ওমরা করার অভিজ্ঞতা।
এর ভেতরে আমরা খবর পেলাম যে মক্কা শহরের কাছাকাছি একটি মসজিদ আছে। যেখান থেকে এহরাম বাধা যাবে। এই কথা শোনার সাথেই আমরা পরিকল্পনা করলাম সেখানে যাওয়ার জন্য। কারণ সেখান থেকে এহরাম বাঁধতে পারলে আর আমাদেরকে দূরে যেতে হবে না। যাইহোক আগে আমরা খোঁজ খবর নিলাম যে সেখান থেকে হবে কিনা? পরবর্তীতে যখন কনফার্মেশন পেলাম তখন আমি আর আমার রুমমেট ঠিক করলাম সেখানে যাওয়ার জন্য। যাই হোক পরিকল্পনা মোতাবেক পরদিন সকালে আমরা দুজন তৈরি হয়ে বাসা থেকে বের হলাম। তারপর হোটেল থেকে কিছুটা সামনে গিয়ে আমরা ট্যাক্সির দরদাম করতে লাগলাম। আমরা আগেই গুগল ম্যাপে দেখে নিয়েছিলাম জায়গাটা আমাদের হোটেল থেকে ২২/২৩ কিলোমিটার দূরে। কিন্তু আমরা যখন ট্যাক্সি ওয়ালার সাথে দরদাম করা শুরু করলাম তখন সে প্রথমে আমাদের কাছে দেড়শ রিয়াল ভাড়া চাইলো।
যেহেতু আমরা দূরত্বটা জানি তাই আমরা বুঝতে পারলাম সে ভাড়াটা অনেক বেশি চাচ্ছে। শেষপর্যন্ত দরদাম করতে করতে সে ৭০ রিয়ালে যেতে রাজি হোলো। রাজি হতেই আমরা তার গাড়িতে উঠে বসলাম। আমরা গাড়িতে উঠতেই গাড়ি চলতে শুরু করলো। এদেশে এসে মাঝে মাঝে যে সমস্যাটা ফেস করছি এখানেও সেই সমস্যাটা হয়েছিলো। আমাদের গাড়ির যে ড্রাইভার তার বাড়ি ছিলো ইয়েমেন। তিনি আরবি ছাড়া অন্য কোন ভাষা বোঝেন না। তারপরও আমরা ইশারা ইঙ্গিতে তার সাথে কথা চালিয়ে যেতে লাগলাম। কথা বলতে বলতে কখন যে আমাদের কাঙ্খিত স্থানের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছি বুঝতে পারিনি। সৌদি আরবের হাইওয়েগুলোতে গাড়ি চলে অনেক দ্রুত। যদিও গাড়ির ভেতর বসে থাকা অবস্থায় আমি মোটেও বুঝতে পারছিলাম না। কিন্তু মিটারের দিকে নজর পড়তে বুঝতে পারলাম গাড়ি চলছে ১০০ কি:মি: এর উপরে স্পিডে।
যাইহোক মাত্র ২০ ২৫ মিনিটের ভিতরে আমরা সেখানে পৌঁছে গেলাম। তারপর সেখান থেকে আমাদের প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সেরে আমরা আবার ট্যাক্সিতে এসে বসলাম মক্কায় ফেরার জন্য। তবে আসার পথে দুজনে আলোচনা করছিলাম যে ট্যাক্সিওয়ালা আমাদের কাছ থেকে ভাড়া অনেক বেশি নিয়েছে। কারণ এতোটুকু রাস্তায় কখনো এতো টাকা ভাড়া হতে পারে না। যেহেতু চলে এসেছি তাই আর কিছু করার ছিলো না। ফেরার সময়ও আমরা অল্প সময়েই হোটেলে ফিরে এলাম। তারপর হোটেলে জিনিস পত্র রেখে দুজনে গেলাম ওরার আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে। এটাই ছিলো আমাদের ওমরা পালনের অভিজ্ঞতা।