রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট।
এই ছবিটি তুলেছি এবারের বাণিজ্য মেলা থেকে। একটা সময় ছিল যখন ঢাকা আসলে বাণিজ্য মেলার কথা শুনলে সেখান থেকে না ঘুরে ফিরতাম না। তবে আস্তে আস্তে বাণিজ্য মেলা নিয়ে সেই আকর্ষণটা অনেক কমে গিয়েছে। তাছাড়া এখন বাণিজ্য মেলা হয় শহর থেকে বেশ কিছুটা দূরে। সেখানে যাওয়া আসাটাও একটা ঝক্কি ঝামেলার ব্যাপার। গতকাল বোন দুলাভাইয়ের সাথে গিয়েছিলাম 300 ফিটের নিলাম মার্কেটে। সেখান থেকে শুনতে পেলাম বাণিজ্য মেলাটা বেশ কাছেই। তখন দুলাভাই বলল যেহেতু এতদূর এসেই পড়েছি। চলো বাণিজ্য মেলা থেকে আমরা ঘুরে যাই। সেই সুবাদেই বাণিজ্য মেলা এবার ঘোরা হয়েছে। বাণিজ্যমেলায় ঢোকার পথের বাম পাশেই দৃষ্টিনন্দন এই ফোয়ারাটি তৈরি করা হয়েছে। রাতের বেলায় ফোয়ারাটি দেখতে বেশ ভালো লাগছিলো। প্রচুর লোকজন দেখলাম এখানে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছে। সেই ফাঁকে আমিও একটা ছবি তুলে নিলাম।
এবার ঢাকায় এসে একাধিক বার মেট্রোরেলে চড়া হয়েছে। দুদিন আগে আমরা মেট্রোরেলে চেপে সচিবালয় মেট্রো স্টেশন থেকে উত্তরার একেবারে শেষ স্টেশন অব্দি গিয়েছিলাম। এই ছবিটি সম্ভবত সেখান থেকেই তোলা। ঢাকা শহরের লোকজনের জন্য মেট্রো একটা আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। অবশ্য এখনো শহরব্যাপী মেট্রো চলাচলের ব্যবস্থা হয়নি। যখন পুরো শহরটা মেট্রোরেলের আওতায় চলে আসবে তখন ঢাকা শহরের মানুষ যানজট নামক অসহ্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে।
এই ছবিটি তুলেছিলাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে। এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে আমার কাছে একেবারেই ভালো লাগেনি। কারণ জায়গাটা আমার কাছে হকারদের স্বর্গরাজ্য মনে হয়েছে। আর হকাররা যেখানেই যাবে সেখানকার পরিবেশ তারা নিশ্চিত ভাবে নষ্ট করবে। অবশ্য এতে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাও অনেকটা দায়ী। কারণ এই হকারদের কে যদি কোন গাইডলাইন দেয়া হোতো ব্যবসা করার জন্য। তাহলে তারা পরিবেশ নোংরা করার ব্যাপারে সচেতন হতে পারতো।
এই ছবিটি তুলেছিলাম কয়েকদিন আগে ফরিদপুরে ঘুড়ি উৎসব থেকে। বাংলাদেশের যে কোন উৎসব মানেই সেখানে মেলার মত জমজমাট অবস্থা তৈরি হওয়া। আর সেখানে হকাররা বিভিন্ন রকম খাদ্যদ্রব্য নিয়ে চলে আসে বিক্রি করার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সেদিন ফরিদপুরের পদ্মার চরে ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। সেখানে এরকম প্রচুর হকার এসেছিল বিভিন্ন রকমের খাদ্যদ্রব্য নিয়ে। সেখান থেকে এই ছবিটি তুলেছিলাম।
কিছুদিন আগে বিকালের দিকে গিয়েছিলাম বন্ধু রাফসানের এলাকায়। উদ্দেশ্য ছিলো সেখানে নদীর পাড়ে বসে তিন বন্ধু মিলে কিছুক্ষণ আড্ডা দেবো। রাফসানের বাড়ি থেকে নদীর পাড়ে হেঁটেই গিয়েছিলাম। তবে এবারের হাঁটার অভিজ্ঞতাটা ছিলো কিছুটা ভিন্ন। দীর্ঘদিন পরে বিকালবেলায় ফসলের ক্ষেতের ভিতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে নদীর পাড়ে গিয়েছিলাম। তখনই এই হলুদ সরিষা ফুলে ঢেকে থাকা ছবিটি তুলেছিলাম।
