পিঠা উৎসব ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ( দ্বিতীয় পর্ব)।
বেশ কিছুক্ষণ আমরা দাঁড়িয়ে থাকার পর সিদ্ধান্ত নিলাম যে কটি স্টল তাদের পণ্য সামগ্রী নিয়ে বসেছে আমরা সেগুলো আগে একবার ঘুরে দেখি। তারপর যখন সবগুলো স্টল চালু হয়ে যাবে তারপর আবার ঘুরবো। মেলাটা মোটামুটি ছোট পরিসরে হওয়ায় আমাদের খুব একটা বেশি সময় লাগবে না। এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পর আমরা স্টলগুলিতে ঘুরতে শুরু করলাম। এখন থেকে আগামী কয়েকটি পর্বে পিঠা মেলায় যে পিঠাগুলো দেখতে পেয়েছিলাম সেগুলো আপনাদের সাথে ধাপে ধাপে শেয়ার করবো। তাহলে চলুন আজকে আর কথা না বাড়িয়ে দেখে নেয়া যাক আজকের পিঠাগুলি।
প্রথম স্টলে গিয়ে প্রথমে এই পিঠাটি দেখতে পেলাম।
পিঠাটা দেখতে বেশ সুন্দর লাগছিলো। তারা নাম দিয়েছিল পাতা নকশি পিঠা। পিঠাটি দেখতেও অনেকটা পাতার মতোই লাগছিলো। তবে আমার কাছে যে জিনিসটা সবচাইতে ভালো লেগেছে সেটা হচ্ছে তারা হাইজিন মেইন্টেন করার জন্য পিঠাগুলো পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখেছিলো। না হলে মেলার মাঠে উড়তে থাকা ধুলোবালি গুলো গিয়ে সেটা অস্বাস্থ্যকর হয়ে যেতো।
এখন আপনারা যে পিঠাটা দেখতে পাচ্ছেন সেটার নাম নকশী পিঠা। একসময় গ্রামের বাড়ি গুলোতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সময় এই ধরনের পিঠা বানানো হোতো। এই ধরনের পিঠা ছাড়া যেন গ্রাম্য উৎসবগুলো পরিপূর্ণতা পেতো না। আবার আমি গ্রামীন বিয়েতেও এই পিঠার ব্যবহার দেখেছি। পিঠাগুলো দেখতে যেমন ভালো খেতেও বেশ মজা।
এখন আপনারা ছবিতে যে পিঠাটা দেখতে পাচ্ছেন সেটা নাম দিয়েছিল আয়োজকেরা শামুক পিঠা। এই পিঠাটা তারা শামুক আকৃতিতে তৈরি করেছিলো। তবে এই ধরনের পিঠা এর আগে আমি দেখেছি বলে মনে পরেনা। অবশ্য পিঠাগুলো খেতে মোটামুটি একই ধরনের হবে বলে আমার মনে হয়। তবে এই শামুক পিঠাগুলো দেখতে কিন্তু বেশ দারুন লাগছিলো।
উপরের এই পিঠাটা আশা করি সবাই চিনে থাকবেন। অবশ্য এই নামের পিঠা বিভিন্ন আকৃতির হয়ে থাকে বিভিন্ন এলাকায়। আমি জামাই পিঠা নামের এই পিঠাগুলো বিভিন্ন আকারের তৈরি হতে দেখেছি বিভিন্ন জায়গায়। অবশ্য খেতে সবগুলোর স্বাদ মোটামুটি একই রকম মনে হয়েছে আমার কাছে। তবে এই পিঠার আকার খুব একটা ভালো হয়নি। দেখে মনে হচ্ছিলো আনারি হাতে বানানো হয়েছে।
উপরের ছবিটা আপনারা যেটা দেখতে পাচ্ছেন সেটা কি কোন পিঠা না মিষ্টি এটা ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। স্টলে উপস্থিত একজন কে জিজ্ঞেস করেও সেটার নাম জানতে পারিনি। কারণ সে নিজেও বলতে পারছিল না এটার নাম কি? তবে আমার কাছে দেখে এটা এক ধরনের মিষ্টি মনে হচ্ছিলো। বেশ রসালো এই মিষ্টি জাতীয় খাবার টা দেখে খেতে ইচ্ছা করছিলো।
এখন আপনারা ছবিতে যে পিঠাটা দেখতে পাচ্ছেন এটা আমাদের সকলের পরিচিত ভাজা পিঠা। এই ধরনের পিঠা বাংলাদেশের সমস্ত গ্রামাঞ্চলে তৈরি করা হয়। হয়তো এলাকায় ভেদে এটার আকার বা বানানোর ধরন কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। তবে মূল বিষয়টা প্রায় একই রকম। এই পিঠাটা সম্ভবত তাল দিয়ে তৈরি করা হয়। এই ধরনের পিঠা খেতে বেশ ভালোই লাগে।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে বাচ্চারা এমন খোলামেলা মাঠে ছোটাছুটি করতে ভীষণ পছন্দ করে। যাইহোক পিঠা স্টল গুলোতে গিয়ে বেশ মজার মজার পিঠার ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। পিঠা কমবেশি সবাই পছন্দ করে। প্রতিটি পিঠা চমৎকার ভাবে তৈরি করেছে, শুধুমাত্র জামাই পিঠা ছাড়া। জামাই পিঠাগুলোর আকার একটুও সুন্দর হয়নি। তবে পিঠাগুলোর উপরে প্লাস্টিক ব্যবহার করার আইডিয়াটা দারুণ লেগেছে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
পিঠা উৎসব ভ্রমনের দ্বিতীয় পর্বে দারুন কিছু পিঠার ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম ৷ পাতা পিঠা , নকশী পিঠা শামুক পিঠা এবং জামাই পিঠা ৷ তবে গ্রামে গ্রামে জামাই পিঠা বিক্রি করে বেড়ায় ৷ আর জামাই পিঠা খেতেও দারুন স্বাদ ৷
আবার যদি বলি গোল রসগোল্লা তার নাম মনে হয় হাই ব্রিড অনেক গুলগুলা হবে ৷ যা হোক কিছু পিঠার নাম ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম ৷
অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি ব্লগ শেয়ার করার জন্য ৷