পরিবার নিয়ে বাইরে খাওয়া-দাওয়া ও ঘোরাফেরা (শেষ পর্ব)।

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


রেস্টুরেন্টে বসে বেশ কিছুক্ষণ রেস্ট নেয়ার পর আমরা রওনা দিলাম পদ্মা পাড়ের উদ্দেশ্যে। তবে আমরা শহরের যে দিকটাতে গিয়েছিলাম সেখান থেকে পদ্মার পাড় বেশ খানিকটা দূরে। যার ফলে আমরা একটা অটোরিকশা নিলাম পদ্মা পাড়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। তবে এই প্রচন্ড গরমের ভেতরে পদ্মা পাড়ে যাওয়া ঠিক হবে কিনা সেটা নিয়ে কিছুটা দোটানায় ভুগছিলাম। অবশেষে সমস্ত দ্বিধা দ্বন্দ্ব কাটিয়ে পদ্মা পাড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সেখান থেকে আমাদের পদ্মার পাড়ে পৌঁছতে প্রায় আধা ঘন্টা মতো সময় লেগেছিলো। আমি আগেও বিভিন্ন সময় আমার পোস্টে বলেছি আমাদের শহরটি আসলেই খুব ছোট। যার ফলে শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে আধা ঘন্টার বেশি সময় লাগে না।

IMG_20231008_160601.jpg

যাইহোক পদ্মা পাড়ে পৌঁছে আমরা বুঝতে পারলাম এই সময় আসাটা ঠিক হয়নি। আমাদের উচিত ছিল আরো পরে পদ্মার পাড়ে আসা। কারণ আমরা যখন পদ্মার পাড়ে পৌঁছেছি তখনও সেখানে বেশ রোদ। আমরা সেখানে পৌঁছে চিন্তা করছিলাম কোথায় বসা যায়? এমন কোথাও বসতে হবে যেখানে কিছুটা ছায়া রয়েছে। তবে আমাদের শহরের পদ্মা পাড়ে প্রচুর লোকসমাগম হলেও এখানে সাধারণ মানুষের জন্য তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। আপনাকে বসতে হলে কোন একটা চটপটি ফুচকার দোকানে বসতে হবে। আর সেখানে বসলে অবশ্যই তাদের কাছ থেকে খেতে হবে। তবে আমরা যেহেতু ভরা পেটে সেখানে গিয়েছি তাই কোন চটপটি ফুচকার দোকানে না বসে চিন্তা করছিলাম কোথায় বসা যায়। কিছুক্ষণ চিন্তাভাবনা করার পরে আমার মাথায় একটা বুদ্ধি এলো। পদ্মার পাড়ে দুটি ফ্লাড রেসকিউ বোট রয়েছে। তার ভিতরে বসার মোটামুটি ব্যবস্থা রয়েছে। আমি আমার স্ত্রীকে বললাম চলো গিয়ে দেখি সেখানে বসা যায় কিনা। কিছুদূর আগানোর পরে দেখতে পেলাম সেই রেসকিউ বোটের ভেতরে কিছু স্থানীয় ছেলে পেলে বসে রয়েছে। দেখে মনে হোলো তারা নেশা করছে। যার ফলে সেখানে না গিয়ে আমরা আরো সামনে আগাতে লাগলাম।

IMG_20231008_160830.jpg

বেশ কিছু দূর হাঁটার পরে সামনে একটা জায়গা পেলাম বসার মতো। সেখানে বসে আমরা রেস্ট নিতে লাগলাম। কারণ প্রচন্ড গরমের ভেতরে আমরা কিছুটা হেঁটে বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। তাছাড়া ভরা পেটে হাঁটাহাঁটি করতে খুব একটা ভালো লাগে না। আর সেদিন নদীর পাড়ে কোন বাতাসও ছিলো না। যার ফলে আমাদের খুব একটা ভালো লাগছিল না। আমার মেয়ে তো বারবার তাড়া দিচ্ছিলো বাসায় ফেরার জন্য। তবে আমরা চিন্তা করলাম দেখি আরো কিছুক্ষণ বসে রোদের তেজ কিছুটা কমলে তখন হয়তো পরিবেশ কিছুটা ভালো হবে। তবে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকার পরও দেখলাম অবস্থার কোন উন্নতি নেই।