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | মক্কা, সৌদি আরব |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার দুটি নফল ওমরাহ পালন করা হয়ে গিয়েছে, জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। তবে মক্কা থেকে যেহেতু মসজিদটা মোটামুটি কাছাকাছি দূরত্বে ছিলো, তাই দ্বিতীয় নফল ওমরাহ পালন করতে ততোটা বেগ পেতে হয়নি আপনাদের। কিন্তু ইয়েমেনের ট্যাক্সি ড্রাইভার তো প্রথমে অনেক টাকা ভাড়া চেয়েছিল দেখছি। যেহেতু ২২/২৩ কিলোমিটারের দূরত্ব, আমার মনে হয় ৫০ রিয়াল হলে ভাড়া ঠিক ছিলো। যাইহোক এতো সুন্দর অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনি এবং আপনার রুমমেট দুজনে মিলে আপনারা ওমরা করেছিলেন শুনে অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া। যখন আপনি তাই তায়েফ গিয়েছিলেন তখনও একটি ওমরা করেছিলেন শুনে অনেক ভালো লেগেছে। আর এখন ও ওমরা করেছেন দেখে খুব ভালো লেগেছে। মক্কা থেকে মদিনায় যাওয়ার অভিজ্ঞতাটাও আশা করছি অনেক বেশি ভালো হবে। মক্কা থেকে এরপরে মদিনায় যাবেন, এটা শুনে আমার কাছে তো অনেক ভালো লেগেছে। দেখতে দেখতে আপনার দুইটা ওমরাই পালন হয়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর করে এটা শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আপনি সফলভাবে উমরাহ পালন করতে পারছেন, বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। আসলে সকল মুসলমানের একটি চাওয়া পাওয়া থাকে যে, জীবনে একবার হলেও ফরজ হজ্জ কিংবা উমরাহ হজ্জ পালন করবে। কিন্তু কেউ পারে আবার কেউ পারে না। আপনার এমন অভিজ্ঞতা পড়ে আমার ও উমরাহ করার ইচ্ছা জাগলো ভাইয়া।
অন্য কোন দেশে গেলে এই এক সমস্যা তারা যদি ভাষা বুঝতে না পারে তখন খুবই খারাপ লাগে।।তবে ট্যাক্সি ড্রাইভার ভাড়া বেশি নিয়েছে এটা শুনে খারাপ লাগলো ভাইয়া। কি আর করার। দেখতে দেখতে ২২ দিন কেটে গেল। আপনি সুস্থভাবে আপনার হজ পালন করুন এই দোয়াই করি ভাইয়া।
আমি সৌদিআরবে গেলে তেমন সমস্যায় পরবো না। কারন আমি ইংরেজির পাশাপাশি হালকা পাতলা আরবী ভাষাও জানি,হি হি হি। আজকে লোকেশন জানা না থাকার কারনে ২২/২৩ কিলোমিটার রাস্তা দেড়শো রিয়াল চাইলো। যায়হোক তারপরেও আপনারা দরদাম করে ৭০ রিয়ালে নিয়ে আসলেন। আপনার ওমরা করার অভিজ্ঞতা পড়ে অনেক কিছু শিখতে পারলাম। ধন্যবাদ।
আসলে বাহিরের দেশে গেলে ভাষা না বোঝার ব্যাপারটা অনেক বেশি খারাপ লাগে। অনেকদিন হয়ে গিয়েছে আপনি আরব দেশে গিয়েছেন। ভালোভাবে হজ পালন করেন এটাই কামনা। ওমরা করার অভিজ্ঞতাটা সুন্দর করেই সবার মাঝে আপনি তুলে ধরেছেন। এটা দেখে কিন্তু অনেক বেশি ভালো লেগেছে ভাইয়া। প্রত্যেকটা মুসলমানেরই উচিত যথার্থ চেষ্টা করে হজ করতে যাওয়া। ইনশাআল্লাহ কখনো যদি পারি অবশ্যই যাবো। আপনার পরবর্তী পোস্টগুলো দেখার অপেক্ষায় থাকলাম ভাইয়া।