ট্রাভেলিংঃ-রেলওয়ে স্টেশনের চারপাশের সৌন্দর্য দেখা।
শুভ সকাল সবাইকে,
আসসালামুয়ালাইকুম প্রিয় কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা। সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাচ্ছি আমার আজকের ব্লগিংয়ে। আশা করি বন্ধুরা আপনারা সবাই ভালো আছেন? দিনের শুরুতে সবার দিনকাল কেমন শুরু হলো।আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়। আজকে আমি উপস্থিত হয়েছি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ শেয়ার করতে। প্রতিনিয়ত আপনাদের সাথে যুক্ত থাকতে অনেক বেশি ভালো লাগে। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে ভিন্ন কিছু বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারলে। বন্ধুরা ধারাবাহিক নিয়মে আমি প্রতি সপ্তাহে একটি করে ট্রাভেল পোস্ট শেয়ার করি।
তাই উপস্থিত হয়ে গেলাম আজকেও একটি ট্রাভেল পোস্ট নিয়ে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করা হয়ে থাকে। যদিও সেই ভ্রমণের এরিয়া মাঝেমধ্যে দুর হয়ে থাকে আবার মাঝেমধ্যে এখানকার কাছাকাছি হয়ে থাকে। তবে ভ্রমণ মানে হচ্ছে ভ্রমণ। সেটা কাছে বা দূরে কোন এক জায়গায় হলে হয়। কোন নতুন জায়গায় ঘুরতে গেলে খুব ভালো লাগে। ভালো লাগে প্রকৃত সৌন্দর্য উপভোগ করতে। কিছুদিন আগে যখন আমি আমাদের বাবার বাড়ি গ্রামের বাড়িতে গেলাম সেখান থেকে আমার বোনের বাড়িতে ঘুরতে যাই। তো দুলাভাই আমাদেরকে বলেছিল রেলওয়ে স্টেশন দেখাবে। যদিও আমি সেই বিষয়ে আপনাদের সাথে আগে দুটি ব্লগ করেছি। সেই রেলওয়ে স্টেশন সম্পর্কে আমার একদম ধারণা ছিল না। বাড়ির পাশের অনেক সৌন্দর্য পড়ে থাকে যা আমরা বুঝতে পারি না এবং আমাদের জানা থাকে না।
কিন্তু বাইরের লোকজনেরা এসে সেই বাড়ির পাশের জিনিসগুলো দেখে যায় কিন্তু আমরা পাশের মানুষ হয়ে সেই সৌন্দর্য উপলদ্ধি করতে চেষ্টা করি না। আমার দুলাভাই আমাকে যখন বললো রেলওয়ে স্টেশনে ঘুরতে নিয়ে যাবে তখন আমি তো একদম প্রস্তুত। আমরা অনেকেই গেছিলাম আপুদের বাসায় দাওয়াত করছিল আমাদেরকে। আমার সাথে আমার ছোট ভাইয়ের ওয়াইফ কে নিয়ে গেছিলাম। আমার মেয়েরা ছিলো এছাড়া আপনাদের ভাইয়া ছিলো। আমরা বিকেল বেলায় খাওয়া দাওয়া করে যখন রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশ্যে গেলাম তখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে আসছিল।
তবে আমি বুঝতে পারি নাই আসলে এই সাব রেলওয়ে স্টেশনটি এত সুন্দর হবে। আমি মনে করেছিলাম আমাদেরকে রাস্তায় ঘুরতে নিয়ে যাচ্ছে রেল স্টেশনের। কিন্তু আপুদের পাশাপাশি যে একটা সব রেলওয়ে স্টেশন আছে সেটা আমার একদম জানা ছিল না। যখন কাছাকাছি গেলাম তখন বেশ সুন্দর কিছু জায়গা দেখা যাচ্ছিল। তখন দুলাভাইকে জিজ্ঞেস করলাম এই জায়গাটি কোন জায়গা। তখন আমাকে নিশ্চিত করলো আমরা সেই জায়গায় ঘুরতে যাচ্ছি। তখন আমার তো বেশ ভালো লাগলো শুনে আমি বললাম যে এতো সুন্দর একটি জায়গা আগে বলেননি কেন। যদি আগে বলতেন তাহলে পারলে একটু আগে যেয়ে ঘুরে আসতে পারতাম।
