জরুরী কাজ শেষে হালকা খাওয়া-দাওয়া করা।

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


গতকাল বিকেলে জরুরী কাজে বাইরে যেতে হয়েছিলো। প্রচন্ড এই গরমে ঘর থেকে বের হতে একেবারেই ইচ্ছা করে না। তারপরও নানান প্রয়োজনে বের হতে হয় বাসা থেকে। বের হয়ে প্রথমে আমার প্রয়োজনীয় কাজটি সারলাম। তারপর চিন্তা করতে লাগলাম অনেকদিন হোলো বাইরে থেকে তেমন খাওয়া দাওয়া করা হয় না। আজকে যেহেতু ঘর থেকে বের হয়েছি তাই কিছু খাওয়া দাওয়া করলে মন্দ হয় না। কি খাবো সেটা চিন্তা করতে লাগলাম। পরবর্তীতে মনে পরলো কয়েকদিন আগে ফেসবুকে একটা গ্রুপে ফরিদপুরের একটা নতুন রেস্টুরেন্টের বিজ্ঞাপন দেখেছিলাম।

IMG_20240429_175407.jpg

সেই রেস্টুরেন্টের বিশেষত্ব ছিলো কাবাব আর নেহারী। নেহারি আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার। তাই চিন্তা করলাম সেই রেস্টুরেন্ট থেকে নেহারি খেয়ে দেখা যাক তাদের নেহারির স্বাদ কেমন। যদিও তারা বিজ্ঞাপনে দাবি করেছে ফরিদপুরের সবচাইতে সেরা মানের নেহারি তাদের রেস্টুরেন্টেই পাওয়া যায়। যেহেতু নেহারির প্রতি একটা দুর্বলতা আমার ভেতর আগে থেকেই কাজ করে। তাই সরাসরি চলে গেলাম সেই রেস্টুরেন্টে। কিন্তু বিধি বাম গিয়ে দেখতে পেলাম সেই রেস্টুরেন্টটি খুললেও তখনও তাদের নেহারি বিক্রি শুরু হয়নি। আমাকে জানালো আরো কিছুটা সময় লাগবে। তখন আমি চিন্তা করলাম আমার হাতে খুব একটা বেশি সময় নেই। তাই অন্য কোথাও গিয়ে আজকে কিছু একটা খেয়ে নেই।


IMG_20240428_175450.jpg

সে চিন্তা থেকেই গেলাম একটি ফাস্টফুড শপে। কিছুদিন ধরে এই ফাস্টফুড শপের একটি কম্বো প্ল্যাটারের বিজ্ঞাপন দেখছিলাম ফরিদপুর ফুড ব্যাংক গ্রুপে। সেখান থেকে তাদের বিজ্ঞাপন দেখে চিন্তা করেছিলাম একবার এই কম্বো প্ল্যাটারটা টেস্ট করতে পারলে মন্দ হোতো না। যেই চিন্তা সেই কাজ। আমি চলে গেলাম সরাসরি সেই ফাস্টফুড শপে। সেখানে গিয়ে সেই কম্বো প্লাটার অর্ডার করলাম। তবে সেই ফাস্ট ফুড শপের একটা জিনিস আমার কাছে খুব একটা পছন্দ হয়নি। তারা খাবার পরিবেশন করতে অনেকটা সময় লাগায়। যাইহোক এবারও তারা সেই একই কাজ করলো। বেশ অনেকটা সময় বসিয়ে রেখে তারপর খাবার পরিবেশন করলো। তবে খাবারটা সামনে আসার পর দেখে আমার কাছে মোটেও ভালো লাগেনি। আমি রীতিমতো হতাশ হয়েছি।


