পছন্দের কিছু ছবি নিয়ে আজকের পোস্ট।
কয়েকদিন আগে এলাকার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে পদ্মার চরে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে এই ছবিটা ক্যামেরাবন্দি করেছিলাম। ছবিটাতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি পুকুরের ভেতরে নৌকা পড়ে রয়েছে। তবে শুকনো মৌসুমের কারণে পুকুরের পানি প্রায় শুকিয়ে গিয়েছে। পদ্মার এই নতুন চরে প্রচুর মানুষ তাদের বাড়িঘর করেছে। সেই বাড়ি ঘর করার জন্য তাদের ভিটা উঁচু করতে গিয়ে অনেক জায়গা থেকে তারা মাটি কেটেছে। সেই মাটি কাটার ফলে চরের ভেতর বিভিন্ন জায়গায় পুকুরের মতো তৈরি হয়েছে। ছবিটাতে আপনারা তেমনি একটি জায়গা দেখতে পাচ্ছেন।
এই ছবিটাতে আপনারা যে ফলটা দেখতে পাচ্ছেন এটাকে আমরা স্থানীয় ভাষায় খই ফল বলি। তবে হয়তো দেশের অন্যান্য জায়গায় এই ফলের অন্য নাম থাকতে পারে। আমাদের এলাকায় এই ধরনের ফল খুবই কম দেখা যায়। কারণ এই ধরনের ফলের গাছ আমাদের শহরে প্রায় নাই বললেই চলে। সেদিন চরে ঘুরতে গিয়ে আমাদের এক সহযাত্রী গাছে পাকা খই দেখে রীতিমতো আনন্দে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলো।
উপরের ছবিটাতে আপনারা ধান খেত দেখতে পাচ্ছেন। পদ্মার চরে ফসলের মাঠের ভেতরে ধান দেখে মনে হচ্ছিলো মাঠের উপরে কেউ সবুজ কার্পেট বিছিয়ে দিয়েছে। দৃশ্যটা আমাদের সকলের কাছেই চমৎকার লেগেছিলো। সেজন্য দ্রুত এই দৃশ্যটার একটা ছবি তুলে নিয়েছিলাম।
উপরের ছবিটাতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পদ্মার চরে একটি জলাশয়ের পানিতে হাঁস ভেসে বেড়াচ্ছে। এগুলো কিন্তু কোন বিদেশি হাস না। এগুলো আমাদের দেশী হাঁস। দৃশ্যটা দেখে আমার দারুন লেগেছিলো। সেজন্য দ্রুত সেটার ছবি তুলে নিয়েছিলাম।
উপরের ছবিটাতে দেখতে পাচ্ছেন একটা মাঠের ভেতরে কিছু ভেড়া ঘাস খাচ্ছে। আর তার পেছনেই যে টিনের ঘর গুলো দেখতে পাচ্ছেন এগুলো আসলে একটা স্কুলের ভবন। দুর্গম এই চরে আমাদের এলাকার এক বিশিষ্ট শিল্পপতি এই স্কুলটা করে দিয়েছে চরের মানুষজনের শিক্ষার উন্নয়নের জন্য।
ছবিটাতে আপনারা যে ভবন গুলো দেখতে পাচ্ছেন এগুলো আসলে চরের ভেতরে থাকা শিশু এবং মহিলাদের জন্য একটা হাসপাতাল। দুর্গম চরের মানুষজন বেশিরভাগ সময় স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত থাকে। তাই সেখানে শিশু এবং মায়ের স্বাস্থ্য সেবার জন্য এই হাসপাতালটি তৈরি করা হয়েছে। যদিও এই হাসপাতালে ডাক্তার থাকে কিনা সেটা আমার জানা নেই।
ছবিটাতে আপনারা যেটি দেখছেন এটি আসলে চাল কুমড়া। সেদিন এলাকার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে পদ্মার চরে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে একটি বাড়িতে গিয়েছিলাম ভেড়া কেনার জন্য। সেই বাড়ির চালে এরকম চাল কুমড়া দেখতে পেয়ে আর ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারিনি। কারণ একটা সময় গ্রামের বাড়ি গুলির চালে এ ধরনের চাল কুমড়া দেখা যেতো। আজকালকার দিনে এখন প্রায় দেখা যায় না বললেই চলে।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনার কয়েকদিন আগের পোস্টে খই ফল সম্পর্কে শুনেছিলাম। তবে এই ফলটি আমার কাছে সত্যি অচেনা। তাইতো সেদিন বুঝতে পারিনি। আজকে ছবি দেখে ভালোই লাগলো। নতুন একটি ফল দেখতে পেলাম। যাইহোক ভাইয়া কোথাও গেলে সুন্দর কিছু দেখলেই ফটোগ্রাফি করতে ইচ্ছে করে। আর ঘাটে বাঁধা নৌকা দেখলে তো আরো বেশি ভালো লাগে। দারুন এসব ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমাদের সবার অভ্যাস এমন হয়ে গিয়েছে যে, কোথায়ও ঘোরাফেরা করতে গেলে ছবি তোলা একটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। ছবি না তুললে মনে হয় যেনো ঘোরাঘুরি সম্পূর্ণ হয়নি। এখন গ্ৰীষ্মকাল বলে পদ্মায় চর জেগেছে আর মানুষ সেখানে বাড়িঘর বানিয়ে বসবাস করছে। কিন্তু আমি এটা