পরিবার নিয়ে কেনাকাটা ও বাইরে খাওয়ার অভিজ্ঞতা (প্রথম পর্ব)।
রেস্টুরেন্টে যাওয়ার কথা শুনে তো মেয়ে মহা খুশি। রেস্টুরেন্টের খাবার আমার মেয়ের খুবই পছন্দের। সে দু একদিন পরপরই রেস্টুরেন্টে খাওয়ার জন্য বায়না ধরে। আমি আমার স্ত্রীর সাথে আগেই পরামর্শ করেছিলাম আমরা রিভেরা লাউনজ নামের একটি রেস্টুরেন্টে যাবো। কারণ সেই রেস্টুরেন্ট থেকে এর আগেও আমরা কয়েকবার খাওয়া দাওয়া করেছি। শহরের বেশিরভাগ রেস্টুরেন্ট থেকে আমাদের খাওয়া দাওয়া করা হয়েছে। অন্য সব রেস্টুরেন্টের থেকে সেখানকার খাবারটা আমাদের কাছে একটু ভালো মনে হয়েছে। এই কারণে সেখানে যাওয়ার জন্য মনস্থির করলাম। মাগরিবের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে আমি আমার স্ত্রীকে বললাম তোমরা তৈরি হয়ে থেকো। যাতে করে আমি নামাজ পড়ে বাসায় ফিরে রওনা দিতে পারি।
কিন্তু নামাজ শেষ করে এসে দেখি তারা তখনো তৈরি হয়নি। আমি তাদেরকে বললাম জলদি তৈরি হতে। যাইহোক কিছুক্ষণের ভেতর সবাই তৈরি হয়ে মার্কেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। মার্কেটে পৌঁছে আমরা মেয়ের জন্য হিজাব দেখতে লাগলাম। তবে মার্কেটের ভেতরে দেখলাম হিজাবের দোকানের সামনে একজন ভেলপুরি ওয়ালা ভেলপুরি বিক্রি করছিলো। আমি আমার মেয়েকে জিজ্ঞেস করলাম ভেলপুরী খাবে নাকি? সে সানন্দে রাজি হয়ে গেলো। তারপর আমরা এক প্লেট বেলপুরি নিলাম। আমি আর আমার মেয়ে যখন ভেলপুরি খাচ্ছিলাম তখন আমার স্ত্রী পাশেই একটি দোকানে তার জন্য কিছু জিনিস দেখছিলো। আমাদের ভেলপুরি খাওয়া শেষ হতেই সে আমাদের কাছে চলে এলো।
তখন তাকে আমি জিজ্ঞেস করলাম তুমি ভেলপুরি খাবে নাকি? সে হ্যাঁ বলাতে আমি আরো এক প্লেট ভেলপুরির অর্ডার দিলাম। অর্ডার দেয়ার সাথেই আগে থেকে তৈরি করে রাখা এক প্লেট ভেলপুরি আমাদের হাতে দিলো। সেটা শেষ করে তারপর আমরা বিল মিটিয়ে সামনের দিকে আগাতে লাগলাম। মেয়ের জন্য খুঁজে আমরা পছন্দসই কোন হিজাব পাচ্ছিলাম না। শেষ পর্যন্ত খুঁজতে খুঁজতে একটি দোকানের হিজাব আমাদের কিছুটা পছন্দ হলো। বেশ কিছুক্ষণ দামাদামি করে সেখান থেকে একটা হিজাব কিনলাম। হিজাব কেনা শেষ হলে আমরা রওনা দিলাম রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে। নিউমার্কেট থেকে সেই রেস্টুরেন্টের দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। মিনিট দশকের ভেতরে আমরা সেখানে পৌঁছে গেলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা ২আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মাঝে সাজে পরিবার নিয়ে বাহিরে ঘুরতে গেলে কিন্তু বেশ ভালোই লাগে। ইস্ আমারও তো ইচেছ হচ্ছে বেলপুরি খেতে। আসলে সব চেয়ে বড় কথা হলো পরিবার নিয়ে বাহিরে একটু ঘুরতে গেলে কিন্তু মনটা বেশ ভালোই হয়ে যায়। যাক অবশেষে যে হিজাব কিনতে পেরেছেন তা কম কিসে।
পরিবার নিয়ে ঘুরাঘুরি করতে এবং খাওয়া দাওয়া করতে আমার খুব ভালো লাগে। তাইতো সময় পেলেই আমি বের হয়ে যাই এদিক সেদিক। যাইহোক এতো খোঁজাখুঁজির পর শেষ পর্যন্ত আপনারা হিজাব কিনতে পেরেছেন, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। মাঝেমধ্যে ভেলপুরি খেতে দারুণ লাগে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
মাননির জন্য হিজাব কিনতে গিয়ে ভেলপুরি খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পছন্দের হিজাব পাওয়া গেছে এটা জেনে সত্যিই ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে প্রয়োজনীয় কিছু কিনতে বাহিরে গেলে মজার মজার সব খবর খাওয়া হয়। যেহেতু পরবর্তীতে রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন আশা করছি সেই বিষয়ে একটি পোস্ট দেখতে পাবো। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া নিজের অনুভূতি এবং পরিবারের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মেয়ের জন্য হিজাব কিনতে গেলেন।হিজার কিনে রেস্টুরেন্টে খাবেন বলে মেয়ে তো খুশী হয়ে গেলো।আসলে বাচ্চারা বাইরে গেলে বাইরের খাবার খাওয়ার জন্য বেশ আনন্দ পায়।রিভেরা লাউনজে গেলেন।এই রেস্টুরেন্টে আগেও খেয়েছেন।এই রেস্টুরেন্টের খাবার বেশ ভালোই দেখেছেন।কিছু সময়ের মধ্যে ই আপনারা পৌঁছে গেলেন। খুব ভালো লাগলো পরিবারের সাথে কাটানো মূহুর্তগুলো পড়ে।