বন্ধু ফেরদৌসের সাথে পদ্মার পাড়ে আড্ডা দেয়া।
৩০/১২
পরে দুজনে মিলে ঠিক করলাম বেলা সাড়ে তিনটার দিকে আমরা লালের মোড় নামক স্থানে দেখা করবো। তারপর সেখান থেকে যে কোন দিকে ঘুরতে যাবো। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আমি সময় মতোই লালের মোড়ে পৌঁছে গিয়েছিলাম। সেখানে পৌঁছে ফেরদৌসকে ফোন দিতেই ফেরদৌস সেখানে হাজির হয়ে গেলো। তারপর দুই বন্ধুর রওনা দিলাম রাফসানদের এলাকার উদ্দেশ্যে। কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পরই সমস্যা হোলো। হঠাৎ করে সামনে থেকে একজন লোক বলতে লাগলো সামনে পুলিশ মোটরসাইকেল ধরছে। শুনে আমরা সাথে সাথেই মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে অন্যদিকে রওনা দিলাম। ফেরদৌস আমাকে জিজ্ঞেস করলো এখন কোথায় যাবো। আমি বললাম চলো দুজনে পদ্মার পাড় থেকে ঘুরে আসি। যদিও কিছুদিন আগে আমি রাসেল আর ফেরদৌস পদ্মার পাড়ে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়েছি। আর সেদিন যেহেতু রাফসানদের এলাকায় আর যাওয়া হচ্ছে না তাই চিন্তা করলাম পদ্মার পাড়ে বসেই আড্ডা দিয়ে সময়টা কাটায়।
তখন আমি আর ফেরদৌস পদ্মার পাড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমরা যেখানে ছিলাম সেখান থেকে পদ্মা পাড়ের দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। যার ফলে আমরা অল্প সময়ে পদ্মার পাড়ে পৌঁছে গেলাম। সেখানে গিয়ে একটি বেঞ্চে বসে দুই বন্ধু মিলে গল্প করতে লাগলাম। বেশ কয়েক বছর আগে পদ্মার পাড়ে দর্শনার্থিদের বসার জন্য কিছু বেঞ্চ তৈরি করা হয়েছিলো। কিন্তু সে বেঞ্চগুলোর বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তার ভিতরে যে দু-চারটি অবশিষ্ট আছে তার একটাতেই আমরা বসে ছিলাম। আমরা ফরিদপুরের লোকজন মাঝে মাঝেই আফসোস করি পদ্মা পাড়ের এই দুরবস্থার জন্য। কারণ আমি যখন রাজশাহী গিয়েছিলাম তখন দেখেছিলাম তারা পদ্মা নদীর পাড়টা সুন্দর করে বাঁধিয়ে দর্শনার্থীদের জন্য সময় কাটানোর ভালো একটা জায়গা তৈরি করেছে। অথচ আমাদের এই শহরের বেশিরভাগ লোকজন বিকালে ঘুরতে আসে পদ্মার পাড়ে। কিন্তু সেখানকার পরিবেশ মোটেও ভালো না।
যাইহোক দুই বন্ধু মিলে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করতে লাগলাম। এর ভেতরে হঠাৎ করে ফেরদৌস বলল অনেকদিন হলো পদ্মার চরে যাওয়া হয় না। শীতকাল হচ্ছে পদ্মার চরে ঘুরতে যাওয়ার জন্য সবচাইতে ভালো সময়। কারণ গরমের ভেতর চরে প্রচন্ড গরম থাকে। সেই কারণে তখন সেখানে ঘুরতে যাওয়া যায় না। আর শীতকালে যেহেতু হাঁটতে বেশ ভালো লাগে তাই পদ্মার চরে ঘুরতে যাওয়ার জন্য শীতকালটাই সবচাইতে ভালো সময়। তখন আমি বললাম তাহলে চলো কালকে বিকালে আমরা পদ্মার চর থেকে ঘুরে আসি। এই কথা শোনার সাথেই ফেরদৌসের রাজি হয়ে গেলো। দুজনে মিলে ঠিক করলাম আমাদের সাথে বন্ধুর প্রদীপ কেও নেবো। আমি সাথে সাথেই প্রদীপকে ফোন দিলাম চরে ঘুরতে যাওয়ার জন্য। ফোন পেয়ে প্রদীপ সম্মতি জানালো। তখন আমি আর ফেরদৌস মিলে ঠিক করলাম আগামীকাল আমরা একটু তাড়াতাড়ি বাসা থেকে বের হবো। কারণ শীতকালের বিকালটা একেবারেই ছোট। যার ফলে আমরা যদি একটু দেরি করে বাসা থেকে বের হই তাহলে আর ঘোরাফেরার জন্য বেশি সময় পাবো না। সেজন্য আমরা ঠিক করলাম বেলা তিনটার দিকে আমরা ঘোরার জন্য বের হবো। আমিও বন্ধু প্রদীপকে ফোন দিয়ে সেই সময়ের কথাই জানিয়ে দিলাম। তারপর দুই বন্ধু আরো কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে সেদিনের মতো বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ফেরদৌস ভাইয়ের বাইকের কাগজপত্র এখনো ঠিক হয়নি তাহলে। যাইহোক পুলিশদের কারণে রাফসান ভাইদের এলাকায় যেতে না পেরে, পদ্মার পাড়ে যেতে হলো অবশেষে। তবে বিকেল বেলা নদীর পাড়ে সময় কাটাতে দারুণ লাগে। এতো চমৎকার জায়গা পদ্মার পাড়ে, কিন্তু দর্শনার্থীদের জন্য তেমন কোনো সুযোগ সুবিধা নেই বললেই চলে। সরকারের অবশ্যই উচিত যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া এই ব্যাপারে। যাইহোক আপনারা দু'জন বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন সেখানে। এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ফেরদৌস ভাইয়া শুক্রবার শহরে এলো।আর তাই ফোন দিলো ঘুরতে যাওয়ার জন্য। দুজন বের হয়ে রাফসান ভাইয়ার এলাকায় যাবেন কেউ একজন বলল পুলিশ মোটর সাইকেল ধরছে।যাক আপনারা পদ্মা পাড়ে ঘুরতে গেলেন।ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার লাগলো।কিছু দিন আগে আমিও এসেছি পদ্মা সেতু দিয়ে।পরিবেশ ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনারা সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। সুন্দর মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।