বুঝি না বর্ষাকাল আসলে তো পদ্মা নদী পানিতে ভরে যায় তখন এই মানুষ গুলো কোথায় যায়? তখন কি তাদের বাড়ি ঘর পানিতে তলিয়ে যায় না? যাই হোক ভাইয়া আপনি বেশ চমৎকার সব ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনি খই ফলের খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আমাদের গ্ৰামে এই ফল কখনো দেখিনি আর কখনও খাওয়া ও হয়নি। ভাইয়া খই ফল খেতে কেমন লাগে? সত্যিই সবুজ ফসলের মাঠ দেখে মনে হচ্ছে সবুজ কার্পেট বিছিয়ে রাখা হয়েছে। প্রতিটা ফটোগ্রাফি'ই আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর সুন্দর প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর সুন্দর কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম আপনারা বন্ধুরা কয়েকজন মিলে পদ্মার চরে ঘুরতে গিয়েছিলেন । আপনার পোস্ট দেখে বুঝতে পারলাম সেখানে খুবই সুন্দর একটা মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। সেই সাথে সেখান থেকে বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি করলেন। আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে যে ফলটা দেখতে পেলাম এটা হচ্ছে ব্যালসিট ফল। এই ফলগুলো এখন আর আমাদের এদিকে পাওয়া যায় না তবে আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লাগলো । ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
পদ্মার চরে হাঁস ভেসে যাওয়ার দৃশ্যটা খুব সুন্দর ছিল ভাই, আজকে আপনি আপনার পছন্দের কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যেটা অনেক চমৎকার একটা বিষয়। এভাবে এলোপাথাড়ি ভাবে ঘুরে বেড়াতে আমার অনেক ভালো লাগে এবং ফটোগ্রাফি তো আমার নেশা । যাই হোক খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো।
আসলে কোথাও গিয়ে যদি ছবি তুলতে না পারি,তাহলে একটুও ভালো লাগে না। ছবি তোলাটা এক ধরনের নেশা হয়ে গিয়েছে। যাইহোক একটি পোস্টে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। ফটোগ্রাফি গুলো এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে ভাই। খই ফল বা জিলাপি ফল ছোটবেলায় অনেক খেতাম। কিন্তু এখন এই গাছ একেবারেই দেখা যায় না। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কোথাও ঘুরে আসলাম কিন্তু ছবি তুললাম না। এমনটা আমার কাছেও কেমন জানি অসম্পূর্ণ মনে সময়। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ছিল। ধানের মাঠ টা দারুণ লাগছে। কী সুন্দর দৃশ্য। ঐ ফলটাকে আমাদের এলাকায়ও সম্ভবত ঐরকম কোন নামেই ডাকে। বিভিন্ন অবজেক্ট এর ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর শেয়ার করেছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।।
ফেরদৌস ভাইয়ের সাথে ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন তাহলে। খই ফলটি আমি মনে হয় প্রথম দেখছি। এই ফল খাওয়া যায় কি না জানা নেই! যাইহোক, চরের পাড়ের চমৎকার কিছু দৃশ্য ক্যাপচার করেছেন। অনেকদিন পর চাল কুমড়া দেখলাম। এটা প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার পথে।
বন্ধু বান্ধবদের সাথে তাহলে তো বেশ ভালো সময় কাটালেন ভাইয়া আপনি। আর ফটোগ্রাফি করার নেশাটা শুধু আপনার না এখন আমাদেরও অনেক বেড়ে গেছে ভাইয়া। কারণ এখন বের হওয়া মানে হচ্ছে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি সংগ্রহ করা। পরবর্তীতে সেগুলো সবার সাথে শেয়ার করা বেশ আনন্দের। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফির মধ্যে আলাদা বৈশিষ্ট্য এবং আলাদা সৌন্দর্য বিরাজ করতেছে। কারণ পদ্মার চর থেকে নেওয়া ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। বিশেষ করে হাঁসের দৃশ্যটা অনেক ভালো লাগলো। এছাড়াও নতুন একটি খই ফল দেখেছি আগে কখনো দেখিনি। অনেক ধন্যবাদ অন্যান্য ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ভালো লেগেছে দেখে।