কাজের জন্য বের হয়ে বেইলি রোডে ঘোরাঘুরি আর কেনাকাটার গল্প।
প্রথমে আমাদের পরিকল্পনা ছিলো মৌচাক মার্কেটে যাওয়ার। পরবর্তীতে যখন খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম মৌচাক মার্কেট বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকে। তখন বেইলিরোডে যাওয়ার পরিকল্পনা করলাম। যাই হোক বেইলি রোডে পৌঁছে আমরা চিন্তা করতে লাগলাম প্রথমে কোথায় যাবো? সেখানে পৌঁছানোর পর ইনফিনিটির শোরুম দেখে চিন্তা করলাম সেখানে গিয়ে দেখি। আমার মেয়ের জন্য কিছু কেনাকাটা করতে চাচ্ছিলাম সেখান থেকে সেই উদ্দেশ্য নিয় ইনফিনিটিতে ঢুকলাম। কেনাকাটার জন্য ইনফিনিটি আমার পছন্দের একটি জায়গা। আমি যখন প্রথম ইনফিনিটি তে যাই সেটা ছিল বেশ কয়েক বছর আগেকার কথা। বসুন্ধরা সিটিতে ইনফিনিটির অনেক বড় একটা শোরুম রয়েছে। সেখানে যাওয়ার পর থেকে ইনফিনিটির প্রতি এক রকম ভালো লাগে তৈরি হয়েছে।
যাই হোক ইনফিনিটি তে ঢুকে আমরা মেয়ের জন্য জামা কাপড় দেখতে লাগলাম। প্রথমে আমরা মেয়ের জন্য একটা ড্রেস খুবই পছন্দ করলাম। কিন্তু সেটা আমার মেয়ের গায়ে ভালোমতো লাগলো না। যার ফলে সেটা বাদ দিয়ে পরে আমরা অন্য কাপড়-চোপড় দেখতে লাগলাম। এর ভিতরে দেখতে পেলাম কিছু কাপড়চোপড়ে ডিসকাউন্ট চলছে। সেখান থেকেও আমরা মেয়ের জন্য কিছু কাপড়চোপড় দেখলাম। পরে আমরা মেয়ের জন্য সর্বমোট তিনটা জামা কিনেছিলাম। প্রথম দুটো আমরাই মেয়ের জন্য পছন্দ করে কিনেছিলাম। হঠাৎ করে আমার মেয়ে একটি হ্যাঙ্গার ঝুলানো একটি গেঞ্জি দেখে বলল তার এটা খুব পছন্দ হয়েছে। সে এটা নিতে চায়। যেহেতু মেয়ের খুব পছন্দ হয়েছে তাই আর তাকে মানা করতে পারিনি। তখন সেটাও নিয়ে নিলাম।
এর ভিতরে অবশ্য আমরা পুরো শোরুমটা ঘুরে আরো অনেক কিছু দেখতে লাগলাম। এই ধরনের জামা কাপড়ের শোরুমে আসলে আপনার কাছে বেশ ভালই লাগবে। সেখানে আমরা ঘুরে ফিরে দেখতে দেখতে বেশ খানিকটা সময় কেটে গেলো। যখন আমরা বিল দিতে যাবো তখন খেয়াল করে দেখি এটা দোতলাতেও কাপড়চোপড় রয়েছে। তবে সেখানে শুধু পুরুষ মানুষের কাপড় চোপড়। আমি সবাইকে নিয়ে উপরে গেলাম। তারপর সেখানে ঘোরাফেরা করে কাপড়চোপড় দেখে তারপর আবার নিচে চলে এলাম। ইতিমধ্যে আমরা যে কাপড় গুলো কিনছিলাম সেগুলো কাউন্টার জমা দিয়েছিলাম বিল তৈরি করার জন্য। আমি কাউন্টারে গিয়ে দাঁড়াতেই তারা জামা কাপড় গুলো সুন্দর করে প্যাক করে দিলো। তারপর বিল দিয়ে আমরা ইনফিনিটি থেকে বেরিয়ে এলাম।
