পরিবেশবান্ধব রঙিন সব্জির ফটোগ্রাফি।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? আশাকরি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। সকলে ভালো থাকুন এই প্রত্যাশা করি।আমিও ভাল আছি। আজ ১৫ই ফাল্গুন। বসন্তকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ২৭ শে ফেব্রুয়ারি,২০২৪ খ্রীস্টাব্দ।
এর আগে পরিবেশবান্ধব মিষ্টির ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম আপনাদের সাথে। আজ পরিবেশবান্ধব রঙিন সব্জির ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আর এই রঙিন সব্জির ফটোগ্রাফি গুলো ধারণ করেছি সুপণ্য সমাহার পরিবেশবান্ধব ক্ষুদ্র উদ্যোগ মেলা-২০২৪ থেকে। আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন ধরণের মেলায়া যেতে। মেলা গুলোতে গেলে নানা আইডিয়া পাওয়া যায়। নিত্যনতুন পণ্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এছাড়া নতুন নতুন উদ্যাক্তাদের একসাথে-একছাদের নীচে পাওয়া যায়। তাই মেলা গুলোতে যেতে ভালোই লাগে। আমি চেষ্টা করি মেলা গুলো নিয়ে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথ্রে শেয়ার করতে।তারেই অংশ হিসেবে আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুদের জন্য ,আমার আজকের আয়োজন পরিবেশবান্ধব রঙিন সব্জির ফটোগ্রাফি।
ঢাকার প্রশাসনিক এলাকা শেরে বাংলা নগরের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গত ৮ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্টিত হয়ে গেল সুপণ্য সমাহার পরিবেশবান্ধব ক্ষুদ্র উদ্যোগ মেলা-২০২৪। ৯ ফেব্রুয়ারি বিকেল গিয়েছিলাম সেই মেলায়। বিকেল থেকে সন্ধ্যা বিভিন্ন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার নানা রকম পণ্যের সমাহার দেখতে দেখতে বেশ ভালো সময় কেটেছে। খাবার থেকে প্রয়োজনীয় সবকিছু ছিল মেলায়।মেলায় ঘুরতে ঘুরতে এই রঙিন সব্জির ফটোগ্রাফি গুলো করেছি। মেলায় এত ভীড় ছিল যে শান্তি মত ছবি তোলাও মুশকিল। তার পরেও চেষ্টা করেছি। কতটুকু সফল হয়েছি আপনারাই ভালো বলতে পারবেন। আশাকরি আজকের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে।
১ম ফটোগ্রাফি
বিভিন্ন রঙিন সবজি। রঙিন সব্জির পুষ্টিগুন অনেক বেশি। দিন দিন রঙিন সব্জির চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণ সব্জির তুলনায় রঙিন সব্জির দাম একটু বেশি। তাই রঙিন সব্জি চাষ করে কৃষকরাও লাভবান হচ্ছেন। এছাড়া রঙিন সব্জি অধিকাংশই পরিবেশ বান্ধব ভাবে জৈব সার ব্যবহার করে চাষাবাদ হচ্ছে। রাসায়নিক সার বা কীটনাশক বর্জিত বিধায় শরীরের জন্য উপকারি। আজকের প্রতিটি রঙিন সব্জিই পরিবেশবান্ধব।
২য় ফটোগ্রাফি
মিষ্টিকুমড়া অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি সব্জি। দেশের প্রায় সবর্ত্র পাওয়া যায়। অনেকেরই মিষ্টি কুমড়া ভিষণ পছন্দ। আমিও বেশ পছন্দ করি।
৩য় ফটোগ্রাফি
আমরা সচারচর সাদা ফুলকপি খেতে ও দেখতে অভ্যস্ত। এই ফুলকপিটি হলুদ। ব্যাপক ভাবে চাষ না হলেও দিন দিন এই রঙের ফুলকপির চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। হয়ত দেশের সব জায়গায় পাওয়া না গেলেও ঢাকায় পাওয়া যায়।
৪র্থ ফটোগ্রাফি
আমরা প্রচলিত রঙের বাধাকপি খেতে ও দেখতে অভ্যস্ত। এই বাধাকপিটি বেগুনি রঙের। দিন দিন এই রঙের বাধাকপির চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের সব জায়গায় পাওয়া না গেলেও ঢাকায় পাওয়া যায়।
৫ম ফটোগ্রাফি
