তিন বন্ধুর ঘোরাফেরা ও আড্ডাবাজি (প্রথম পর্ব)।
তখন আমি বুঝতে পারলাম রাসেল ফরিদপুরে রয়েছে। তখন আমি রাসেলকে ফোন দিয়ে তৈরি হয়ে থাকতে বললাম। ওকে জানালাম আমরা কিছুক্ষণের ভেতরেই তোকে নিতে আসছি। এই কথা বলে আমি আর ফেরদৌস মোটরসাইকেল নিয়ে রাসেলের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। পথের মধ্যে ফেরদৌসের সাথে কথায় কথায় জানতে পারলাম ফেরদৌস আর মাত্র একদিন ফরিদপুরে আছে। তারপরে ওকে ওর নতুন চাকরিতে জয়েন করতে হবে। শুনে আমার মনটা কিছুটা খারাপ হয়ে গেলো। কারণ আপনারা যারা আমার পোস্ট পড়েন তারা জানেন আমি ফেরদৌসের সাথেই বেশি ঘোরাফেরা করি। ফেরদৌস না থাকলে আমাকে রীতিমতো একরকম গৃহবন্দী হয়ে থাকতে হয়।
যাইহোক কি আর করা যেহেতু চাকরি হয়েছে তাই যাওয়া তো লাগবেই। পরে আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম তোমার পোস্টিং কোথায় হয়েছে? ও জানালো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাছাকাছি কোন একটি জায়গায়। তখন আমি বললাম তাহলে তো তুমি আর সহজে ফরিদপুর আসতে পারছো না। তখন ও জানালো ওর যেখানে পোস্টিং হয়েছে সেখান থেকে ফরিদপুর আসতে চার ঘন্টা সময় লাগবে। আমি বুঝতে পারলাম যদি চার ঘন্টায় ফরিদপুর আসা সম্ভব হয় তাহলে ফেরদৌস বেশিরভাগ সপ্তাহে ফরিদপুর চলে আসবে। অবশ্য যদি সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন থাকে তাহলেই আসা সম্ভব।
যাইহোক দুই বন্ধু ওর নতুন চাকরির বিভিন্ন ব্যাপার নিয়ে কথাবার্তা বলতে বলতে রাসেলের বাড়ির দিকে আগাচ্ছিলাম। পথের মধ্যে দেখলাম আসরের নামাজের সময় হয়ে গিয়েছে। তখন দুজনে ফরিদপুর টিচার্স ট্রেনিং কলেজের মসজিদের ওখানে মোটরসাইকেল থামালাম। তারপর সেখান থেকে দুজন আবার রাসেলের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। কিছুক্ষণ পর রাসেল ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করলো আমরা কোথায়? আমি জানালাম আমরা এখনো বায়তুল আমান রয়েছি তোর বাড়ির কাছাকাছি বোধহয় চলে এসেছি। রাসেল আমার কথা শুনে হেসে বলে তুই এখনো আমার বাড়ি চিনতে পারিসনি। তোরা যেখানে আছিস সেখান থেকে আমার বাড়িতে আসতে আরো বেশ খানিকটা সময় লাগবে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা ২আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে বন্ধুদের সাথে ঘোরাফেরা ও আড্ডার মজাই আলাদা।একসময় কতই না আড্ডা দেওয়া হতো।জীবন জীবিকার তাগিদে এখন একেক জন একেক জায়গায় আছি।আর আপনার ঘনিষ্ঠ বন্ধুও জীবন-জীবিকার জন্য দূরে চলে যাবে।তাই মন খারাপ লাগাই স্বাভাবিক।তারপরও যেহেতু দুই দিন বন্ধ এবং যেখানে পোস্টিং হয়েছে সেখান থেকে আসতে ঘন্টা চারেক লাগবে শুনে মনটা নিশ্চয়ই অনেকটা ভালো লেগেছে ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, এত সুন্দর করে তিন বন্ধুর ঘোরাফেরা ও আড্ডাবাজি (প্রথম পর্বটি) আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রহিলাম ভাই।
বন্ধুদের সাথে সুন্দর সময় কাটান তা তো আমরা জানি। আপনি ফেরদৌস ভাইয়া কে নিয়ে আরো বেশী ঘুরাঘুরি করেন সুন্দর সময় কাটান এমনটাই জানি।তবে ভাইয়ার পোস্টিং হয়ে গেছে।আর একদিন পর চলে যাবে।সত্যিও ভাইয়া আপনি একা হয়ে যাবেন।আপনারা রাসেল ভাইয়ার বাসা চিনতে পারেন নি ভাইয়া ফোন দিয়ে তাই বলল।এরপর কি হলো তা পরের পর্বে জানতে পারব আশাকরি। ধন্যবাদ ভাইয়া বন্ধুদের সাথে নিয়ে ঘুরাঘুরির পোস্ট শেয়ার করার জন্য।