পরিবার নিয়ে বাইরে ঘোরাফেরা (শেষ পর্ব)।
আমরা যেখানে বসেছিলাম সেখান থেকে রেস্টুরেন্টের দূরত্ব খুব একটা বেশি ছিলো না। যার ফলে অল্প সময়েই রেস্টুরেন্টের কাছাকাছি পৌঁছে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম ভিড় এখন কিছুটা কমেছে। যেহেতু সন্ধ্যা হয়ে এসেছে তাই অনেকেই বাড়ি ফিরে গিয়েছে। ভিড় কম দেখে বেশ ভালো লাগলো। চিন্তা করলাম এইবার শান্তি মত কিছুটা সময় কাটানো যাবে। এই কথা চিন্তা করতে করতে রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করলাম। রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করতেই ম্যানেজার ছেলেটি আমাকে দেখে পরিচিত একটি হাসি দিলো। গত বছর তাদের ভাসমান রেস্টুরেন্টে বেশ কয়েকবার এসেছিলাম। সেখান থেকেই ছেলেটির সাথে পরিচয় হয়েছিলো। ছেলেটি বেশ হাসিখুশি ব্যবহার অনেক ভালো।
যাইহোক আমরা রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে ভেতরে না বসে সরাসরি সামনে গিয়ে বীচ চেয়ারে বসে পড়লাম। বাইরের চেয়ারে বসার সুযোগ পেয়ে বেশ ভালো লাগলো। কারণ পরিকল্পনা করে এসেছিলাম সন্ধ্যার পরে বেশ খানিকটা সময় এই বাইরের চেয়ারগুলিতে বসে কাটাবো। এই চেয়ারগুলোতে বসলে সামনে খোলা নদীর অসম্ভব সুন্দর একটা ভিউ পাওয়া যায়। আমরা তিনজন মিলে একটি চেয়ারে বসে ছিলাম। অবশ্য আমার মেয়ে বাইরের চেয়ারে বসার কিছুক্ষণ পরেই সে ভেতরে গিয়ে একটি দোলনায় বসে দোল খেতে লাগলো। আর আমরা দুজন বসে বসে গল্প করছিলাম।
তবে সবকিছু ভালো লাগলেও একটি জিনিস বেশ খারাপ লাগছিলো। সেটা হচ্ছে উচ্চস্বরে হিন্দি গান চলছিলো। রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারটি আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগেনি। কারণ সব জায়গায় সব ধরনের মিউজিক চলে না। নদীর পাড়ে যারা সময় কাটাতে আসে তারা সাধারণত নিরিবিলি চুপচাপ শান্ত পরিবেশ পছন্দ করে। সেখানে চাইলে কোন সফট মিউজিক চালানো যায়। কিন্তু উচ্চস্বরে এমন আইটেম সং সেখানকার পরিবেশটা নষ্ট করছিলো। যদিও আশেপাশে এমন কিছু মানুষজনকে দেখতে পেলাম যারা এই উচ্চস্বরে গান বেশ পছন্দ করছিলো। সেজন্য আর রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে কিছু বললাম না। কিন্তু এই ভয়ঙ্কর শব্দ আমাদের সেখানকার কাটানো সময়টাকে নষ্ট করে দিচ্ছিলো। যাই হোক আমরা চেষ্টা করলাম মনোযোগ অন্যদিকে সরাতে। যাতে এই মিউজিক আমাদের খুব একটা সমস্যা না করতে পারে।
সেখানে কিছুক্ষণ বসে থাকার পর মাগরিবের আজান শুনতে পেলাম। আমি আমার স্ত্রী আর কন্যাকে সেখানে বসিয়ে রেখে মসজিদে গেলাম নামাজ পড়তে। যাওয়ার আগে আমি আমার স্ত্রীর জন্য চটপটি আর পেপসির অর্ডার দিয়ে গিয়েছিলাম। তার আগে আমার মেয়ে খেয়েছিলো ফুচকা। নামাজ পড়ে এসে আমিও এক প্লেট ফুচকা অর্ডার করলাম সাথে একটা পেপসি। তবে তাদের খাবারের মান আমার কাছে একেবারেই ভালো লাগেনি। অবশ্য আমি সেখান থেকে খুব ভালো কিছু আশাও করিনি। খাবারের বিলটাকে আপনারা ধরতে পারেন রেস্টুরেন্টে সময় কাটানোর ফি হিসাবে।
যাই হোক সন্ধ্যার পরেও আমরা বেশ কিছুটা সময় সেখানে বসে রইলাম। আশা করছিলাম সেখানকার ভীড় আরো কমে আসবে। তখন রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে বলবো হালকা কোন মিউজিক চালাতে। কিন্তু সন্ধ্যা পার হয়ে রাত বাড়তে লাগলেও সেখানকার লোকজনের ভিড় কমার কোন লক্ষণ দেখছিলাম না। বরং খেয়াল করে দেখলাম আরো লোকজন সেখানে আসছে। অবশ্য লোকজনের ভিড় হওয়াটাই এখন স্বাভাবিক। এমনিতেই বর্ষা মৌসুমে পদ্মার পাড়ে প্রতিদিনই প্রচুর লোকসমাগম হয়। তাছাড়া এই রেস্টুরেন্টটি যেহেতু নতুন চালু হয়েছে তাই সেখানে এখন লোকজন বেশি আসবে। কিছুদিন গেলে তখন লোকজনের ভিড় কমে যাবে। মনে মনে পরিকল্পনা করলাম আরো কিছুদিন পর এখানে এসে বেশ খানিকটা সময় কাটাবো। এই কথা চিন্তা করে আমরা সেদিনের মত বাড়ি ফিরে এলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
| ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @rupok |
| স্থান | পদ্মার পাড় |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বিকাল পেরিয়ে সন্ধ্যাকালীন মুহূর্তে রেস্টুরেন্টের এই সুন্দর লোকেশনে অবস্থান করছিলেন যেখানে পাবলিকের সমাগম একটু কমে ছিল। আর সেখানে বেশ দারুন মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন পরিবার এবং সন্তানকে সাথে নিয়ে। আমার খুবই ভালো লেগেছে এই পদ্মার পাড়ার সুন্দর রেস্টুরেন্টের দৃশ্য দেখে। আর তার অসাধারণ বর্ণনা শুনে ভালো লাগলো বেশ পূর্ব পরিচিত ম্যানেজারের কথা শুনে। যাইহোক বলতে পারি অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন সেখানে আর পদ্মার পাড়ে এমনিতেই মানুষের ভিড় বেশি হয়ে থাকে বিশেষ বিশেষ সময়ে। যেমন ঈদ অথবা বিশেষ কোন দিন।