পরিবার নিয়ে বাইরে ঘোরাফেরা কেনাকাটা ও খাওয়া-দাওয়ার অভিজ্ঞতা (দ্বিতীয় পর্ব)।
তারপর আমরা লিফটে উঠে ৮ তলায় চলে গেলাম। আপনারা জানেন বসুন্ধরা সিটি ফুড কোর্টে অসংখ্য খাবারের দোকান। সেখানে গিয়ে হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নেয়া মুশকিল কি খাবেন। তাই যদি আপনি আগে থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তাহলে আপনার জন্য খাবার অর্ডার করা সুবিধা হয়। আমরা আট তলায় পৌঁছে একটু এদিক ওদিক দেখতে লাগলাম কি খাওয়া যেতে পারে। হঠাৎ করে আমার নজরে পড়লো একটি সালাদ বার। বেশ কয়েক বছর হোলো এই ধরনের খাবারের দোকান বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এখানকার সিস্টেম হচ্ছে আপনি ডিসপ্লেতে সাজিয়ে রাখা যে কোনো খাবার থেকে যতটুকু ইচ্ছা নিতে পারবেন একটা বক্সে করে। খাবার নেয়ার পর সেই বক্সের ওজন মেপে আপনার খাবারের দাম নির্ধারণ করা হবে। আমরা যেখান থেকে খাবার সিদ্ধান্ত নিলাম সেখানে প্রতি গ্রাম খাবারের দাম ছিল ৯৩ পয়সা।
আমি যখন আমার স্ত্রী আর মেয়েকে সেখান থেকে খাওয়ার কথা জিজ্ঞেস করলাম তারা সানন্দে রাজি হয়ে গেলো। তারপর তাদেরকে একটি টেবিলে বসিয়ে আমি গিয়ে খাবার নিতে লাগলাম। আমি আমার ওয়ান টাইম বক্সে ফ্রাইড রাইস, দুই রকমের কারি, কোরিয়ান চিকেন ফ্রাই, পাস্তা আর এক ধরনের সালাদ নিয়েছিলাম। সবকিছু নেওয়ার পর যখন আমার বক্সের ওজন করতে গেলাম তখন দেখলাম সেখানে বিল এসেছে ৭০০ টাকা। মানে আমি ৭০০ গ্রামের উপর খাবার নিয়েছিলাম। যাই হোক বিল পরিশোধ করে আমি খাবার নিয়ে আমার স্ত্রী আর মেয়ের কাছে চলে গেলাম। তারপর তিনজনে মিলে সেই বক্স থেকে খেতে লাগলাম। যেহেতু আমরা পেট ভরে খাবো না তাই তিনজনে সেই বক্স থেকে শেয়ার করছিলাম। তবে খেতে গিয়ে বুঝতে পারলাম সেখানে খাবারের পরিমাণ নেহায়েত কম নয়। খাওয়া-দাওয়া শেষ হলে সেখানে ড্রিংসের গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে আমরা চিন্তা করতে লাগলাম এখন কি করা যায়।
যেহেতু এখন খাওয়া দাওয়া করা হয়েছে তাই এখনই খেতে যাওয়া যাবে না। তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম আরো কিছুক্ষণ আমরা বসুন্ধরা সিটিতে ঘোরাফেরা করে তারপর খাওয়া দাওয়া করতে যাবো। এর ভেতরে নামাজের সময় হয়ে যাওয়ায় আমি চিন্তা করলাম সেখান থেকে নামাজ পড়ে নেই। এদিকে আমার মেয়ের বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন ছিলো। তাই আমি তাদেরকে প্রথমে ওয়াশরুমে নিয়ে গেলাম। তারপর তাদেরকে একটি জায়গায় ঘোরাফেরা করতে বলে আমি চলে গেলাম নামাজ পড়তে। নামাজ শেষ করে এসে আবার আমরা বসুন্ধরা সিটিতে ঘোরাফেরা করতে লাগলাম। বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাফেরার পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম এখন খেতে যাবো। সেই গল্প বলব পরের পর্বে।(চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ঢাকা |
![logo.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZEaz6VZmitMY1N8dSXHuT2tfgXFnDKjY8iV7jNGuNwEE/logo.png)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই কোরিয়ান চিকেন ফ্রাই এর কথা শুনেই তো লোভ সামলাতে পারছি না। কোরিয়ান চিকেন ফ্রাই খেতে আসলেই দারুণ লাগে। যাইহোক এক বক্সে তাহলে ৭০০ গ্রামের উপর খাবার নিয়েছিলেন। খাবার নেওয়ার এই সিস্টেমটা খুবই ভালো। খাবারগুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে দারুণ লেগেছিল। পরবর্তীতে আপনারা বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে আর কি কি করলেন, সেটা জানার অপেক্ষায় রইলাম। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।