লাইফস্টাইলঃ- অবশেষে নীড়ে ফেরা হলো।
সবাইকে শুভ সন্ধ্যা,
প্রিয় কমিউনিটির সকল ব্লগার ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। আশা করি বন্ধুরা আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। যে কয়দিন এত ব্যস্ত ছিলাম বলে বুঝাতে পারবো না। আসলে ঈদের ছুটি থেকে শুরু করে আজকে পর্যন্ত এত ব্যস্ত ছিলাম ঠিক মতো কাজগুলো করতে পারছিলাম না। যেহেতু গ্রামে গেলে অনেক বেশি ব্যস্ত থাকি তবে এবারের ব্যস্ততা গুলো ভিন্ন ধরনের ছিলো। গতকালকে অনেক মেহমান আসছিলো তাদেরকে সময় দিতে দিতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছিলো কোন কাজ করতে পারি নাই। আজকেও এমন অবস্থা এত ব্যস্ত ছিলাম ঠিকমতো পোস্ট লিখতে পারলাম না সঠিক সময়ে।
অবশেষে সকল ব্যস্ততা কাটিয়ে আপন নীড়ে ফিরে আসা আমার। যদিও আজকে তিনবার সমুদ্রপথে যাতায়াত করলাম। বন্ধুরা আজকে আমি প্রথমে মহেশখালী থেকে সমুদ্র পথে আমার জন্মস্থান গ্রামের বাড়ি গেলাম। যদিও কক্সবাজার থেকে একটু দূরে। কিন্তু মহেশখালী থেকে চৌফলদন্ডি ঘাটে যাতায়াত করতে অনেক কাছে সেখানে। যদি গাম বোটে করে যায় তাহলে সময় লাগে ১৫ মিনিট। তবে বোটের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ঘন্টাখানেক বেশ সময় লাগলো আজকে। যদি বোট চলে যাওয়ার সময় আসি তাহলে হঠাৎ চলে যাওয়া যায়। কিন্তু আমি যখন গেলাম তখন বোট ঘাটে ছিল না আমি যে ঘাটে যাবো সেই ঘাটে দুটি মাত্র বোট থাকে।
কিন্তু মাঝে মধ্যে স্পিডবোট যাই তবে সেগুলোতে যাত্রী কম যায়। অনেকেই স্পিড বোটের বেশি খরচ বহন করতে চাইনা। কিন্তু অনেকেই গাম বোট দিয়ে যায় সেজন্য সমস্যা। সকালে হঠাৎ করে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে পড়লাম সকাল ৯ টায়। ৯ টায় বের হয়ে মহেশখালী জেটিতে আসি সেখানে দেখলাম যে বোট নেই। ভিন্ন একটি ঘাটে আমরা যাব সেই ঘাটের বোট ছিল না। তাই আমরা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম মেয়েদের বাবা সহ। মেয়েরা তাদের ফুফির বাসায় ছিলো। অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার শেষে বোট পেলাম প্রায় দশটা বেজে গেছিল।
কোন রকমের আমরা চৌফলদন্ডি জেটিতে পৌঁছে গেলাম। পৌঁছে যাওয়ার পরে একটা সিএনজি নিলাম দ্রুত চলে গেলাম। যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজে গেছিলাম অবশ্যই যাওয়া খুবই জরুরি ছিল। সেখানে আমরা কাজটা সেরে আবারো আমি দুইটার দিকে রওনা দিলাম। মেয়ের বাবা আমার সাথে আসে নাই থেকে গেছিল সেখান থেকে সে সরাসরি কক্সবাজার যাবে তাই। আমি একা আবারও চৌফলদন্ডি জেটি থেকে মহেশখালী ঘাটে চলে আসলাম। তবে আসার সময় খুব ভয় পেয়েছি কারণ বৃষ্টি এবং বাতাস ছিল হালকা যার কারণে ঢেউ অনেক বেশি ছিল। মনে হয়েছিল যে বোট ওলটে যাবে এমন অবস্থা। অবশেষে দোয়া পড়তে পড়তে কোনরকম কিনারে পৌঁছে গেলাম একটু স্বস্তি ফিরে পাই।
পৌঁছে গিয়ে আমার নন্দের বাড়িতে যেয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে মেয়েদের নিয়ে আমাদের বাড়িতে ফিরে গেলাম মহেশখালিতে। বাড়িতে গিয়ে চিন্তা করলাম আসলে এখানে থাকা আর হবে না। কারণ নেটওয়ার্ক সমস্যা তাই কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিলো। যেহেতু তখন ওয়েদারটা ভালো হয়ে গেছিলো। হঠাৎ সব কিছু গুছগাছ করা শুরু করে দিলাম। এত তাড়াহুড়ো করছিলাম যে যাতে করে সঠিক সময়ে পৌঁছে যেতে পারি। কারণ ছয়টার পরে বোট চলে না বন্ধ হয়ে যায়। সেজন্য একটু তাড়াহুড়া করছিলাম। এদিকে আবার মেয়ের বাবা নিষেধ করছিলো আজকে না ফিরার জন্য। কিন্তু আমার যেহেতু মন ছুটলো তা আমি আর থাকতে পারি নাই ।কোন রকমের সবকিছু গুছিয়ে নিয়েছিলাম। যখন গুছিয়ে নিয়ে বের হলাম তখন পাঁচটা চল্লিশ মিনিট হয়ে যায়।
