চিড়িয়াখানার বেহাল দশা।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


কয়েকদিন আগে পরিবার নিয়ে গিয়েছিলাম ফরিদপুর শিশু পার্কে। সে অভিজ্ঞতা দুটি পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। তবে সেখানে গিয়ে ভালো অভিজ্ঞতার সাথে কিছু খারাপ অভিজ্ঞতাও হয়েছে। কিছু ব্যাপার যেমন খুবই ভালো লেগেছে। আবার কিছু জিনিস খারাপ লেগেছে। ফরিদপুরের এই শিশু পার্কটার ভেতরে একটি ছোট্ট চিড়িয়াখানা রয়েছে। যদিও শিশু পার্কের ভেতর চিড়িয়াখানা থাকার কথা না। তারপরেও বলতে পারেন একের ভিতরে দুই। এই চিড়িয়াখানা টুকু ছিলো আগত দর্শনার্থীদের জন্য বাড়তি পাওনা। আজকে সেই চিড়িয়াখানা দুরবস্থা নিয়ে কিছু কথা বলবো।

IMG_20230302_171559.jpg

প্রথমবার যখন শিশু পার্কে গিয়ে এই চিড়িয়াখানাটা দেখেছিলাম। তখন বেশ ভালো লেগেছিল। চিড়িয়াখানাটি ছোট্ট হলেও সেখানে বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর প্রানী ছিলো। তবে এবার গিয়ে দেখতে পেলাম আগেকার কয়েকটি প্রাণী আর সেখানে নেই। তাছাড়া চিড়িয়াখানাটি ও কেমন অযত্নে অবহেলায় পড়ে রয়েছে। দেখাশোনা করার লোকজন নেই। একটা বড় জায়গার ভেতরে হরিণ আর উটপাখি একই সাথে রাখা হয়েছে। সাধারণত এই ধরনের প্রাণী আলাদা আলাদা জায়গায় রাখা হয়।

IMG_20230302_172257.jpg

IMG_20230302_171638.jpg

চিড়িয়াখানাতে বলার মত তেমন কোন প্রাণী নেই। অল্প যে কয়েকটা প্রাণী ছিল তার ভেতরে আমার কাছে ময়ূর দেখতে ভালো লেগেছিলো।একটি খাঁচার ভিতর দুটি ময়ূর দেখেছিলাম। তাছাড়া এই চিড়িয়াখানার অংশটাতে এখন লোকজন আসে অনেক কম। আমরা ছাড়া আর মাত্র ২-৪ জন লোক ছিল সেখানে। অথচ তাদের পক্ষে এই চিড়িয়াখানাটা বড় করার যথেষ্ট সুযোগ আছে। কারণ পার্কের ভেতর এখনো বেশ খানিকটা জায়গা ফাঁকা রয়েছে।

IMG_20230302_171827.jpg

IMG_20230302_171647.jpg

এই ফাঁকা জায়গাটাকে কাজে লাগিয়ে চিড়িয়াখানাটাকে পার্ক কর্তৃপক্ষ আরো বড় করতে পারত। আরো বিভিন্ন রকমের প্রাণী এনে সুন্দর একটা চিড়িয়াখানা বানাতে পারতো। তাতে তারাই লাভবান হোতো। তবে কেন জানি এই পার্ক কর্তৃপক্ষের এদিকে নজর একেবারেই কম। সবকিছুতেই কেমন যেন গাছাড়া ভাব। অথচ এই পার্কটি শহরের একমাত্র মানসম্মত শিশু পার্ক। এই পার্কটিকে তারা ভালোভাবে ব্যবহার করে যথেষ্ট ব্যবসা সফল একটি প্রতিষ্ঠান পরিণত করতে পারতো। তাতে শহরের মানুষের বিনোদনের অভাব ও কিছুটা মিটতো।

