পরিবার নিয়ে বাইরে ঘোরাফেরা (প্রথম পর্ব)।
কিছুদিন আগে আমি পরিবার নিয়ে পদ্মার পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেদিনের পদ্মার পাড়ের চমৎকার আবহাওয়া আমরা সকলে দারুণ উপভোগ করেছিলাম। তবে সেদিন আরো কিছু কাজ হাতে নিয়ে যাওয়ায় বেশিক্ষণ পদ্মার পাড়ে সময় কাটাতে পারিনি। তাড়াতাড়ি আমাদের পদ্মার পাড় থেকে চলে আসতে হয়েছিলো। সেই কারণে সেদিনই পরিকল্পনা করেছিলাম কিছুদিন পর আবার পদ্মার পাড়ে যাবো। তাছাড়া পদ্মার পাড়ে নতুন একটি রেস্টুরেন্ট হয়েছে। সেই রেস্টুরেন্টে যাওয়ার জন্যও পদ্মার পাড়ে ঘুরতে যেতে চেয়েছিলাম।
যাইহোক গত কিছুদিন বিভিন্ন কাজ নিয়ে নানারকম ব্যস্ততা থাকায় আর পদ্মার পাড়ে যাওয়া হয়নি। আজকে আমি আমার এক বন্ধুকে ফোন দিয়েছিলাম বাইরে ঘুরতে যাওয়ার জন্য। কিন্তু সে জানালো তার ব্যক্তিগত কাজ রয়েছে। সেই কারণে আজকে বের হতে পারবে না। তখন আমি চিন্তা করলাম তাহলে আজকে পরিবার নিয়ে পদ্মারপাড় থেকে ঘুরে আসি। এমনিতেও কয়েকদিন থেকে পদ্মার পাড়ে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলাম। আজ যখন আমি আমার স্ত্রীকে বললাম বাইরে ঘুরতে যাবে কিনা? সে সাথে সাথেই রাজি হয়ে গেলো। আমার স্ত্রী বাইরে ঘোরাফেরা করতে বেশ পছন্দ করে। তখন তাকে বললাম তাহলে আমরা আজকে বিকালে পদ্মার পাড়ে যাবো।
কিছুক্ষণ পর পরিকল্পনা পরিবর্তন করে বললাম চলো আমরা একটু তাড়াতাড়ি বাসা থেকে বের হই। বাসা থেকে বের হয়ে প্রথমে যাবো সুইচগেট তারপর সেখান থেকে পদ্মার পাড়ে যাবো। আমার পরিকল্পনাটি আমার স্ত্রীর খুব পছন্দ হলো। তারপর আমরা বেলা সাড়ে চারটার দিকে বাসা থেকে বের হলাম সুইচ গেটের উদ্দেশ্যে। আমাদের বাসা থেকে সুইচগেটের দূরত্ব খুব বেশি নয়। চার সাড়ে চার কিলোমিটার মতো হবে। বাসা থেকে বের হয়ে ইঞ্জির চালিত রিকশায় উঠে সেখানে খুব অল্প সময়ে পৌঁছে গেলাম। সেখানে মূলত এখন দুটি সুইচগেট রয়েছে ।একটি হচ্ছে পুরাতন সুইচগেট যেটা আমরা একেবারে ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি। আর তার কিছুটা দূরেই তৈরি হয়েছে নতুন একটি সুইচ গেট। যদিও সেটা এখনো চালু হয়নি।
এখনো শহরে পানি ঢোকার রাস্তা হিসেবে পুরনো সুইচগেটটাই চালু রয়েছে। পদ্মা নদীর পানি শহরে প্রবেশ করছে। সেটা একটা দেখার মত দৃশ্য। এখানকার পানি পড়ার দৃশ্য দেখলে আপনার মনে হবে কোন এক ভয়ঙ্কর প্রাণী রাগে ফুঁসছে। প্রথমে আমরা রাস্তার উপর থেকে সুইচগেট দেখছিলাম। পরে আমার মেয়ে বলল আমরা একটু নিচের দিকে নামি। তার কথামতো আমরা নিচের দিকে নেমে আরো কাছ থেকে সুইচগেটের পানি পড়ার দৃশ্য দেখতে লাগলাম। নিচে নেমে খেয়াল করে দেখলাম নদীর দুই পাড় বাধাই করে দেয়া হয়েছে। যার ফলে সেখানে চলাচলের জন্য সুন্দর রাস্তা তৈরি হয়েছে। সেই রাস্তা দেখে আমার স্ত্রী বলল চলো আমরা একটু সামনে থেকে হেঁটে আসি। আমার কাছেও নদীর পাড়ের রাস্তাটা বেশ পছন্দ হলো। তারপর সেই রাস্তা দিয়ে সামনের দিকে এগোতে লাগলাম
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ভাটি লক্ষ্মীপুর |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এখন নদীতে প্রচুর পানি তাইতো সুইচগেটে গুলোতে পানির পরিমাণ অনেক বেশি। পদ্মার পাড়ে যাওয়ার সৌভাগ্য কোনদিন হবে কিনা জানিনা তবে মনে হচ্ছে জায়গাটি অনেক সুন্দর। এছাড়া নদীর পাড়ে ঘুরতে সবারই অনেক ভালো লাগে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।
পুরনো সুইচগেট দিয়ে পানি প্রবাহের দৃশ্যটি দেখতে সত্যিই অনেক সুন্দর লাগছে। আর পদ্মার পাড়ে এরকম সুন্দর পরিবেশে পরিবার নিয়ে ঘোরাঘুরি করার মজাই আলাদা। যাহোক ভাইয়া, খুবই সুন্দর এই পরিবেশে আপনাদের ঘুরাঘুরির পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।