বন্ধু ফেরদৌসের সাথে ঘোরাফেরা ও খাওয়ার অভিজ্ঞতা (প্রথম পর্ব)।

in আমার বাংলা ব্লগlast month

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


গত বৃহস্পতিবারে বন্ধুর ফেরদৌস ফরিদপুর এসেছিলো। আসার আগে অবশ্য আমার সাথে কথা হয়েছিল যে সে ফরিদপুর আসছে। তখনই মনে মনে পরিকল্পনা করেছিলাম প্রতিবারের মতো এবারও দুজনে ঘুরতে বের হবো। শুক্রবার সকালে ফেরদৌসের সাথে ফোনে কথা বলে ঠিক করলাম বিকালের দিকে দুজন ঘুরতে বের হবো। যথারীতি নির্ধারিত সময়ে আমি নির্ধারিত জায়গায় পৌঁছে গেলাম। সেখানে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরেই ফেরদৌস সেখানে এসে উপস্থিত হোলো। যেহেতু আমরা আগে থেকে ঠিক করিনি কোন দিকে ঘুরতে যাব তাই দুজনে প্রথমে কিছুক্ষণ আলোচনা করে নিলাম। তারপর সিদ্ধান্ত নিলাম পদ্মার পাড়ের দিকে বিকালের সময়টা আমরা কাটাবো। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক দুজনে রওনা দিলাম পদ্মা নদীর দিকে। মোটরসাইকেলে করে দুজন যেতে যেতে গল্প করছিলাম। তবে আমরা একটু ভেতরের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। কারণ মেইন রাস্তা অত্যন্ত ব্যস্ত থাকে।

IMG_20240517_180203.jpg

যাই হোক দুই বন্ধু ধীরে সুস্থে পদ্মা নদীর উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। আমরা যেখান থেকে রওনা দিয়েছিলাম সেখান থেকে নদীর পাড়ের দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। যার ফলে মোটরসাইকেলে করে আমরা অল্প সময়ে সেখানে পৌঁছে গেলাম। পদ্মার পাড়ে ফেরদৌসের অনেক দিন না যাওয়ার কারণে বিশাল চর দেখে সে অবাক হয়ে গেলো। কিছুক্ষণ আমরা নদীর পাড়ে বসে গল্প করলাম। তারপর দুজনে মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম চর অতিক্রম করে আমরা নদীর পানি পর্যন্ত যাবো। কারণ আমরা সেদিকে অনেককেই যেতে দেখতে পাচ্ছিলাম। তবে নদীর পানি পর্যন্ত যেতে হলে আমাদেরকে বালুময় চর অতিক্রম করে যেতে হবে। আপনারা জানেন মোটরসাইকেল করে বালুর ভেতর দিয়ে চলাফেরা করা বেশ কষ্টকর কাজ। তারপরেও ফেরদৌস এই বিশাল চর পাড়ি দিয়ে নদীর দিকে এগিয়ে যেতে থাকলো। আর আমি তার পেছনে সাবধানে বসে ছিলাম। কারণ বালির ভেতরে অনেক সময় মোটরসাইকেল পড়ে যায়। যাইহোক শেষ পর্যন্ত বেশ কষ্ট করে দুজনে পদ্মার পানি পর্যন্ত পৌঁছালাম। আর সেই পানি পর্যন্ত পৌঁছাতে আমাদেরকে বিশাল একটা বালুময় চর অতিক্রম করতে হয়েছিলো।


IMG_20240517_180419.jpg

তবে নদীর পানি পর্যন্ত পৌঁছে আমাদের সকল কষ্ট ভুলে গেলাম। দুজনে তাড়াতাড়ি মোটরসাইকেল থেকে নেমে পানিতে পা ভেজাতে লাগলাম। দেখতে পেলাম আশেপাশে আরো অনেকে আমাদের মত নদীর পানিতে নেমে পা ভেজাচ্ছে। দুই বন্ধু সেখানে দাঁড়িয়ে গল্প করতে লাগলাম। এর ভেতরে খেয়াল করে দেখি কেউ একজন একটি ড্রোন উড়াচ্ছে। আজকালকার দিনে যত্রতত্র ড্রোন দেখা যায়। তবে ড্রোনের একটা ব্যাপার আমার কাছে ভালো লাগে। ড্রোন থেকে ছবি তুললে সেই ছবিগুলো দেখতে অসাধারণ লাগে। আমরা দুই বন্ধু নদীর পানিতে পা ভেজাতে ভেজাতে হঠাৎ করে দেখতে পেলাম একজন কুলফি আইসক্রিম বিক্রেতাকে। দেখলাম অনেকেই তার কাছ থেকে আইসক্রিম খাচ্ছে। কুলফি আইসক্রিম এমনিতে আমাদের বেশ পছন্দের। তবে যদি সেই আইসক্রিমের মান ভালো হয় তখনই সেটা খেতে ভালো লাগে। আমরা কিছুটা দ্বিধা দ্বন্দ্বের ভিতর ছিলাম যে সেই বিক্রেতার কাছ থেকে আইসক্রিম খাবো কিনা?


