রেসিপিঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে বানানো সমুচা।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? আশাকরি, সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকুন এইপ্রত্যাশা করি। আমিও ভালো আছি। ২রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই মে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় কমবেশী বৃষ্টি হলেও গত দুই/তিন দিন ধরে ভ্যাপসা গরম। দেশের কোথাও কোথাও ৪০ ডিগ্রী ছুই ছুই তাপমাত্রা। আবহাওয়াবিদদের মতে সারাদেশেই মাঝারি তাপপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। এবং বাতাসে জলীয়বাস্প বেশী থাকার কারণে ভ্যাপসা গরম মানুষকে ভোগাচ্ছে। আগামীকালের পর তা কমে যাওয়ার সম্ভবনা আছে। পরিবর্তিত আবহাওয়ায় আমরা বরাবরের মত নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবো বলে আশাকরি। প্রিয় বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ হাজির হয়েছি একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে। রেসিপিটি হচ্ছে ঘরোয়া পদ্ধতিতে বানানো সমুচা। সমুচা মুখরোচক খাবার।বিকেলের নাস্তায় আমাদের অনেকের প্রিয়। আপনাদের কত প্রিয় জানি না, তবে আমার ভীষণ প্রিয়।আর এই প্রিয় রেসিপিটি তৈরি করতে প্রধান উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেছি ময়দা, মুরগীর মাংস, তেলসহ অন্যান্য উপকরণ। প্রতিটি উপকরণের ব্যবহার ও তৈরির পদ্ধতি নিম্নে বিস্তারিত তুলে ধরেছি। আশাকরি, ঘরোয়া পদ্ধতিতে বানানো সমুচার রেসিপিটি আমাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ
উপকরণ | পরমাণ |
---|---|
ময়দা | ২ কাপ |
তেল | ২ কাপ |
লবন | স্বাদ মতো |
কাঁচা মরিচ | ৭-৮টি |
মুরগীর বুকের মাংস | ২০০গ্রাম |
আদা বাটা | ১ চা; চামচ |
রসুন বাটা | ১ চাঃ চামচ |
পিয়াজ কুচি | ১ কাপ |
পুদিনা পাতা কুচি | প্রয়োজন মতো |
সয়া সস | ১ টেঃ চামচ |
গরম মশলা গুড়া | ১ চাঃ চামচ |
ধনে গুড়া | ১ টেঃ চামচ |
ধাপ-১
প্রথমে সমুচার রুটি তৈরি করার জন্য একটি বাটিতে ময়দা নিয়ে নিয়েছি। তাতে পরিমাণ মতো লবন ও তেল দিয়ে প্রথমে মেখে নিয়েছি। এরপর পরিমান মতো পানি দিয়ে একটি ডো তৈরি করে নিয়েছি। এবং আধা ঘন্টার জন্য রেস্ট রেখে দিয়েছি।
ধাপ-২
এবার সমুচার পুর তৈরি করার জন্য মুরগীর মাংসে পরিমাণ মতো আদা বাটা ,রসুন বাটা ও পরিমাণ মতো পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিয়েছি মাংস সিদ্ধ হওয়ার জন্য।
ধাপ-৩
মাংস সিদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে এলে তা কুচি কুচি করে ছিড়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪
এবার চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিয়েছি পরিমাণ মত তেল দিয়ে । তেল গরম হয়ে এলে তাতে পিয়াজ কুচি দিয়ে দিয়েছি। পিয়াজ কিছুটা নরম হয়ে এলে তাতে কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে দিয়েছি। এরপর তাতে ধনে গুড়া ও জিরা গুড়া দিয়ে ভালোভাবে সবগুলো উপকরণ মিশিয়ে নিয়েছি। এরপর তাতে কুচি করা মাংস দিয়ে আবারও সকল উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। এরপর পরিমাণ মতো সয়া সস দিয়ে ও পুদিনা পাতা কুচি দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। এবং একটি বাটীতে তুলে নিয়েছি।
ধাপ-৫
এরপর সেই ডো থেকে পরিমাণ মতো ডো নিয়ে ২টি লেচী কেটে নিয়েছি। এবং দু'টি রুটি বেলে নিয়েছি। এরপর প্রতিটি রুটিতে তেল লাগিয়ে নিয়েছি। তেলের উপর ময়দা দিয়ে দিয়েছি। এবং একটির উপর একটি রেখে বড় একটি রুটি বানিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
এবার চুলায় একটি তাওয়া বসিয়ে দিয়েছি। তাওয়া গরম হয়ে এলে তাতে রুটি দিয়ে হাল্কা করে ভেজে নিয়েছি। ঠান্ডা হলে দু'টো রুটি আলাদা করে নিয়েছি। এবং ছুড়ি দিয়ে চার টুকরো করে নিয়েছি।
ধাপ-৭
এবার একটি বাটিতে ৩ চামচ ময়দাতে পানি দিয়ে একটি ঘন ব্যাটার তৈরি করে নিয়েছি।
ধাপ-৮
এবার কেটে রাখা রুটি থেকে এক টুকরো রুটি নিয়ে নিয়েছি। রুটির এক পাশে বানানো ব্যাটার লাগিয়ে নিয়েছি এবং রুটির দু'পাশ লাগিয়ে কোনের মত বানিয়ে নিয়েছি। সেই কোনে পরিমাণ মতো পুর দিয়ে ব্যাটার লাগিয়ে মুখটি বন্ধ করে দিয়েছি। ব্যাস তৈরি সমুচা। এভাবে আরও কিছু বানিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৯