সারা বিশ্বেই জনপ্রিয় সব্জি ক্যাপসিকাম। মিষ্টি মরিচ হিসেবেও পরিচিত। আমাদের দেশীয় সব্জি নয়। তবে দিন দিন দেশে চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন রেষ্টুরেন্টে ক্যাপসিকামের ব্যাপক চাহিদা।
৬ষ্ঠ ফটোগ্রাফি
হলুদ ক্যাপসিকাম।
৭ম ফটোগ্রাফি
বিটরুট খুব বেশি পরিচিত সব্জি না। তবে এই সব্জির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায়, চাষের পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। শীতকালীন সব্জি হলেও সারা বছরেই কমবেশি পাওয়া যায়। সালাদের সাথে বিটরুট মিশ্রন আমার খুব পছন্দের। বিভিন্ন পুষ্টিগুণ ও ঔষধিগুণ সম্পন্ন এই সব্জিটিকেi সুপারফুডও বলা হয়ে থাকে।
সব্জি আমাদের প্রতিদিনের দরকারি । শরীর ঠিক রাখতে সব্জির বিকল্প নেই। হয়ত কিছুদিন পর সব্জির বিকল্প হবে পরিবেশবান্ধব রঙিন সব্জি।বন্ধুরা, আশাকরি আজকের পরিবেশবান্ধব রঙিন সব্জির ফটোগ্রাফি ব্লগটি আপনাদের ভাল লেগেছে। আমি চেষ্টা করছি নতুন নতুন ব্লগ আর্পনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে। সকলে সুস্থ্য থাকুন ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সুস্থ্য রাখুন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমার আজকের ব্লগ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | ফটোগ্রাফি |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
ডিভাইস | Redmi Note A5 |
তারিখ | ২৭শে ফেব্রুয়ারী ২০২৪ইং |
লোকেশন | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শাকসবজি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী এবং আপনি বেশ দারুন কিছু সবজি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন, যা এক কথায় অসাধারণ ছিল। আমরা বাঁধাকপি দেখে থাকি অন্য রঙের কিন্তু আজকে এটা বেগুনি রঙের দেখলাম প্রথম।
ঠিক বলেছেন শাক সব্জি শরীরের জন্য বেশ উপকারী।ধন্যবাদ ভাইয়া।
https://twitter.com/selina_akh/status/1762506660332089367
এটা আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু রঙিন সবজিতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ থাকে। এজন্য আমাদের সকলেরই উচিত বেশি পরিমাণে সবচেয়ে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা। আপনার তৈরি করা পোস্ট এর মাধ্যমে অনেকগুলো সবজি প্রথমবারের মতো দেখতে পেলাম।
আমাদের প্রতিদিন ৫ রং এর খাবার খাওয়া দরকার। ধন্যবাদ মতামতের জন্য।
অও,আপনি খুব সুন্দর করে রঙিন সব্জির ফটোগ্রাফি করেছেন।আসলে সবজি খুবই উপকারী আমাদের শরীরের জন্য।তবে সবসময় পাওয়া যায় সেই রঙের সবজি খেতেই আমরা বেশি পছন্দ করি।আর মেলা মানেই কিছু না কিছু জ্ঞানের সমাহার।আপনারা যাকে বিটরুট বলছেন আমরা তাকে বিটকপি বলি।ধন্যবাদ আপু।
ঠিকই বলেছেন সচরাচর যে সকল সব্জি পাওয়া যায় আমরা তাই খেতে অভ্যস্ত। প্রচারের জন্য মেলার আয়োজন করা হয়। ধন্যবাদ আপু।
আপু, আপনার শেয়ার করা এই পরিবেশ বান্ধব রঙিন সবজি গুলোর ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো । এগুলোর মধ্যে এই হলুদ ফুলকপি ও বেগুনি রঙের বাঁধাকপি আমি এখনো পর্যন্ত খাইনি। সবজির অনেক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে আমাদের শরীরের জন্য। এটা আপনি ঠিক কথা বলেছেন আপু, শরীর ঠিক রাখতে এই সবজির কোনো বিকল্প নেই।
আমারও খাওয়া হয়নি হলুদ রং এর ফুলকপি। তবে বেগুন বাধাকপি খেয়েছি। ধন্যবাদ ভাইয়া মতামতের জন্য।
বেগুন বাঁধাকপির টেস্ট কেমন আপু? আমি নিজে কখনো খাইনি তো তাই জানার ইচ্ছা আছে।