IMG_20240517_181315.jpg

তারপরে সমস্ত দ্বিধা দ্বন্দ্ব কাটিয়ে দুই বন্ধু তার কাছ থেকে দুটো আইসক্রিম নিলাম। আইসক্রিম মুখে দিয়ে দুজনেই অবাক হয়ে গেলাম। আইসক্রিমটা আসলেই অনেক ভালো ছিলো। দুজনের আইসক্রিম শেষ হওয়ার পর আমরা আবার সেই কুলফি বিক্রেতাকে খুঁজতে লাগলাম। কারণ আমরা দুজনেই আরো আইসক্রিম খেতে চাচ্ছিলাম সেই বিক্রেতার কাছ থেকে। সচরাচর এতো ভালো কুলফি সবসময় পাওয়া যায় না। এদিকে গল্প করতে করতে কখন যে মাগরিবের সময় হয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি। হঠাৎ করে আমি সময় দেখে ফেরদৌসকে বললাম চলো এখন ফেরা যাক। আমি আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলাম ঘোরাফেরা শেষে দুই বন্ধু কোন একটা রেস্টুরেন্ট থেকে কিছু খাওয়া দাওয়া করবো। সেই গল্প পরের পর্বে হবে। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসHONOR 90
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last month 

পদ্মার পাড়ে বন্ধুকে নিয়ে ঘোরাঘুরির সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। চরের মধ্য দিয়ে বাইক চালিয়ে পদ্মার পানি পর্যন্ত গেছেন যেন ভালো লাগলো। আসলে আমাদের নদীমাতৃক দেশ হলেও নদী গুলোর করুণ অবস্থা।চর জেগে গতিপথ হারাচ্ছে।অনেক নদী বিলীন হয়ে যাচ্ছে।কর্তৃপক্ষের উচিত নদী গুলো রক্ষার ব্যবস্থা করা। আপনার পোস্টের ছবি গুলো সুন্দর হয়েছে। কুলফী আইসক্রীম ঢাকার ফেরি করে বিক্রি করে, খাওয়া হয়নি! একদিন খেতে হবে। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 last month 

অনেকদিন পর আপনার বন্ধু ফেরদৌসের সাথে ঘোরাফেরা করার একটা পোস্ট দেখতে পেলাম, তবে অবাক হয়ে গেলাম যে বালুর চরের মধ্যে আপনার বন্ধু ফেরদৌস কিভাবে মোটরসাইকেল চালিয়ে নিয়ে গিয়েছিল তাও আবার ডাবল। বুঝতেই হবে আপনার বন্ধু ফেরদৌস তাহলে বেশ দক্ষ একজন ড্রাইভার। গরমের মধ্যে এরকম কুলফি আইসক্রিম খেতে আসলেই ভালো লাগে। পরবর্তীতে আপনারা সেই কুলপিওয়ালাকে খুঁজে পাননি শুনে খারাপ লাগলো। যাই হোক পদ্মা নদীর পাড়ে যাওয়ার অনুভূতিটা সাবলীল ভাবে আমাদের মাঝে বর্ণনা করেছেন পড়তে পেরে ভালই লাগলো।

 last month 

বন্ধুদের সাথে নদীর পাড়ে ভ্রমণ করার মুহূর্তগুলো সত্যিই অসাধারণ। আপনি আপনার ফেরদৌস বন্ধুকে সাথে নিয়ে নদীর পাড়ে ভ্রমণে গিয়েছিলেন। পদ্মা নদীর পারে মোটরসাইকেল ডাবল চালিয়েছে।আর কুলপি খাওয়ার মুহূর্তটা অসাধারণ।ভ্রমণের মুহূর্ত ও ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেরে অনেক ভালো লাগলো।

 last month 

বিকেলবেলা নদীর পাড়ে সময় কাটাতে খুবই ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে পদ্মার পাড়ে গিয়ে ফেরদৌস ভাইয়ের সাথে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। বালুর মধ্যে বাইক চালাতে আসলেই খুব কষ্ট হয়। পদ্মার পাড়ে ঘুরাঘুরি করার পাশাপাশি মজার কুলফি আইসক্রিম খেয়েছেন,জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last month 

বালির মধ্যে মোটরসাইকেল চালানো সত্যি অনেক কষ্টের। আর হেঁটে যাওয়া তো আরো কষ্টকর। তবে সেই সময় আইসক্রিমওয়ালা কে পেয়েছেন এটা কিন্তু সত্যি ভাগ্যের ব্যাপার ভাইয়া। দুই বন্ধু মিলে পদ্মার পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.12
JST 0.029
BTC 61604.80
ETH 3444.70
USDT 1.00
SBD 2.50