IMG_20231008_161339.jpg

আমরা বসে বসে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম। যে চেয়ারে আমরা বসেছিলাম সেগুলো ছিল একটি ফুচকার দোকানের। তবে দোকানদার আমাদেরকে দেখে বুঝতে পেরেছিল আমাদের আসলে এখন কিছু খাওয়ার অবস্থা নেই। আমরা বসে বসে চিন্তা করছিলাম ঠান্ডা কিছু খেতে পারলে মন্দ হতো না। তবে আশেপাশে দেখলাম ঠান্ডা খাওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। অবশ্য পদ্মার পাড়ে মাঝে মাঝে কুলফি ওয়ালাকে দেখা যায়। মনে মনে চিন্তা করছিলাম একজন কুলফি বিক্রেতাকে পেলে কুলফি আইসক্রিম খাওয়া যেতো। তবে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকার পরও কোন কুলফি বিক্রেতাকে দেখতে পেলাম না। নদীর পাড়ে সেদিন ছিল গুমোট আবহাওয়া। তাই আর সেখানে বেশিক্ষন অপেক্ষা না করে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। এভাবেই পরিবার নিয়ে খাওয়া-দাওয়া এবং ঘোরাফেরা শেষ হলো।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর


🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 10 months ago 

শেষ বিকেলের দিকে নদীর পাড়ে সময় কাটাতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। কারণ তখন রোদ থাকে না। তবে আপনারা তো রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বের হয়েছেন। যদি বাসা থেকে সরাসরি পদ্মার পাড়ের উদ্দেশ্যে বের হতেন, তাহলে তো আরো পরে বাসা থেকে বের হতেন। এতো মানুষের ভিড় হয় সেখানে, বসার ব্যবস্থা থাকলে অবশ্যই খুব ভালো হতো। যাইহোক তবুও বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন নদীর পাড়ে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এবং পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

বিকেলে নদীর পাড়ে বসে সুন্দর সময় কাটাতে খুব ভালোই লাগে।রেস্টুরেন্টে খেয়ে কিছু সময় রেস্ট নিয়ে রওনা হয়ে গেলেন।রেস্টুরেন্টে না খাওয়া-দাওয়া করলে আরো পরে বের হলে ভালো হতো।খাওয়ার পর একটু বসতে পারলে ভালো হতো।কিন্তু বসার তো তেমন জায়গা নেই।কুলফি খেতে আসলেই খুব ভালো লাগে।কিন্তু কুলফি ও সেদিন আসেনি।হয়তো আরো পরে আসতো।এরপর বাসায় চলে গেলেন।ফটোগ্রাফিগুলো বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 10 months ago 

একটা সময় আমার প্রিয় ভাই ছিলেন। আপনি সব কিছু বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। আবারও আপনাদের মাঝে চলে আসলাম এবং অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে পারব আশা করি। পদ্মার পাড়ে কাশফুলে যে মুহূর্তগুলি ভাইয়া এটা অনেকের দারুন লাগে। আমাদের এখানে ফল আছে কাশফুল।অনেক প্রিয় ছবি তুলতে অনেক সুন্দর লাগে। আপনি যেমন বসে বসে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করছেন আমরা আপনার ছবির মাধ্যমে উপভোগ করতে পারছি এটাই আলহামদুলিল্লাহ।

 10 months ago 

রেস্টুরেন্ট থেকে লাঞ্চ করে পদ্মার পাড়ে গেলেন পরিবারসহ।আর একটু পরে বেরোতে পারতেন যদি বাসা থেকে সরাসরি বের হতেন।কিন্তু সোজা রেস্টুরেন্ট থেকে যাওয়ায় অনেকটা আগেই গিয়েছিলেন। গরমে কিছুদূর হেঁটে বসার জায়গা পেয়ে রেস্ট নিলেন।কিন্তু কুলফিওয়ালা কে পেলেন না আইস্ক্রিম ও খাওয়া হলোনা। পরে বাসায় ফিরে আসলেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59467.52
ETH 2609.98
USDT 1.00
SBD 2.38