সেই কম্বো প্লাটারে ছিলো একটা ছোটো মিট বক্স, পটেটো ওয়েজেস, নাচোস আর কর্নডগ। কিন্তু মিটবক্সে চিকেন এর পরিমাণ ছিলো একেবারেই সামান্য। সাথে ছিল খুবই সামান্য পরিমাণে মাসরুম। আর পুরো বক্সটা আলু দিয়ে ঠাসা ছিলো। নাচোজের উপরেও চিকেনের তেমন কোনো অস্তিত্ব দেখতে পায়নি। একমাত্র কর্নডগটা মোটামুটি ভালো ছিলো। সেটার ভেতরে যথেষ্ট পরিমাণে চিজ ছিলো। এই প্লাটারের সাথে আমি ড্রিংস হিসাবে অর্ডার করেছিলাম মিন্ট লেমোনেড। ড্রিংকটার মান ও ছিলো বেশ খারাপ। সবকিছু মিলিয়ে খুব খারাপ একটা অভিজ্ঞতা নিয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষ করলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ হতেই বিল মিটিয়ে সোজা বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসHONOR 90
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 months ago 

নেহারীর প্রতি আমারও বেশ দুর্বলতা আছে। শুনে খারাপ লাগলে যে সেদিন আর নেহারি খেতে পারলেন না। যাই হোক , এমন অনেক রেস্টরেন্টর ই এমন অবস্থা ভাইয়া। খাবার অর্ডার করার পরও অনেকক্ষণ অপেক্ষা করা লাগে। আর খাবারের মানও তেমন ভালো না।

 2 months ago 

দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর ও যখন দেখি খাবারটা ভালো হয়নি। তখন কেমন লাগে বলেন?

 2 months ago 

গরমে আসলেই বের হতে ইচ্ছে করে না।বেশি কাজ পরলে সন্ধ্যার পর বের হলেও তাও কিছুটা গরম কম লাগে। যাই হোক নিত্য নতুন রেস্টুরেন্টে খাবার টেস্ট করতে ভালোই লাগে।আমার কাছেও নেহেরি বেশ ভালো লাগে।অবশেষে সবমিলিয়ে খারাপ একটা অভিজ্ঞতা হলো।ধন্যবাদ

 2 months ago 

অভিজ্ঞতাটা আসলেই খারাপ ছিলো।

 2 months ago 

হ্যাঁ ভাই এই তীব্র গরমে আমরা না চাইলেও বিভিন্ন কারণে বাহিরে যেতেই হয়। আর বাহিরে গিয়ে মাঝেমধ্যে খাওয়া দাওয়া করতে বেশ ভালোই লাগে। আপনার মতো আমারও নেহারি ভীষণ পছন্দ। যাইহোক নেহারি না পেয়ে অবশেষে ফাস্ট ফুড শপে গিয়ে তো দেখছি একেবারে বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছে আপনার। আসলে খাবারের মান ভালো না হলে খেয়ে তৃপ্তি পাওয়া যায় না। এই ফাস্ট ফুড শপে তো মনে হচ্ছে আর যাবেন ই না। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 2 months ago 

নেহারী দেখছি আমার মতো প্রায় সবারই পছন্দের খাবার।

 2 months ago 

হ্যাঁ ভাই নেহারি ছোটবেলা থেকেই ভীষণ পছন্দ করি। কোরবানির ঈদে বাসায় তৈরি করা হয় সবসময়। তাছাড়া মাঝেমধ্যে বাহিরে খাওয়া হয়। তন্দুর রুটি দিয়ে নেহারি খেতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।

 2 months ago 

প্রথমে খেতে গেলেন নেহারি কিন্তু সেটা তো হলো না। পরবর্তীতে বিকল্প যেখানে খাওয়ার জন্য গেলেন সেটা সবদিক থেকেই আপনাকে হতাশ করল। এটা একটু কেমন জানি হয়ে গেল। আজকাল অধিকাংশ রেস্টুরেন্টেই খাবার পরিবেশন করতে বেশ অনেক টা সময় নিয়ে নেয়। ব‍্যাপার টা মোটেই ভালো লাগে না আমার।

 2 months ago 

মাঝে মাঝে বাহিরে খাবার খেতে গেলে অনেক বাজে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়। সব সময় যে খাবারের মান ভালো থাকে এটা একদমই নয়। তবে বর্তমানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খাবারের মান অনেকটাই খারাপ থাকে। যাইহোক ভাইয়া আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.12
JST 0.028
BTC 65435.53
ETH 3559.74
USDT 1.00
SBD 2.48