IMG_20230302_171951.jpg

IMG_20230302_172040.jpg

পার্কটা যখন প্রথম হয়েছিল তখন শহরের লোকজন বেশ খুশি হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে নানা রকম সমস্যার কারণে পার্কটি শহরের লোকজনের কাছে তেমন একটা জনপ্রিয়তা পায়নি। অবশ্য এই জনপ্রিয়তা না পাওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে পার্কে প্রবেশ টিকিট ও রাইডের উচ্চমূল্য। তাছাড়া এই পার্কটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নেতিবাচক কারণে খবরে এসেছে। যদিও এখন পার্কের ভেতরে কিছু উন্নয়ন কার্যক্রম দেখতে পেয়েছি। আর কিছুদিন গেলেই বোঝা যাবে আসলে পার্ক নিয়ে কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো ভালো পরিকল্পনা আছে কিনা। আমাদের দেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত ব্যবসা সফল হয়। তবে এই পার্কটি সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরও তাদের ব্যবসায়িক মানসিকতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়ে গিয়েছে।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি।পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর শিশু পার্ক

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 years ago 

চিরিয়াখানা মেইনটেইন করা বেশ জটিল এবং খরচ সাপেক্ষ বিষয়।প্রথমে বোঝা না গেলেও পরে বোঝা যায়।এজন্যই হয়ত চিরিয়াখানাটির এই হাল। তবে ভাল ভাবে পরিকল্পনা করলে পার্কটি এখনো জনপ্রিয় হতে পারে।ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

ভাইয়া বাংলাদেশে এই একটা প্রবলেম প্রথম প্রথম যা কিছুই করে নাম ডাক ছড়ে যায় । পরে দেখা যায় এগুলোর মাঝে কিছু মানুষ ঢুকে নিজের স্বার্থ হাসিল করতে গিয়ে সব কিছু বিলীন করে দেয়। চিড়িয়াখানার প্রাণী গুলো দেখে অনেক মায়া লাগলো। সঠিক যত্ন নেই। ধন্যবাদ ভাইয়া ধারুন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।

 2 years ago 

যেখানে কর্তৃপক্ষের গাফিলতি থাকে সেখানে কোন কিছুই সফল হয় না। হয়তো কর্তৃপক্ষের যথেষ্ট খামখেয়ালিপনা কাজ করেছে এখানে। তাইতো এরকম একটি জায়গা মানুষের মন জয় করতে পারেনি। অনেক সময় দেখা যায় টিকেটের উচ্চ মূল্য সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষদের সাধ্যের বাইরে চলে যায়। তাইতো তারা ছোট ছোট সোনামণিদেরকে নিয়ে পার্কে আসতে পারে না। যাইহোক ভাইয়া পার্কে ঘোরাঘুরির এবারের পর্ব পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আর চিড়িয়াখানার বেহাল দশা সম্পর্কেও জানতে পারলাম।

 2 years ago 

আপনার শিশু পার্কে গিয়ে চিড়িয়াখানা দর্শনের পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। তবে হরিণ এবং উটপাখি একই খাঁচার মধ্যে আছে বিষয়টা আমার কাছে বেশ অবাক লাগলো। হয়তো চিড়িয়াখানাটা অত বেশি জনপ্রিয় না তাই তারা এভাবেই ফেলে রেখেছে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আমাদের দেশের অনেক ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত উপার্জনের আশায় উচ্চমূল্য নির্ধারণ করে এতে করে অনেক কিছু, স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে যায়। এতে করে কিন্তু হিতে বিপরীত হয়। কাস্টমারের অভাবে লাভ অনেকটা কমে যায়। এই পার্কেও দেখছি একই অবস্থা, প্রবেশ টিকেট এবং রাইডের মূল্য বেশি হওয়ার কারণে অনেকে যেতে পারে না। এতে করে পার্ক মালিকের ই লস হচ্ছে। পশুপাখি গুলোর অযত্ন দেখে খুব খারাপ লাগলো। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে সুনজর দিবে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 62836.52
ETH 2558.21
USDT 1.00
SBD 2.72