রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট।
একটা সময় ছিল যখন আমার ছবি তুলতে একেবারেই ভালো লাগতো না। কোনো জায়গায় গেলে সেখানকার সৌন্দর্য অবলোকন করতেই ব্যস্ত থাকতাম। ছবি তোলাটা আমার কাছে বিরক্তিকর কাজ মনে হোতো। অবশ্য আমার অনেক বন্ধু-বান্ধবকে দেখতাম কোন জায়গায় গেলে তারা ছবি তোলার পেছনে বেশি সময় ব্যয় করতো। তবে আমার ভেতর এই ব্যাপারটা আগে কখনোই ছিল না। কিন্তু স্টিমেটে জয়েন করার পর থেকে পোস্ট করার জন্যই হোক বা অন্য কোন কারণে হোক কোথাও ঘুরতে গেলেই ছবি তুলি। যদিও আমার ছবি তোলার হাত একেবারেই ভালো না। তারপরেও এখন ছবি তুলতে বেশ ভালই লাগে। বিশেষ করে যদি এমন কোন দৃশ্য দেখি যেটা নিজের কাছে ভালো লাগছে। তখন দ্রুত সেটার ছবি তুলে নেই। আজকে আপনাদের সাথে আমার তোলা কিছু ছবি শেয়ার করবো।
এই ছবিটি তোলা আমাদের শহরের প্রধান সুইচগেটের কাছ থেকে। একটা সময় ছিল যখন বর্ষাকালে শহরের মানুষজন এখানে বেড়াতে আসতো। বিকালবেলাটা এখানে লোকে লোকারণ্য থাকতো। তবে এখন সময় পরিবর্তন হয়েছে। তাছাড়া শহরে নতুন আরেকটা সুইচগেট হয়েছে এটার থেকে একটু পাশেই। তাই এখন আর পুরনো সুইচগেটে তেমন লোকজনের দেখা পাওয়া যায় না। যদিও নতুন সুইচগেট চালু না হওয়ার কারণে এখনো পুরনোটাই চালু রয়েছে। তাই কয়েকদিন আমি সেখানে ঘুরতে গিয়ে এই ছবিটি তুলেছিলাম।
কিছুদিন আগে বন্ধুদের সাথে রাজবাড়ী ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে নদীর পাড়ে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে যখন ফিরে আসছিলাম তখন এই জায়গাটি দেখতে পেলাম। এটি আসলে একটি গ্রাম্য হাট। যদিও আমরা যখন সেখানে গিয়েছি তার আগেই হাট শেষ হয়ে গিয়েছে। যার ফলে পুরো জায়গাটা জনশূন্য দেখা যাচ্ছে। এই ধরনের গ্রাম্য হাট দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। তবে অবশ্যই হাট চলাকালীন সময়।
রেললাইন দিয়ে হেঁটে চলেছে আমার বন্ধু রাফসান। একটা সময় ছিলো যখন রেললাইন দিয়ে হাঁটতে বেশ ভালো লাগতো। আমাদের বাসা থেকে কিছুটা দূরেই ছিলো রেললাইন। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন সেই রেললাইন দিয়ে প্রতিদিন ট্রেন চলাচল করতো। আমরা বিকালের দিকে মাঝে মাঝে সেখানে গিয়ে রেললাইন ধরে হাঁটতে থাকতাম। অনেকদিন পর বন্ধু রাফসানকে এভাবে হাঁটতে দেখে পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গেলো।
এটা রাজবাড়ীতে পদ্মার পাড়ে অবস্থিত একটি পার্ক। মূলত আমরা এই পার্কের নাম শুনেই রাজবাড়ী ঘুরতে গিয়েছিলাম। পার্কের নাম তারা দিয়েছে ইউকে বিচ। এই নাম দেয়ার কি কারণ সেটা অবশ্য আমরা বুঝতে পারিনি। তবে তারা তাদের পার্কের সামনে নদীর পাড় ঘেঁষে কয়েকটি বিচ চেয়ার রেখেছে। হয়তো এ কারণেই তারা পার্কের এমন নামকরণ করেছে।
এটা একটা খাল। শুকনো মৌসুমে এই খালে পানি প্রায় থাকে না বললেই চলে। তবে বর্ষা মৌসুমে এই খাল তার পূর্ণ যৌবন ফিরে পায়। বর্ষা মৌসুমে খালটি কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। তখন এই খালে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। এই খালটি অবস্থিত একটি বিলের পাশেই। প্রতিবছর বিলে যখন পানি আসে তখন সেখান থেকে প্রচুর মাছ এই খালে চলে আসে। আমরা কিছুদিন আগে বন্ধু রুবেলের গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। ওর বাড়ি থেকে আমরা ট্রলারে করে এই খাল দিয়েই শহরের কাছাকাছি এসেছিলাম।