যেয়ে দেখি অবাক কান্ড এত মানুষের ভিড় ছিলো। ঈদের সময় যেহেতু সবাই ছুটিতে ছিলেন তাই বিকেল বেলা সবাই মিলে সেখানে আড্ডা করছিল। সব চেয়ে একটি বিষয় ভালো লাগছিল সেখানে বেশ খাবার-দাবারের দোকানও ছিল। রীতিমতো সেখানে অনেক দোকান স্থায়ীভাবে বসে গেছে। যদিও সাব রেলওয়ে স্টেশনটা এখন উদ্বোধন করা হয়নি। কিন্তু সেইখানকার কার্যক্রম সম্পূর্ণ শেষ হয়ে গেছে। বিকেল বেলা সবাই সেখানে সময় কাটায় এসে। তবে যখন রেল আসার সময় হয় তখন আশেপাশে আর মানুষ থাকে না। যেহেতু সেখানে ইনফর্ম করা থাকে রেলওয়ে স্টেশনে রেল কখন আসবে। যদি অফিসিয়ালি কার্যক্রম শুরু হয় নাই কিন্তু সেখানে দায়িত্ব রয়েছেন কিছু মানুষ।
রেলওয়ে স্টেশনে যাওয়ার পরেই বেশ ঘুরাঘুরি করলাম এবং এদিক ওদিক দেখলাম। একটা জিনিস সবচেয়ে আমার বেশি ভালো লেগেছে যখন রেলওয়ে স্টেশনের তৃতীয় তলায় উঠলাম তখন চারপাশের দৃশ্যগুলো এত সুন্দর দেখছিলাম আমি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। কারণ সেখানকার পাশে ধান ক্ষেতগুলো এত সুন্দর ছিল দেখার মতোই ছিল। বিশেষ করে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার কারণে তেমন সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারিনি। যদি সন্ধ্যার আগে যেতাম তাহলে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি নিতে পারতাম এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিতে পারতাম। তারপরেও আমরা কম সৌন্দর্য উপভোগ করি নাই অনেকক্ষণ সময় কাটিয়েছিলাম সেখানে। তৃতীয় তলায় উঠে যখন নিচের দিকে দেখছিলাম বেশ ভালো লাগছিল।
সাব রেলওয়ে স্টেশনের উপরে উঠে আমি বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম। যেগুলো আমি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছি। সবচেয়ে আমার কাছে বেশি ভালো লাগছিল প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো। কারণ এত বড় একটি ধানের মাঠ দেখেই মুগ্ধ হয়ে গেছিলাম। এই ধানের জমিগুলোর মাঝখান দিয়ে রেলের রাস্তা যাওয়ার কারণে অনেক ধানের জমি এখন নষ্ট হয়ে গেছে। হাজারো মানুষের জমি দখল করে নিয়েছে এই সাব রেলওয়ে স্টেশন। যদিও স্টেশনটি জনগণের জন্য জরুরি ছিল। তাই সবাই জায়গাগুলো ছেড়ে দিয়েছে। কারণ একটি সুবিধা পেতে হলে আর কিছু সুবিধা ছেড়ে দিতে হয় যেটা বাস্তবতা। সেখানে আমরা বেশ সময় কাটিয়েছিলাম বাচ্চাদেরকে নিয়ে।
অবশেষে আমরা ছোট্ট একটি দোকান থেকেই আইসক্রিম খেয়েছিলাম। তেমন ভালো কিছু খাবার দাবার ছিল না। তবে যেখানে যায় না কেন ফুচকা আর চটপটির দোকান সে তো থাকবে। ফুচকা চটপটি তেমন ভালো লাগেনি। তাই বাচ্চাদেরকে সহ সেখান থেকে আইসক্রিম খেয়েছি এবং ঠান্ডা জুস খেয়েছি। যখন একটু অন্ধকার হয়ে গেল তখন চিন্তা করলাম আসলেই ফিরে যেতে হবে। তাই আমরা একটি গাড়ি নিয়ে আবারো সবাই সেখানে উঠে পড়ি। সেখান থেকে আমাদের বাড়িতে চলে আসি সবাই মিলে। আশা করি বন্ধুরা আমার আজকের ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগছে।
যদিও এর আগে আমি কয়েকটি ব্লগ শেয়ার করেছি। কিন্তু আমার কাছে আরো বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ছিল তাই আমি আজকে আপনাদের সাথে ব্লগিং আকারে শেয়ার করে নিলাম। সময় দিয়ে দেখার জন্য সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাচ্ছি। ভালো থাকবেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | ইসলামাবাদ রেলওয়ে স্টেশন |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | ট্রাভেলিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন রেলওয়ে স্টেশনের পাশে সৌন্দর্য দেখার অনুভূতি। আসলে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখলে সত্যিই বেশ ভালো লাগে। চারিপাশে ছোট্ট ছোট্ট ধান গাছের চারা ছিল সেগুলো আমাকে সব থেকে বেশি মুগ্ধ করেছে। এরকম সৌন্দর্য পরিবেশে নিজেকে নিয়ে যেতে পারলে সত্যি বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এই জায়গাটি অনেক সুন্দর ছিল ভাইয়া। বিশেষ করে ধানক্ষেত গুলো অনেক সুন্দর ছিল।