আমার সাথে আমার খালাতো বোন আর তার বাচ্চাও ছিলো। আমি তখন আমার ভাগ্নেকে জিজ্ঞেস করলাম তুমি কি কিছু খাবে? তখন সে মাথা নেড়ে সম্মতি জানলো। তখন আমি চিন্তা করতে লাগলাম কোথায় যাওয়া যায় খাওয়ার জন্য। বেইলি রোডে বাংলাদেশের প্রায় সব নামি দামি খাবারের দোকানের আউটলেট রয়েছে। যার ফলে সেখানে দাঁড়িয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া মুশকিল কোনটাতে খেতে যাবো। পরে আমার খালাতো বোন জানালো সামনেই একটি মার্কেটে রুফটপে বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট রয়েছে একসাথে। সেই ফুড কোর্টে গেলে সেখান থেকে ইচ্ছামত খাবার পছন্দ করে খাওয়া যাবে। তার আইডিয়াটা আমার পছন্দ হলো। তারপর আমরা সেই রুট টপ এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। পরবর্তী গল্প পরের পর্বে হবে।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পোস্টটি পড়ছি আর ভাবছি ভাইয়া আপনি তো আমার বাসার চারপাশে ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তবুও তো একবার দেখা পেলাম না। ইস্ একবার দেখা হয়ে গেলে তো ভালোই হতো। একটা তো পোস্ট করতে পারতাম। তবে বেইলী রোডের ইনফিনিটিতে কিন্তু এখন দারুন সব কাপড় পাওয়া যায়। আপনার মত আমারও একটি পচ্ছন্দের জায়গা হলো ইনফিনিটি। দোয়া রইল ঢাকার শহরে ভালো সময় কাটুক আর আমার সাথে হঠাৎ দেখা হয়ে যাক। হি হি হি
কাজ শেষ করে আপনারা বেইলি রোডে অবস্থিত, ইনফিনিটি শোরুমে গিয়ে তো বেশ ভালোই কেনাকাটা করেছেন ভাই। ইনফিনিটি শোরুমের জামা কাপড়ের মান খুব ভালো। আসলে বাচ্চারা এমনই, কেনাকাটা করার পরও কোনকিছু পছন্দ হলে,তাদরেকে সেটা কিনে দিতেই হয়। যাইহোক পরবর্তী পর্বে রুফ টপে খাওয়া দাওয়া করার গল্প জানতে পারবো তাহলে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই। পোস্টটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এক সময় মৌচাক মার্কেট ছিল নিত্যদিনের পথ।আজ আর ওখানে থাকা হয় না। তাই মৌচাক মার্কেট যাওয়া ও হয়না।এখন নিউ মার্কেটেই যাওয়া হয়। আর বসুন্ধরাতেই যাওয়া হয়।যাই হোক আপনি কাজ সেরে গিয়ে দেখলেন বৃহস্পতিবার তাই মৌচাক মার্কেট বন্ধ। এরপর পাশেই বেইলি রোডে গেলেন।সেখানে পছন্দের শোরুম থেকে মেয়ের জন্য তিনটা ড্রেস নিলেন।আশাকরি মেয়ের সবটা ড্রেস খুব পছন্দ হয়েছে।এরপর সবাই মিলে খাবারের জন্য জায়গা পছন্দ করছেন।আশাকরি পরের পর্বে জানতে পারবো।ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য। ঢাকার সময়গুলো বেশ ভালো কাটুক এমনটা ই প্রত্যাশা করি।
আপনি তো দেখছি কাজের সাথে সাথে ঘোরাঘুরি এবং কেনাকাটাও করে নিয়েছেন। যদিও প্রথমে মৌচাকে যেতে চাচ্ছিলেন কিন্তু সেখানে বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকার কারণে ইনফিনিটি তে চলে গেলেন এবং সেখান থেকে কেনাকাটা করলেন জেনে ভালো লাগলো। যাইহোক পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম এবং দোয়া করি যেন আপনাদের সময়টা ভালোই কাটে।
ইনফিনিটি তে গিয়ে হালকা কিছু কেনাকাটা করেছেন সেই সাথে খালাতো বোনের মেয়েকে খাওয়ানোর জন্য রুফটপে রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন। তারপরের বিষয়গুলো যেহেতু পরবর্তী পর্বে শেয়ার করবেন তাই অপেক্ষায় রইলাম।