কিছুদিন আগে পরিবার নিয়ে পদ্মা নদীর পাড়ে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আমি আর আমার স্ত্রী দুজনে এই আইস গোলা খেয়েছিলাম। তবে জিনিসটা খেতে আমাদের একেবারেই ভালো লাগেনি। যদিও জিনিসটা দেখতে বেশ কালারফুল ছিলো। কিন্তু স্বাদ ছিল একেবারেই খারাপ। আমি অনেকদিন ধরেই এটা দেখছিলাম কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি। সেজন্য সেদিন এটা নিয়েছিলাম টেস্ট করার জন্য। তবে তারপরে মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর কখনো এই জিনিস খাবো না।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া এখানে এই পরিবারে জয়েন হয়ে ফটোগ্রাফি করাটা শখের চাইতেও প্রয়োজনটাই বেশী মনে হচ্ছে।আপনি কিন্তু খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেন।কারন গ্রাম সৌন্দর্যের প্রতীক। সেই গ্রামে থেকে সুন্দর ফটোগ্রাফি কর যায়।আপনার করা ফটোগ্রাফিতে গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য কে খুঁজে পাই। আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি ই দারুন ছিল।ওই জায়গাটা সত্যি ই খুব সুন্দর। রাজবাড়ী নদীর পাড়ে ঘুরে আসার সময় জায়গা টি খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। এরপর ফটোগ্রাফির সুন্দর বর্ননা তুলে ধরেছেন এজন্য আরো অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
আরে ভাইয়া কি যে বলেন যখন থেকে এস্টিমিটে জয়েন করছি আর আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হয়েছি তখন থেকে শুধু হাত ফিসফিস করে ছবি তোলার জন্য।।যাইহোক অসাধারন কিছু ফটোগ্রাফি আজ আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বাংলা প্রকৃতির কথা বলছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঠিক বলেছেন ভাই, এই কমিউনিটিতে জয়েন করার পর ফটোগ্রাফির প্রতি আগ্রহ এমনিতেই বেড়ে গিয়েছে। যদিও আগে থেকেই ফটোগ্রাফি করতে আমার খুব ভালো লাগতো। যাইহোক দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি চমৎকার হয়েছে। তবে বিশেষ করে সুইচগেট এবং খালের ফটোগ্রাফি দুটি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে বর্ষার সময়ে সুইচগেট যখন ছেড়ে দেওয়া হয় তখন সেখান দিয়ে অনেক পানি বেরিয়ে যায় আর সেই সৌন্দর্যটা উপভোগ করার জন্য অনেকেই সেখানে ভিড় জমায় যেমন আপনি সেখানকার একটি ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন। তাছাড়া রাজবাড়িতে ঘুরতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে ফটোগ্রাফি করেছিলেন সেগুলো তুলে ধরেছেন সব মিলিয়ে আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ছিল ভাইয়া শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাই আপনার মত আমাদের ওই একই অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। স্টিমিটে জয়েন করার পরে, আমরা যেখানেই যাই সেই সব জায়গার সৌন্দর্য গুলো ফটোগ্রাফি করি। পরবর্তীতে স্টিমিটে আমরা সেগুলো পোস্ট করে থাকি। আপনি আজকে বেশ দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সৃষ্টিকর্তা প্রাকৃতিক এমন ভাবে সৃষ্টি করেছেন যার অপরূপ সৌন্দর্য দেখে আমরা সবাই মুগ্ধ হয়। যেমন আপনি খালের ফটোগ্রাফি করেছেন, এই ফটোগ্রাফিটা এত সুন্দর হয়েছে যা বলে বোঝাতে পারবো না। এই যে বললাম প্রকৃতি এত সুন্দর যার সৌন্দর্য শেষ নেই। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।