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনি দেখছি রেলওয়ে স্টেশনের চারিপাশে বেশ সুন্দর একটা মুহূর্ত উপভোগ করেছিলেন। আপনি পোষ্টের মাধ্যমে স্টেশন এর বেশ কয়েকটি সুন্দর সুন্দর দৃশ্যের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সেই সাথে খুব সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। আপনার পোস্ট দেখে এবং পড়ে খুবই ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ঠিক বুঝতে পারছেন রেলওয়ে স্টেশনের উপরে উঠে অনেক আনন্দ উপভোগ করেছিলাম।
আসলে রেল ভ্রমণ করতে আমার ও অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি দেখছি আজকে ট্রেন জার্নি করা অবস্থায় চারদিকের প্রাকৃতিক দৃশ্যের সৌন্দর্য আমাদের মাঝে ফটোগ্রাফি করার মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। এছাড়াও আপনি রেলওয়ে স্টেশনের সৌন্দর্য খুবই সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।সব মিলিয়ে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।
এই রেলওয়ে স্টেশনটি আমি প্রথম দেখেছি বেশ ভালো লাগছিল এক দেখাতে।
সাব রেলওয়ে স্টেশনটি আসলেই খুব সুন্দর। চারপাশের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সবুজ প্রকৃতি দেখতে আসলেই খুব ভালো লাগে। আপনারা সবাই মিলে দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন নিশ্চয়ই। খুব সুন্দর একটি জায়গায় ট্রাভেল করেছেন আপু। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
উপরে উঠে যখন দেখলাম চারিদিকের সবুজ প্রকৃতি বেশ সুন্দর ছিল।
https://x.com/nahar_hera/status/1800506578845737267?t=qLB9Z9pYfRgOKWAK6dEZPQ&s=19
রেল স্টেশনগুলোতে গেলে অনেক সুন্দর সময় কাটানো যায়। আর চারপাশে সবকিছু দেখা যায়। আপু আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বুঝতে পারছি। আপনার ভ্রমণ পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু সময় দিয়ে বিস্তারিত লেখাগুলো পড়ার জন্য।
আপু আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনি রেলওয়ে স্টেশনের পাশে সৌন্দর্য দেখার অনুভূতি শেয়ার করেছেন। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে স্টেশনের বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। ফটো গুলো বেশ চমৎকার হয়েছে। আপনার পোস্ট দেখে এবং পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বেশ ভালো হলো আমার পোস্টের মাধ্যমে আপনিও দেখার সুযোগ পেয়ে গেলেন।
আপনার কাছ থেকে এই রেলওয়ে স্টেশনের সৌন্দর্যগুলো দেখেছিলাম৷ আজকে এর চারপাশের কিছু সৌন্দর্য দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো৷ খুব সুন্দর ভাবে আপনি এই সৌন্দর্য এখানে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ একেবারে নিখুঁত কিছু ফটোগ্রাফি আপনি এখানে ফুটিয়ে তুলেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
আপনার কাছ থেকে প্রশংসা শুনে অনেক ভালো লাগলো।.