এই ছবি দুটি তুলেছিলাম ঘুড়ি উৎসবের ওখান থেকে। প্রথম ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একজন হকার। গ্রামীণ মেলায় যে ধরনের খাবার পাওয়া যায় সে সেই সব খাবার বিক্রি করছে। আর দ্বিতীয় ছবিতে আপনারা সূর্য অস্ত যাওয়ার ছবি দেখতে পাচ্ছেন। সেদিন এত লোকের ভিড়েও যখন এই ছবিটি তুলতে গিয়েছি তখন কিছুটা অন্যরকম হয়ে গিয়েছিলাম। আসলে গোধূলি লগ্নের এই ছবিটা যতবারই আমি তুলি ততবারই আমার কাছে নতুন মনে হয়। অস্তমিত সূর্যের দিকে তাকিয়ে মনে মনে দীর্ঘশ্বাস ফেলছিলাম যে জীবন থেকে আরও একটি মূল্যবান দিন হারিয়ে গেলো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ঢাকা, ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার তোলা রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে ভাইয়া ৷ বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি এবং সময় কাটানোর পাশাপাশি চমৎকার কিছু দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করে নিয়েছেন ৷ আপনার তোলা রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ৷
আসলেই ভাই এখন বাণিজ্য মেলা নিয়ে তেমন আকর্ষণ কাজ করে না। একটা সময় প্রতি বছর বাণিজ্য মেলার সময়, বেশ কয়েকবার বাণিজ্য মেলায় যাওয়া হতো। যাইহোক রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। কারণ একটি পোস্টের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি দেখার সুযোগ হয়। গত সপ্তাহে আমিও মেট্রোতে চড়েছিলাম। প্রতিটি ফটোগ্রাফি এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে ভাই। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আজ আপনার রেনডম ফটোগ্রাফির পোস্টটির ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ও তার ভেতরের প্রত্যেকটির বর্ণনার লেখাগুলো পড়ে আমি অনেক মুগ্ধ হয়ে গেছি। আর এই পোস্টটি ছিল আপনার পরিবার নিয়ে ঢাকায় কিছু সুন্দর মুহূর্ত কাটানোর একটি পোস্ট। হ্যাঁ ভাইয়া আমাদেরও আগে বাণিজ্য মেলায় অনেক যাওয়া হত। কিন্তু বাণিজ্য মেলা এখন আমাদের বাসা থেকে অনেক দূরে হওয়াতে আমাদেরও তেমন একটা যাওয়া হয় না। তবে মাঝে মাঝে নিলা মার্কেটে ঘুরতে যাওয়া হয়। এবার ভাবছি বাণিজ্য মেলায় যাব। আর আপনি মেট্রোরেলে উঠে বেশ আনন্দ পেয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। কিন্তু আমরা ঢাকায় থেকে এখনোও মেট্রোরেলে উঠতে পারিনি। তবে ভাই আপনার এ কথাটির সাথে আমি একমত হতে পারলাম না। কারণ আমার ব্যক্তিগত মতামত মেট্রোরল সম্পূর্ণভাবে চালু হওয়ার পরেও আমাদের ঢাকা থেকে কখনো যানজট কমবে না। আর আপনার শেষের সূর্যাস্তের ছবি এবং তার সাথে বর্ণনাটি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। সুন্দর একটি কথা আপনি লিখেছেন ভাইয়া। অস্তমিত সূর্যের দিকে তাকিয়ে আপনি দীর্ঘশ্বাস ফেলে মনে মনে ভাবছিলেন যে, জীবন থেকে আরও একটি মূল্যবান দিন হারিয়ে গেলো।আর এটা একদম বাস্তব ঠিক কথা। আর এই কথাটা আমরা কেউ ভেবে দেখিনা। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার ভালো লেগেছে এবং তার সাথে আরও ভালো লেগেছে ভিতরের সুন্দর সুন্দর কথাগুলো।
আসলে দাদা বন্ধু-বান্ধবের সাথে ঘুরলে একরকম অভিজ্ঞতা হয়, আবার পরিবারের সাথে ঘুরলে অন্যরকম অভিজ্ঞতা হয়। দুটোই সম্পূর্ন ভিন্ন রকম। আপনার শেয়ার করা সবগুলো ফটোগ্রাফি দেখলাম, তবে মেট্রো রেল স্টেশনটা দেখতে কিন্তু অনেকটা আমাদের এখানকার মত। সত্যি কথা বলতে সবগুলো ফটোগ্রাফি আমাকে অনেক বেশি আকর্ষিত করেছে। তবে গ্রামীণ পরিবেশের যে সরিষা ক্ষেতের ফটোগ্রাফি, ওটা একটু বেশি ভালো লেগেছে । দাদা, মেলার ভেতরের রং দেওয়া খাবার-দাবার গুলো দেখে কেমন যেন একটু লাগলো আমার কাছে।