এবার পরিমাণ মতো তেল দিয়ে চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হয়ে এলে তাতে বানানো সমুচা দিয়ে ব্রাউন করে ভেজে তুলে নিয়েছি।
উপস্থাপন
আশাকরি আজকের ঘরোয়া পদ্ধতিতে বানানো সমুচার রেসিপিতি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমি চেষ্টা করি নতুন নতুন রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমার রেসিপি ব্লগ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। পরিবারের সকলের যত্ন নিন।নিজে ভালো থাকুন অন্যকে ভালো রাখুন।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | রেসিপি পোস্ট |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
ডিভাইস | Redmi Note A5 |
তারিখ | ১৬ই মে,২০২৪ |
লোকেশন | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
আপনার তৈরি করা সমুচা দেখে লোভ লেগে গেল আপু। আপনি যেহেতু চিকেন দিয়ে তৈরি করলেন খেতে খুবই ভালো লাগবে। বিকেলের নাস্তায় দারুণ একটি নাস্তা আপু চিকেন সমুচা। এই সমুচা সস দিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগবে। অনেক ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দর ভাবে আপনি রেসিপিটি উপস্থাপন করলেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
জি আপু চিকেন সমুচা খেতে বেশ মজা হয়
আর বিকালের নাস্তায় এ ধরনের খাবার খেতে বেশ ভালো লাগে
ধন্যবাদ আপু।
https://twitter.com/selina_akh/status/1791070190312272031
মাঝে কয়েকদিন পরিবেশটা একটু ঠান্ডা ছিল এখন আবার গরম শুরু হয়েছে। যাই হোক, এভাবে বাসায় কখনো সমুচা তৈরি করে খাওয়া হয়নি। তবে শুনেছিলাম এভাবে নাকি বাসায়ও তৈরি করা যায়। আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে শিখিয়ে নিলাম জিনিসটা। খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন সম্পূর্ণটা। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এভাবে বাসায় সমুচা বানালে খেতে বেশ মজা হয়।একদিন বানাবেন। আশাকরি ভালো লাগবে।ধন্যবাদ আপু।
আসলেই আপু প্রচন্ড গরম পড়েছে ৷ গত কয়েকদিনের অবস্থা আরো বেশি ভয়াবহ ৷ আমাদের এখানেও বৃষ্টির দেখা নেই ৷ যাই হোক , আপনি আজ বেশ চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ৷ আপনার রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ আসলে সমুচা আমার বেশ পছন্দের একটি খাবার ৷ সমুচা তৈরি রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ ধনবাদ
বেশিভাগ মানুষ মনে হয় এই সমুচা পছন্দ করে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে বানানো সমুচা দেখতে বেশ দারুণ লাগতেছে। আসলে ঘরোয়া উপায়ে বানানো উত্তম। বাইরের জিনিস খুব একটা স্বাস্থ্যকর হয় না। আপনি দারুন দক্ষতায় সম্পন্ন করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগতেছে। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ঠিক তাই বাহিরের খাবার স্বাস্থ্যকর নয়।বাসায় বানানো বেশ স্বাস্থ্যসম্মত। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু একেবারে সস দিয়ে সমুচার রেসিপি চোখোর সামনে তুলে ধরলেন। আপনার রেসিপি দেখে তো চোখে ফেরানো যাচেছ না। দারুন একটি রেসিপি করেছেন। এটা অনেকেরই প্রিয় একটি রেসিপি। খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। শুভ কামনা রইল আপু আপনার জন্য।
জি আপু বেশ মজা হয়েছিল খেতে।ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দারুন হয়েছে আপনার সমুচা তৈরি করা। আমি কিন্তু প্রচন্ড পছন্দ করে থাকি এ রেসিপি। বাজারে গেলে কিনে খাওয়ার চেষ্টা করে থাকি। বেশ ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই রেসিপি তৈরি করতে দেখে।
ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
দুইদিন থেকে অনেক গরম পড়েছে আপু। অবস্থা একেবারে খারাপ। বৃষ্টি পড়লে হয়তো আবহাওয়াটা ঠান্ডা হবে। যাইহোক আপু আপনার তৈরি করা সমুচা দারুন হয়েছে। মনে হচ্ছে খেতে খুবই ভালো হয়েছিল। এই ধরনের লোভনীয় খাবার গুলো দেখলেই তো খেতে ইচ্ছা করে।
জি আপু এ ধরনের খাবার খেতে বেশ মজা লাগে।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।