পরিবার নিয়ে ফুড কার্ট থেকে খাওয়া-দাওয়ার অভিজ্ঞতা।
আমার কাছে এমনিতেও এই ধরনের ফুড কার্টের থেকে খাবার খেতে বেশ ভালো লাগে। তাদের হাইজিন মেইনটেইন করা দেখে আমি ঠিক করলাম তাহলে এই ফুড কার্টের কিছু খাবার খেয়ে টেস্ট করে দেখি। তারপর পরিবারের সবাইকে নিয়ে সেই ফুড কার্টের পাশে রাখা কিছু চেয়ারে বসে পড়লাম। তারপর সেখান থেকে চিকেন চপ, চিকেন কাটলেট চিকেন, অনথন আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই অর্ডার করলাম। সেই সাথে আমি চিকেন সমুচাও খেয়ে টেস্ট করে দেখেছিলাম। এক এক করে খাবার আসতে লাগলো আর আমরা সবাই খেতে লাগলাম। সেখানকার খাবারের দাম ছিল বেশ রিজনেবল। যদিও প্রত্যেকটা আইটেমের সাইজ ছিলো বেশ ছোটো। তবে খাবারগুলো খেতে দারুন মজা লেগেছিলো। কথায় কথায় ফুড কার্টের মালিকের কাছ থেকে জানতে পারলাম তারা তাদের সমস্ত খাবার বাড়ি থেকে তৈরি করে নিয়ে আসে। আর তারা স্বাস্থ্য সচেতনতা পুরোপুরি মেনে চলে।
বনশ্রীতে আমি প্রায়ই যাই। তবে এই ফুড কার্ট থেকে এর আগে কখনো খাওয়া হয়নি। আমরা সেখানকার প্রত্যেকটি খাবারই দু-একটি করে নিয়ে টেস্ট করে দেখছিলাম। বেশিরভাগ খাবারই আমাদের কাছে বেশ ভালো লেগেছিলো। তবে সবচাইতে ভালো লেগেছিলো চিকেন কাটলেট আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। খাওয়া-দাওয়া শেষে আমরা আলোচনা করতে লাগলাম যে জুসটা এখন খেলে ভালো হোতো। এই ধরনের খাবার খাওয়ার পরে ঠান্ডা কিছু খেতে ইচ্ছা করে। তবে আমরা রীতিমতো পেট ভরে খেয়েছিলাম। যার ফলে পরবর্তীতে আর কিছু খাওয়া হয়নি। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বিলমিটিয়ে বাসার দিকে রওনা দিলাম। তবে কিছুদুর যাওয়ার পর আমার মনে পড়লো যে বাসায় আমার বোন আর মা রয়েছে। তাদের জন্য কিছু একটা নেয়া দরকার। তখন আমি আমার স্ত্রী মেয়ে আর ভাগ্নেকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে আবার ফিরে গেলাম সেই জুসের দোকানে। সেখানে গিয়ে মা আর বোনের জন্য দুটো জামের জুস নিলাম। তারপর বাসায় ফিরে গেলাম। জামের জুসটা আমার বোন বেশ পছন্দ করেছিলো। এভাবেই সেদিনের খাওয়া-দাওয়া পর্ব শেষ হয়েছিলো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
নিজেদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে আমাদের উচিত সবসময় স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া। তাদের খাবার সংরক্ষণ এবং পরিবেশনের পদ্ধতিটা দারুণ ছিলো ভাই। এসব জায়গার খাবার খেতে খুব ভালো লাগে। যাইহোক চিকেন কাটলেট এবং ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আমার ভীষণ পছন্দ। আপনারা সেখানে বেশ ভালোই খাওয়া-দাওয়া করেছেন। তাছাড়া খাবারগুলো যেহেতু বাসা থেকে তৈরি করে নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে বলা যায় যে খাবারের স্বাদ দারুণ ছিলো। বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি দেখে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
খাবারগুলো আসলেই বেশ ভালো ছিলো। আমরা সবাই বেশ মজা করে খেয়েছিলাম।
ইশ পিচ্চি জুস মিস করল।।আশা করি সে এখন সুস্থ। এই ধরনের ফুডকার্ট গুলো সাধারণত এত হাইজিন মেইনটেইন করে না। তবে এই ফুডকার্ট টি তা করছে দেখে ভাল লাগল। অনেক সুন্দর ভাবে লিখেছেন রিভিউটি। ধন্যবাদ আমাদের সাথে আপনার সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
পিচ্চি শুধু জুস না ঠান্ডা বেশিরভাগ খাবারই সে মিস করে। তবে ফুড কার্টের পরিবেশ আসলেই বেশ ভাল ছিলো।
হাইজিন মেইনটেইন করা রেস্টুরেন্ট গুলো থেকে খাবার খেতে ভালো লাগে। যেহেতু উনারা বাসা থেকে সব খাবার তৈরি করে আনেন তাই খাবারটা বেশ ভালো ছিল বোঝাই যাচ্ছে। এরপর মা বোনের জন্য জামের জুস কিনেছিলেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। অনেক সুন্দর ভাবে নিজের অনুভূতি ও কাটানো মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
চিকেন চপ, চিকেন কাটলেট চিকেন, অনথন আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই,...... নামগুলো শুনেই মনে হচ্ছে যে খিদে বেরে গেল । এ ধরনের খাবার আমিও অনেক পছন্দ করি। আপনার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাই।
এই খাবারগুলো আমারও বেশ পছন্দের। ধন্যবাদ আপনার মক্তব্যের জন্য।
ফুড কার্টে পরিবারকে নিয়ে খাওয়া-দাওয়ার সুন্দর একটি মুহূর্তের বর্ণনা দিয়েছেন আমাদের মাঝে। আসলে খাবারের দোকানগুলো যেখানেই হোক না কেন যদি সেগুলোতে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি সর্বাধিক সচেতনতামূলকভাবে দেখা হয় তাহলে সেগুলো মানুষের রুচিসম্মত হয়ে থাকে। আপনার মেয়ে ঠান্ডা কারণে জুস খাওয়ান নি বিষয়টি একদম ঠিকই করেছেন ভাইয়া। কারণ বর্তমান ওয়েদার একদম ভালো নেই এবং আরো যদি ঠান্ডা লেগে যেত তাহলে বেশি সমস্যা হয়ে যেত। আপনার ফোন এবং মায়ের জন্য জামের জুস কিনেছিলেন শুনে ভালো লাগলো। আসলে পরিবারকে নিয়ে যে কোন জিনিস ভাগাভাগি করে খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। খাওয়া দাওয়া নিয়ে দারুণ একটি অনুভূতি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আজকে।
ঠিকই বলেছেন পরিবারের সাথে মিলে যেকোনো কিছু খাওয়ার মাঝে আলাদা আনন্দ রয়েছে।