একটা বড় টমটম গাড়ি নিয়ে সবগুলো জিনিসপত্র উঠালাম। সোজা মহেশখালী জেটিতে আবার চলে গেলাম বাচ্চাদেরকে নিয়ে। এখন তো জিনিসপত্র অনেক বেশি কিভাবে একা যায় খুব ঝামেলায় পড়ে গেলাম। একটা লেভার নিয়ে তাকে দিয়ে সবগুলো জিনিস বোটের মধ্যে উঠালাম। যেহেতু তখন মাত্র ৬ টা বাজতে শুরু করছিল তাই আমার ফিরে আসার একটু সুযোগ ছিল মানুষের আনাগোনা উছিল তখন। বোটে উঠে শুরু করে চলে আসলাম কক্সবাজারে। আবারো কক্সবাজার ঘাটে এসে আবারো একটি লেভার নিয়ে জিনিসগুলো আবারো গাড়িতে উঠালাম। তারপরে বাসার গেটের সামনে এসে দারোয়ানকে ফোন দিলাম। সে আমাদেরকে জিনিসগুলো উপরে উঠায় দিল। এই হচ্ছে আমার নীড়ে ফেরার গল্প। কিন্তু সারাদিন কোন কাজ করতে পারি নাই।
আপনারা তো আমার পুরো ব্লগ পড়লেন কিন্তু বুঝতে পারলেন আমি একটা মিনিট ও থামতে পারি নাই একটা মিনিট আমার বিরতি ছিল না। অবশেষে কক্সবাজারে ফিরে এসে একটু সুযোগ পেলাম। কারণ এখানে তো নেটওয়ার্কের কোন সমস্যা থাকে না বিদ্যুতের সমস্যা থাকে না আর বাইরের কোন সমস্যা থাকে না। ভালোভাবে কাজ করার সুযোগ হয়। তাই সব কিছু একটু হালকা গুছিয়ে নিয়ে ফ্রেশ হয়ে পোস্ট লেখা শুরু করে দিলাম। আশা করি বন্ধুরা আমার আজকের লেখাগুলো পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
চেষ্টা করেছি শত ব্যস্ততার মাঝেও পোস্ট লিখে শেয়ার করার। যদিও ভালো এনগেজমেন্ট রাখতে পারিনি এই সপ্তাহে। কিন্তু যতটুকু পারি চেষ্টা করেছি কাজগুলো ঠিকমতো ধরে রাখার। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সবাইকে সময় দিয়ে আমার ব্লগ ভিজিট করার জন্য।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | মহেশখালী জেটি |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
#moheshkhali-tocoxsbazar #backmy-home #ontheriver #lifestyle #amarbanglablog #steemit #steemexclusive
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এমন জার্নি আমার জীবনে খুব কম করেছি আপু। সাঁতার কাটার অভ্যাস হয়েছে তার পরেও নদির কথা শুনলে ভয় লাগে। যাইহোক তারপরে আপনি আপনার গন্তব্যে পৌঁছেছেন জেনে ভালো লাগলো।
আমার সেদিন অনেক জার্নি হয়েছিলো আপু।
অবশেষে সকল প্রতিকূলতা ফিরিয়ে নিজের গন্তব্যে ফিরছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। আসলে আপু একা থাকলে জিনিসপত্র বহন করতে ঝামেলা হয়। আপনার নীড়ে ফেরার গল্প দারুন ছিল । পোস্টটি শত ব্যস্ততার মাঝে ও আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে পোস্ট পড়লেন।
https://x.com/nahar_hera/status/1803882468514369631?t=CvFA-BTv6K-bLSCVVLta5g&s=19
ঈদে মোটামুটি সবারই ব্যস্তময় সময় কেটেছে আপু। তবে আপনার জার্নিগুলো আমি বরাবরই উপভোগ করি। কারণ সমুদ্রপথে সব সময় আপনি জার্নি করেন বিষয়টা আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। যাক অবশেষে সবকিছু সম্পন্ন করে আপন নিড়ে ফিরছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার অনুভূতি পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে।
হ্যাঁ আপু, আপনার এই ব্লগ পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি একটা মিনিটও থামার সময় পাননি কোথাও। এমন জার্নিতে সাধারণত এরকমটাই হয়। ওভারঅল আপনার নীড়ে ফেরার গল্পটা বেশ ভালই লাগলো। তাছাড়া বাতাস এবং বৃষ্টি কারণে যদি ঢেউ অনেক বেশি থাকে, তাহলে তো এরকম সমুদ্রপথে যাতায়াত করার সময় ভয় লাগাটাই স্বাভাবিক। যদিও আপনারা সাবধানের সব জায়গা গুলো পার করেছেন, এটা জেনে অনেক ভালো লাগলো।
সেদিন অনেক কষ্টে ঘাট পার হয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।