পেইন্টিংঃ নয়নতারা ফুলের পেইন্টিং।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,আশাকরি সবাই ভালো আছেন।সবাই ভালো থাকুন এই প্রত্যাশা করি সবসময়। আমিও ভালো আছি।আজ ৩১শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ১৪ই জুন ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ। বন্ধুরা, আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি একটি পেইন্টিং।আজকে একটি নয়নতারা ফুলের পেইন্টিং আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ।
দুই দিন পরেই ঈদুল আজহা। ফাঁকা হতে শুরু করেছে ঢাকা। শিকড়ের টানে আপনজনদের সাথে ইদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামে ফিরছে মানুষ। সবার ঈদযাত্রা আনন্দময় ও নিরাপদ হোক এই কামনা করি। বন্ধুরা,আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ হাজির হয়েছি একটি পেইন্টিং পোস্ট নিয়ে। আর তা হচ্ছে নয়নতারা ফুলের পেইন্টিং। আমি এই পেইন্টিংটি একটি ফটোগ্রাফি দেখে করার চেস্টা করেছি। আমার বাংলা ব্লগে যুক্ত হওয়াতে এখন যা দেখি তাই আর্ট করার চেস্টা করি।নয়ন তারা ফুল অনেক রং এর দেখা যায়। আজ আমি সাদা নয়নতারা ফুলের পেইন্টিং আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। পেইন্টিংটি করার পর বেশ ভালো লাগছিলো দেখতে। আশাকরি আপনাদেরও ভালো লাগবে। পেইন্টিংটি করতে আমি বিভিন্ন রং এর পোস্টার রং ব্যবহার করেছি।পেইন্টিংটি সম্পূর্ণ করতে উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করেছি সাদা কাগজ, পোস্টার রং সহ আরও কিছু উপকরণ। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক, কিভাবে আঁকলাম আজকের সাদা নয়নতারা ফুল এর পেইন্টিংটি। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।
উপকরণ
১। সাদা কাগজ
২।পেন্সিল
৩।বিভিন্ন রং এর পোস্টার রং
৪।তুলি
অংকনের ধাপ সমূহ
ধাপ-১
প্রথমে এক টুকরো সাদা কাগজের চার পাশে পেন্সিল দিয়ে দাগ দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-২
পেন্সিল দিয়ে হাল্কা করে কিছু নয়ন তারা ফুল ও পাতা এঁকে নিয়েছি।
ধাপ-৩
ব্যাকগ্রাউন্ড কালো রং করে নিয়েছি।
ধাপ-৪
এরপর পাতাগুলো সবুজ রং করে নিয়েছি। সেই সাথে হাল্কা সবুজ রং দিয়ে পাতার শিরা গুলো এঁকে নিয়েছি।এবং ফুলের মাঝখানে হলুদ রং করে নিয়েছি।
ধাপ-৫
হলুদের মাঝখানে কালো বিন্দু দিয়ে নিয়েছি।এবং আমার স্টিমিট আইডি সিগনেচার করে দিয়ে পেইন্টিংটি শেষ করেছি।
উপস্থাপন
আশাকরি, আমার আজকের আঁকা নয়নতারা ফুলের পেইন্পটিংটি, আপনাদের ভাল লেগেছে। আমি চেষ্টা করছি পেইন্টিংটি সুন্দর করে সম্পন্ন করতে। আমার আজকের উপস্থাপিত পেইন্টিংটি আপনাদের ভালো লাগলেই আমারও ভালো লাগবে। আজ এই পর্যন্ত। সবাই ভালো থাকুন,সুস্থ্য থাকুন। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। শুভ রাত্রি।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | পেইন্টিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina75 |
ডিভাইস | Redmi Note A5 |
তারিখ | ১৪ই জুন, ২০২৪ |
লোকেশন | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে নয়ন তারা ফুলের পেইন্টিং অংকন করে শেয়ার করেছেন দেখে রীতিমত মুগ্ধ হলাম। এর আগে কখনোই নয়ন তারা ফুলের এরকম পেইন্টিং দেখিনি আপনি প্রথমবার হয়তোবা কমিউনিটিতে শেয়ার করেছেন। পেইন্টিং করতে যারা পছন্দ করে তাদের কাছে এ ধরনের পেইন্টিং করা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমি পছন্দ করি পেইন্টিং করতে কিন্তু তেমন দক্ষ নই। তবুও চেস্টা করি আপনাদের উৎসাহে।মতামতের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/selina_akh/status/1801661796060930419
নয়নতারা ফুলের খুব চমৎকার একটি পেইন্টিং করেছেন আপনি। খুবই সুন্দর লাগছে দেখতে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
খুবই সুন্দর একটা পেইন্টিং শেয়ার করলেন আপু। আপনার তৈরী এই নয়নতারা ফুলের আর্টটি সত্যিই অসাধারণ হয়েছে। আপনাকে ধন্যবাদ এতো সুন্দর ফুলের আর্ট করার ধাপ গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য.
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ চমৎকারভাবে নয়নতারা ফুলের পেইন্টিং তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি পেইন্টিং দেখতে আমার কাছে বেশ অসাধারণ লেগেছে। আসলে যেকোনো ধরনের হাতের কাজ আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। এত সুন্দর ভাবে পোস্ট তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
আমার আঁকা নয়নতারার পেইন্টিংটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক সুন্দর ভাবে নয়নতারা ফুলের পেইন্টিং করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার চমৎকার এই ফুলের পেইন্টিং দেখে আমার অনেক অনেক ভালো লেগেছে। এক কথায় অসাধারণ ছিল আপনার এই পেইন্টিং করা।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাহ আপু আপনার পেইন্টিং এর হাত তো অনেক সুন্দর। নয়নতারা ফুলের পেইন্টিং দেখে বাস্তব ফুলের মতো লাগছে। গাছের মধ্যে যেমন ফুল থাকে এখানেও ঠিক সেরকম বুঝা যাচ্ছে। মনে হয়েছে আপনি গাছকে দেখে দেখে কাগজের মধ্যে নকল করেছেন। পেইন্টিং দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
আমি একটি ফটোগ্রাফি দেখে পেইন্টিংটি করার চেষ্টা করেছি।ধন্যবাদ ভাইয়া উৎসাহ দেয়ার জন্য।
আমরা সবাই প্রত্যাশা করি সবার ঈদ যাত্রা যেন শুভ হয়। গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য কিংবা প্রিয়জনের কাছে যাওয়ার জন্য সবাই দূর-দূরান্তে ছুটে চলে যাচ্ছে। আপু আপনার পেইন্টিং অসাধারণ হয়েছে। নয়নতারা ফুলগুলো দেখতে সত্যিকারের নয়ন তারা ফুলের মতোই লাগছে।
ঠিক তাই সবার ঈদ যাত্রা যেনো শুভ হয়।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
নয়নতারা ফুলের পেইন্টিংটা আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আর আপনার মত আমার ও পেইন্টিং করতে অনেক ভালো লাগে। আপনার পেইন্টিং এর আমার সবচেয়ে ভালো লাগার যে দিকটি রয়েছে সেটা হচ্ছে আপনি এটি ড্রয়িং করার পরে খুব সুন্দর রং দিয়ে ডিজাইন করে পেইন্টিং করেছেন তার জন্য অনেক বেশি চমৎকার লাগছে।
আমি যেহেতু আঁকায় পটু নই ।তাই আগে এঁকে নিয়েছি। যাইহোক আমার আঁকা পেইন্টিংটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।