সরকারি ব্যাংকে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হওয়া।

যাইহোক শেষ পর্যন্ত যখন সেই ব্যাংক এ গিয়ে পৌঁছলাম। সেখানে গিয়ে ব্যাংকের ম্যানেজারের সাথে কথা বলতে লাগলাম। ম্যানেজার ভদ্রলোককে আমার কাছে মোটামুটি ভালই লাগলো। কারণ আমরা যে কাজে গিয়েছিলাম সেখানে ছোট্ট একটা সমস্যা হয়েছিলো। পরবর্তীতে তাকে একটু রিকোয়েস্ট করতেই তিনি সেই সমস্যাটা সমাধানের ব্যবস্থা করে দিলেন। তিনি আমাদেরকে পাঠালেন অন্য একটা টেবিলে। যেখান থেকে চেক বই দেয়া হয়। মূলত ভোগান্তির শুরু হোলো সেখানে গিয়ে। সেখানে কর্তব্যরত ব্যক্তি প্রথমে আমাদেরকে খুব একটা সহযোগিতা করেনি। পরবর্তীতে যখন ম্যানেজার সাহেবের কথা বললাম তখন সে আমাদেরকে নানারকম নিয়মের কথা বলতে লাগলো। পরবর্তীতে আমাদের হাতে কয়েকটা কাগজ দিয়ে সেগুলো পূরণ করতে বললো। ছোট্ট একটা কাজের জন্য এসে এতটা ঝামেলা পোহাতে হবে সেটা আগে থেকে বুঝতে পারিনি।

তাছাড়া ব্যাংকে বেশ ভিড় ছিলো। যার ফলে সেই ব্যাংক কর্মকর্তারও বেশ ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছিলো। আমাদের হাতে যেই ফর্মগুলো দিয়েছিল সেগুলো ফিলাপ করতে গিয়ে আমাকে বারবার তার কাছে যেতে হচ্ছিলো। কারণ সেখানে কোথায় কোন ইনফরমেশন দেবো সে সম্বন্ধে আমার খুব একটা ভালো ধারণা ছিল না। যাইহোক সেই ফরম ফিলাপ করার একপর্যায়ে সেই ব্যাংক কর্মকর্তা আমাদেরকে জানালো আমাদের সেই ফর্মে ওই ব্যাংকে একাউন্ট আছে এমন কারো সিগনেচার লাগবে সাক্ষী হিসেবে। এই কথা শুনে তো আমি বিপদে পড়ে গেলাম। কারণ আমরা যেখানে গিয়েছিলাম সেই ব্রাঞ্চ আমাদের শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে। অবশ্য সেখান থেকে আমাদের গ্রামের বাড়ি ১৫-১৬ কিলোমিটার মতো দূরে অবস্থিত। তবে সেই মুহূর্তে ব্যাংকের ব্রাঞ্চে আমাদের পরিচিত কোনো লোকজন ছিলো না।

পরবর্তীতে একটা লোককে দেখে মনে হল এর আগে একবার সেই লোকের সাথে পরিচয় হয়েছিলো। তার সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে জানতে পেরেছিলাম তিনি আমার এক ফ্রেন্ডের আত্মীয় হন। সেই লোককে দেখতে পেয়ে তাকে রিকোয়েস্ট করলাম ফরমের সিগনেচার করার জন্য। তিনি আমাকে জানালেন তিনি সিগনেচার করলে কাজ হবে না। তখন আমি তাকে বললাম ভাই এখন কি করা যায়? পরবর্তীতে তিনি তার পরিচিত একজনকে ডেকে সেই ফরমে সিগনেচার করিয়ে দিলেন। এই কাজটাতে আমার বেশ উপকার হয়েছে। না হলে হয়তো আমাকে সেদিনের মতো চলে আসতে হতো। যাই হোক সিগনেচার পর্ব শেষ হওয়ার পরও ফর্মটা পুরোপুরি পূরণ করতে আমাদের বেশ খানিকক্ষণ সময় লাগলো। এতটা সামান্য একটা কাজে এতটা সময় ব্যয় হওয়ায় খুব খারাপ লাগছিল। প্রচন্ড গরমের ভিতরে ব্যাংকে বসে সরকারি সিস্টেম নিয়ে চিন্তা করছিলাম।

শুধু যে ব্যাংকে এ ধরনের ভোগান্তি হয় তা নয়। বেশিরভাগ সরকারি অফিসে একই রকম অবস্থা। সেখানকার চাকরিজীবীরা মানুষকে কোন রকম সাহায্য করে না। তাদের অবস্থা দেখে মনে হয় তারা সব সময় সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার জন্য বসে রয়েছে। যাই হোক শেষ পর্যন্ত ফর্মগুলো পূরণ করা হলে সেই ব্যাংক কর্মকর্তাকে দিলাম চেক করার জন্য। তিনি চেক করে জানালেন কিছু তথ্য তখনও বাকি রয়েছে। পরবর্তীতে সেগুলো ফিলাপ করে তার কাছে ফর্মগুলো জমা দিতেই তিনি আমাদের কাঙ্খিত চেক দিয়ে দিলেন। প্রচন্ড গরমে এতক্ষণ বাইরে থেকে আমার খুবই খারাপ লাগছিলো। তবে কাজটা শেষ হতেই মনটা কিছুটা ভালো হয়ে গেলো। কাজ শেষ হওয়ার পর সেখানে আর দেরি করিনি। ব্যাংক থেকে বের হয়ে কিছুদূর সামনে এগিয়ে ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে একটা বাসে চেপে বসলাম। আর মনে মনে চিন্তা করতে লাগলাম। এরপর থেকে সরকারি অফিস সংক্রান্ত যেকোনো কাজে যাওয়ার আগে যথেষ্ট সময় নিয়ে যেতে হবে।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

---

🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩

@rupok