের বাড়িতে বসে দেখেছিলাম তাদের এই প্রস্তুত প্রণালী গুলো। তবে গজা হোক এবং খুরমা হোক এই খাবারটি খেতে ভীষণ সুস্বাদু।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

জি ভাইয়া আমার শ্বশুর বাড়িতেও খুরমা বলে
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

 last year 

গজা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। ছোটবেলা বিভিন্ন ধরনের মেলা এবং মাহফিলে গেলে এই গজা গুলো কিনে খেতাম। যদিও আমরা এই গজা গুলোকে আঙ্গুলি অথবা খুরমা বলে থাকি। তবে আপনি ঠিক বলেছেন গজা গুলোকে এক এক জায়গাতে এক এক নামে মানুষ চিনে। ময়দা এবং চিনি দিয়ে খুব সুন্দর করে গজা বানিয়েছেন। এবং অনেক সুন্দর করে গজা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

 last year 

ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 65556.02
ETH 2660.30
USDT 1.00
SBD 2.91