দারুন স্বাদের কাঁচা আমের জুসের রেসিপি।
তারপরেও যেহেতু এখন ওই ফলগুলি আর টাটকা পাওয়া সম্ভব নয়। তাই কখনো ইচ্ছে হলে ফ্রিজ থেকে বের করে সংরক্ষণ করা ফলগুলো খেয়ে থাকি। আমের সিজনে আমার অন্যতম পছন্দের একটা খাবার হচ্ছে কাঁচা আমের জুস। বর্তমানে যে পরিমাণ গরম পড়েছে তাতে ঠান্ডা এক গ্লাস কাঁচা আমের জুস হলে মন্দ হয় না। তাই গতকালকে বাসায় কাঁচা আমের জুস বানানো হয়েছিলো। আজকে সেই রেসিপিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে দেখে নেয়া যাক আজকের রেসিপিটা।
কাঁচা আমের জুস
উপকরণসমূহ
উপকরণ | পরিমান |
---|---|
কাঁচা আম | ২ কাপ |
লবন | ১ টেবিল চামচ |
চিনি | ২ টেবিল চামচ |
বিটলবণ | ১ চা চামচ |
কাঁচা মরিচ | ২ টা |
বরফ | ৪/৫ টুকরো |
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা কেটে রাখা আমের টুকরোগুলো একটি ব্লেন্ডারের ভেতরে দেই। তবে ব্লেন্ডারে দেয়ার আগে আমি টুকরো গুলো কিছুক্ষণ বাইরে রাখলে ভালো হয়।
এখন কয়েক টুকরো বরফ ব্লেন্ডারের ভেতরে দেই
এখন ব্লেন্ডারের ভেতরে চিনি যোগ করি। চিনির পরিমাণের দিকে ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ চিনির পরিমাণ কম বেশি হওয়ার সাথে এই আমের জুসের স্বাদের অনেক পার্থক্য হয়ে যায়। যদি আপনি বেশি মিষ্টি পছন্দ করেন তাহলে চিনির পরিমাণ একটু বাড়িয়ে দিতে পারেন।
এখন লবণ বিট, লবণ এবং কাঁচা মরিচ ব্লেন্ডারের ভেতরে যোগ করি। বিট লবন দেয়ার কারণ হচ্ছে বিট লবণ দিলে কাঁচা আমের জুস এ দারুন একটা ফ্লেভার আসে।
এখন ব্লেন্ডারের ঢাকনি লাগিয়ে মিনিট দুই তিন ব্লেন্ড করি। অবশ্য আপনার ব্লেন্ডার কত ওয়াটের সেটার উপর ব্লেন্ড করার পরিমাণটা কম বেশি হতে পারে। আমাদের বাসার ব্লেন্ডারটা যথেষ্ট শক্তিশালী। যার ফলে খুব বেশি সময় ব্লেন্ড করার প্রয়োজন হয় না।
ব্যাস তৈরি হয়ে গেল দারুন মজাদার কাঁচা আমের জুস। গরমের সময় এটা আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি পানীয়। যখন কাঁচা আমের সময় থাকে তখন আমি প্রায়ই এই জুসটা খেয়ে থাকি। প্রচন্ড গরমের ভেতরে এক গ্লাস ঠান্ডা কাঁচা আমের জুস হলে আমার আর কিছুই চায় না।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা ২আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কাঁচা আমের জুসের দারুণ একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। ফ্রিজে সংরক্ষিত কাঁচা আম দিয়ে জুসটি দেখতে সুন্দর হয়েছে এবং অবশ্যই খেতে মজা হয়েছে। ধাপ গুলো সহজ করে দেওয়াতে যে কেউ জুসটি বানাতে পারবে। ছবি গুলোও সুন্দর হয়েছে। শুভ কামনা আপনার জন্য।
ভাই আপনি আজ আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন সেটি হচ্ছে।দারুন স্বাদের কাঁচা আমের জুসের রেসিপি। কাঠফাটা রোদের দিনে পরিশ্রম করার পরে এই ধরনের কাঁচা আমের জুস খেতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আর আপনারটা দেখেই তো আমার জিভে জল চলে এসেছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে ভাইয়া অনেক সুস্বাদু এবং অনেক টেস্টি ছিল। শুভকামনা রইল ভাই এত সুন্দর একটি কাঁচা আমের জুসের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি বরাবরই ফল খেতে অনেক বেশি ভালোবাসেন এটা আমরা সকলেই জানি, আর ব্যক্তিগতভাবে আমার এটাই মনে হয় ফল খেতে আমরা সকলেই অনেক বেশি পছন্দ করি। বর্তমানে প্রচণ্ড গরম পড়ছে আর এই গরমের সময় এরকম এক গ্লাস আমের জুস যদি খাওয়া যায় তাহলে শরীরটা একদম ঠান্ডা হয়ে যায়। আমের জুসের এই রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল। শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো তো কাচা আম সংগ্রহ করে পরে জুস বানানো।আমরা পাকা আম সংগ্রহ করে রাখি জুস খাওয়ার জন্য কিন্তু কখনও কাচা আম সংগ্রহ করিনি।এই গরমে টক ঝাল মিষ্টি স্বাদের জুস খেতে বেশ ভালোই লাগবে।প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
ভাইয়া আমের জুস অনেক খেয়েছি তবে কাঁচা আমের জুস তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি তবে আপনার পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে এটি খেতে অনেকটাই স্বাদ লেগেছে। পোস্টটি দারুন ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া নতুন একটি পদ্ধতিতে আমের জুসের রেসিপি শেয়ার করার জন্য।।
বাহ্ আমের জুসের দুর্দান্ত একটি জুস রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি ভাইয়া ।রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে মজার ছিল জুস টি। অফ সিজনে ফল খাওয়া একমাত্র ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণের মাধ্যমেই সম্ভব।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
কাঁচা আমের জুসের দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখেই লোভ লেগে গেল। ফ্রিজে সংরক্ষিত কাঁচা আম দিয়ে এত সুন্দর ভাবে জুস তৈরি করেছেন
যা খেতে অসাধারণ লাগবে। এরকম এক গ্লাস জুস এই গরম দিনে মনে এনে দিবে আত্ম তৃপ্তি। অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।