ঢাকা যাওয়ার অভিজ্ঞতা (শেষ পর্ব)।
দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরে একজন ড্রাইভার আমাদেরকে নিতে রাজি হোলো। কিন্তু খেয়াল করে দেখলাম সেই ড্রাইভার এর আসতে অনেক সময় লাগবে। এর ভেতরে আমার আম্মা বলছিলো সিএনজিতে করে যাওয়ার জন্য। কিন্তু সমস্যা হোলো আমাদের মিনিমাম দুটো সিএনজি লাগবে। আম্মা আর আমার স্ত্রী দুজনের কেউই ঢাকা শহর ভালোমতো চেনে না। যার ফলে তাদেরকে অপরিচিত সিএনজিতে উঠাতে আমার মনে সায় দিচ্ছিলো না। অবশ্য শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে আমাকে সেটাই করতে হয়েছিলো। আম্মা আর আমার স্ত্রীকে একটা সিএনজিতে করে আপুর বাসার উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দিলাম। আর আমি আর আমার মেয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম আরো একটা সিএনজির জন্য।
আমার সাথে ছিলো বড় বড় দুটো লাগেজ। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর আমরা আরেকটি সিএনজি পেয়ে গেলাম। তারপর সেই সিএনজিতে উঠে আমাদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। যদিও আমাদের আপুর বাসায় পৌঁছাতে বেলা প্রায় চারটা বেজে গিয়েছিলো। মানে ফরিদপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত প্রায় ১১০ কিলোমিটার রাস্তা এসেছি আমরা দুই ঘন্টায়। আর সায়েদাবাদ থেকে বনশ্রী পর্যন্ত সাড়ে আট কিলোমিটার রাস্তা আসতে আমাদের লেগেছে প্রায় দুই ঘণ্টা। এই একটা কারণে আমার কখনোই ঢাকা শহরে আসতে ইচ্ছা করে না। যাইহোক তারপরেও যে কোন রকম বিপদ আপদ ছাড়াই গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছি এতেই আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করি।
তবে ঢাকা পৌঁছানোর পথে আরও একটা ঘটনা ঘটেছে। আমরা ঢাকা আসার আগে মিষ্টি কিনেছিলাম। সেই মিষ্টি রেখেছিলাম মাথার উপরের লাগেজ বক্সে। কিন্তু নামার সময় সেই মিষ্টি নিয়ে নামতে মনে ছিলো না। ব্যাপারটা আমার মা খেয়াল করছে বেশ খানিকক্ষণ পরে। ততক্ষণে তারা সিএনজি করে অনেকটা দূরে চলে গিয়েছিলো। এর ভেতরে আমার স্ত্রী বিষয়টা জানানোর জন্য আমাকে ফোন দিয়েছিলো। কিন্তু আমি তখন ফোন ধরতে পারিনি। যখন আমি ফোন ধরেছি তখন অনেকটা সময় পার হয়ে গিয়েছে। আর আমিও সিএনজি নিয়ে অনেকটা দূর চলে এসেছি। যার ফলে আর সেই মিষ্টি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আর এভাবেই এবার ঢাকায় এসে পৌঁছালাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঢাকা শহরের রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই করুন। যেখানে ১১০ কিলোমিটারের রাস্তা অতিক্রম করেছেন দুই ঘন্টা। অথচ ঢাকা শহরে এসে সাড়ে ৮ কিলোমিটারের রাস্তা অতিক্রম করতে লেগেছে দুই ঘন্টা। আসলে এটাই বাস্তবতা। অবশেষে মিষ্টি উদ্ধার করতে পারেননি এটা জেনে কষ্ট লাগলো।
১১০ কিলোমিটার পৌঁছে গিয়েছেন দুই ঘন্টায় আর ঢাকায় ৮ কিলোমিটার যেতে দুই ঘন্টা লেগে গেল এই হয়েছে ঢাকা শহরের অবস্থা। নিরাপদে পৌঁছে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। তবে মিষ্টির বক্স ফেলে আসার বিষয়টা শুনে খারাপ লাগছে। অনেক সময় এরকমটা হয়ে যায় ভাইয়া।
ভাইয়া আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছেন। আপনার এই ঢাকায় যাওয়ার অভিজ্ঞতা এর অন্যান্য পর্ব আমি আগে দেখেছি। তাই আজকে শেষ পরবর্তী দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। তবে শেষমেষ গাড়ি না পাওয়াই সিএনজিতে ভ্রমণ করেছেন আর সেই সাথে দুইটা লাকির ছিল খুবই ঝামেলা পূর্ণ ছিল। যাই হোক অবশেষে খুব সুন্দর একটা ভ্রমণ করলেন ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ঢাকা শহরের জ্যামের কারণে কোনো বিদেশিরা বাংলাদেশে এসে থাকতে চায় না। কারণ তারা সময়ের মূল্যটা খুব ভালোভাবেই বোঝে। যাইহোক তবুও ঠিকঠাক মতো বনশ্রী পৌঁছাতে পেরেছেন, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। তবে মিষ্টি গুলো ড্রাইভার এবং বাসের স্টাফদের রিজিকে মনে হয় ছিলো। আর সেজন্যই ভুলবশত মিষ্টি গুলো রেখেই বাস থেকে নেমে গিয়েছিলেন। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।