এলাকার বন্ধুদের সাথে পদ্মার চরে ঘোরাফেরা ও টুকিটাকি কেনাকাটা (প্রথম পর্ব)।
আগের রাত পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক ছিলো। কিন্তু শুক্রবার সকালে দেখা গেলো যাদের যাওয়ার কথা ছিলো তাদের ভেতরে দুজন অনুপস্থিত এবং ঘটনা ক্রমে দুজনের নামই রুবেল। একজন আমার বন্ধু রুবেল। আর একজন আমাদের এক সহযাত্রীর পরিচিত যে চাকরির সূত্রে আমাদের এলাকায় থাকে। সকালে যখন আমি আর বন্ধু রাসু এক জায়গায় মিলিত হলাম। তখন বন্ধু রুবেলকে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পেলাম। তখনই বুঝতে পারলাম রুবেলকে আজ আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। এর আগের পোস্টেও বলেছি এটা আমার বন্ধুর অনেক পুরনো অভ্যাস। যে কোন জায়গায় যাওয়ার পরিকল্পনার সময় সে সবচাইতে বেশি আগ্রহ দেখায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা যায় সে আর যাচ্ছে না। যাইহোক বন্ধু রুবেলের আশা বাদ দিয়ে যখন অন্য রুবেলের খোঁজ করতে লাগলাম। তখন জানতে পারলাম সে তার ব্যস্ততা জনিত কারণে আজকে যেতে পারবে না। সে মোবাইল কোম্পানির টাওয়ার মেইনটেনেন্স এর কাজ করে। শুনতে পেলাম সকালে উঠে নাকি সে বেশ কয়েকটা মেইল পেয়েছে যে তাদের কয়েকটা সাইট ডাউন আছে। সেজন্য তার পক্ষে আর সকালে বের হওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
যাইহোক বাকি চারজন আমরা এক জায়গায় হওয়ার পরে সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা চারজনই আজকে চলে যাবো। কারো জন্য অপেক্ষা করবো না। সিদ্ধান্ত নেয়ার সাথে সাথেই চারজন মিলে রওনা দিলাম পদ্মার চরের উদ্দেশ্যে। প্রথমে আমাদের এলাকা থেকে কয়েক মিনিট হেঁটে মেইনরোডে পৌঁছে আমরা একটা অটোতে উঠলাম। অটোতে উঠে বসতেই অটো রিক্সা চলতে শুরু করলো। একদম সকালের নির্মল বাতাসে অটো রিক্সায় চড়তে খারাপ লাগছিল না। বরং ঠান্ডা বাতাসে শরীরটা রীতিমতো জুড়িয়ে যাচ্ছিলো। রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় আমাদের পদ্মার পাড়ে পৌঁছতে খুব একটা বেশি সময় লাগলো না। সেখানে পৌঁছে অটো থেকে নেমে আমরা হেঁটে খেয়া ঘাটের নৌকা পর্যন্ত পৌছালাম। কিন্তু সেখানে পৌঁছে দেখি নৌকায় উঠতে হলে আমাদেরকে পানির ভিতর দিয়ে কিছুটা পথ যেতে হবে। এদিক দিয়ে আমি এর আগের বারের মতো এবারও জুতা পড়ে গিয়েছিলাম।
নৌকায় ওঠার জন্য তারা যে পন্টুনের ব্যবস্থা করেছিলো সেটাকে দেখতে পেলাম বেশ খানিকটা দূরে। প্রতিনিয়ত নদীর পানি বাড়ার কারণে তারা বেশ সমস্যায় পড়েছে। যাই হোক যেহেতু পানির ভেতরে পা না ভিজিয়ে নৌকায় ওঠার ব্যবস্থা নেই। তাই আমি জুতা খুলে হাতে নিলাম। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে নৌকা ওপার থেকে এপারে চলে এলো। তারপর আমরা সেই নৌকায় উঠে বসলাম। নৌকা যখন চলতে শুরু করলো তখন দারুন একটা অনুভূতি হচ্ছিলো। ভোর বেলার ঠান্ডা বাতাসে আমাদের সবারই দারুন লাগছিলো। মনে হচ্ছিল এই সময় নৌকায় করে নদীর ভিতরে ঘুরতে পারলে ভালো লাগতো। যাইহোক আমাদের ওপরে পৌঁছাতে খুব একটা বেশি সময় লাগলো না। মাত্র অল্প কয়েক মিনিটের ভেতরেই আমরা ওপারে পৌঁছে গেলাম। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার বন্ধু রুবেল এর কথা এর আগেও একটি পোস্টে আপনি বলেছিলেন এবং পরবর্তীতে আপনারা ভেড়ার মাংস কিনতে যাবেন এটাও বলেছিলেন। মাঝেমধ্যে আমাদের মাঝেও এমন কিছু বন্ধু রয়েছে যারা ঘুরতে যাওয়ার জন্য অনেক বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে একটু যাওয়ার সময় তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না ঠিক যেন আপনার বন্ধু রুবেলের মতো। যাইহোক আপনারা তাদের অপেক্ষায় না থেকে নিজেরাই চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এটাই বেস্ট ছিল। অপেক্ষায় রইলাম চরে যাওয়ার পর কি কি কেনাকাটা করেছিলেন সেগুলো দেখার জন্য।
চার বন্ধু মিলে শেষমেশ চলে গেলেন পদ্মার চরে প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য। এরকম ঘটনার প্রায় সবার ক্ষেত্রে হয় রাতে পরিকল্পনা করবেন সকালবেলা দুই একজনের এমন সমস্যা হয়ে যায়। যাক অবশেষে তাদের জন্য বসে না থেকে আপনারা চলে গেলেন। যেহেতু এখন পানি বাড়তেছে তাই জুতা অবশ্যই খুলতে হবে। অবশেষে নৌকার জন্য অপেক্ষা করলেন। পরবর্তী পর্বে বিস্তারিত জানার সুযোগ হবে আশা করি।
আপনার বন্ধু রুবেলের মতো আমারও ২/৩ জন এমন বন্ধু বান্ধব রয়েছে। আমার কাছে এসব একেবারে বিরক্ত লাগে। কারণ কথা দিয়ে কথা না রাখতে পারলে, কথা দেওয়ার তো কোনো দরকার নেই। যাইহোক চারজন মিলে এতো সকাল সকাল পদ্মার পাড়ে গিয়েছেন,এটা দেখে খুব ভালো লাগলো ভাই। নদীর ওপারে গিয়ে মনে হচ্ছে বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন। তাছাড়া চরে গিয়ে কি কি কিনলেন,সেটা দেখার অপেক্ষায় রইলাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।