সকালে হাঁটতে বের হয়ে বাজার করার গল্প।
আপনাদের যাদের হাটাহাটি করার অভ্যাস নেই তারা যখন প্রথম প্রথম হাটাহাটি শুরু করবেন। তখন দেখবেন প্রথম কয়েকদিন একটু কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কয়েকদিন পর থেকে দেখবেন আর আপনার কষ্ট হচ্ছে না। বরং হাঁটার পরে আপনি দারুন মানসিক প্রশান্তি অনুভব করবেন। শরীর ফিট থাকার একটা আলাদা মজা রয়েছে। যাই হোক অন্যান্য দিনের মতো আমি আজকে সকালে হাঁটতে বের হয়েছিলাম। তবে আজকে হাটতে বের হওয়ার আগে পরিকল্পনা করেছিলাম হাটাহাটি শেষ করে ফেরার পথে বাজার করে ফিরতে হবে। কারণ আমার স্ত্রী গতো রাতে জানিয়েছে ফ্রিজের বাজার প্রায় শেষের দিকে। তাই গতকাল রাতেই পরিকল্পনা করেছিলাম আজকে হাটাহাটি শেষ করে বাজারে যাবো কিছু মাছ মাংস শাকসবজি কিনতে। সেই হিসেবে আজকে হাটাহাটি শেষ হতেই প্রথমে চলে গিয়েছিলাম সিএনবি ঘাট নামের একটি জায়গায়। এই জায়গাটাকে একেবারে সকালে নদীর মাছ পাওয়া যায়। তাই আমি মাঝে মাঝে এখানেই যাই মাছ দেখতে। যদি পছন্দ মতো কোনো কিছু পায় তখন সেটা কিনি। যদিও এখন নদীর মাছ আমাদের মত সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছে।
যাই হোক হাটাহাটি শেষ করে যখন সিএনবি ঘাটে পৌঁছলাম তখন দেখলাম সেখানে মাছ বাজারের ভিড় কিছুটা কমে গিয়েছে। মানে আমি পৌঁছানোর আগেই মাছের বেচাকেনা অনেকটা শেষ হয়ে গিয়েছিলো। যদিও আমি পৌঁছে কিছু মাছ দেখতে পেলাম। তবে সে মাছগুলো ছিলো পরিমাণে একেবারেই কম। আর দাম চাচ্ছিলো আকাশ ছোঁয়া। আর যে মাছগুলো বাজারে উঠেছিলো সেগুলো দেখে আমার খুব একটা পছন্দ হয়নি। যদিও এক মাছ বিক্রেতার কাছে চিংড়ি মাছ দেখে কিছুটা পছন্দ হয়েছিলো। কিন্তু আমি মাছ সব সময় কেজি হিসেবে কিনি। আর সেই বিক্রেতা মাছ বিক্রি করছিলো ভাগ হিসাবে।
আমি দেখেছি ভাগ হিসেবে মাছ কিনলে ঠকতে হয় বেশি। সেই কারণে আমি বিক্রেতাকে প্রস্তাব দিলাম কেজি হিসেবে মাছ বিক্রি করতে। কিন্তু তিনি আমার প্রস্তাবে রাজি হলেন না। তিনি তার চিংড়ি মাছগুলো আমার কাছে তিন হাজার টাকা দাম চাইলো। আমি তার কাছে জিজ্ঞেস করলাম কতটুকু মাছ হবে এখানে? তিনি বললেন দেড় থেকে ২ কেজি মতো মাছ হবে। আমি তখন বললাম আপনি এখান থেকে এক কেজি মাছ আমার কাছে বিক্রি করুন। কিন্তু তিনি রাজি হলো না। তারপর আমি ঘুরে ফিরে অন্য বিক্রেতাদের মাছগুলো দেখতে লাগলাম। কিন্তু তাদের কাছে কোন মাছই আমার পছন্দ হলো না। তারপর আমি চলে গেলাম সব সময় যে বাজার থেকে বাজার করি সেখানে। সেখান থেকে সবকিছু কেনাকাটা করে বাড়িতে ফিরে এলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
তা একদম ঠিক যে হাটা হাটি করলে শরীর অনেক ভালো থাকে এবং ডায়বেটিস থেকেও পরিত্রান পাওয়া যায়। আর আমার কাছে সকালে ভোর বেলার হাটাটাই বেশি ভালো লাগে। আর দাম চৌরা হলেও মাছ গুলো দেখতে বেশ সুন্দরই লাগছে।
ডাক্তার একদম সঠিক উপদেশই দিয়েছে আপনাকে। যেহেতু আপনার বাবা মায়ের ডায়াবেটিস, আপনারও হওয়ার চান্স বেশি। তবে ডায়াবেটিস পুরোটাই কন্ট্রোলে রাখতে হয়। যাইহোক, সকাল সকাল হাটেঁ তাজা মাছ পাওয়া যায়। তবে ভাগ হিসেবে কিনলে আমারও মনে হয় লস। এজন্য কেজিতে কেনায় ভালো।
সকালে হাঁটাহাঁটি করলে শরীর খুব ভালো থাকে। আমিও মাঝেমধ্যে সকালে উঠে হাঁটাহাঁটি করার চেষ্টা করি,কিন্তু সেটা কন্টিনিউ করতে পারছি না। আবার আব্বুর যেহেতু ডায়াবেটিস,তাই আমারও একটু ভয় লাগে যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে যাই। তাই হাঁটাহাঁটি আবারও শুরু করতে হবে। যাইহোক ভাগ হিসেবে মাছ কিনলে আসলেই ঠকতে হয়। তাই সবসময় কেজি হিসেবে মাছ কিনলে ভালো। নদীর চিংড়ি ২ কেজি ৩,০০০ টাকা হলে ঠিক আছে, কিন্তু ১.৫ কেজি হলে লস হয়ে যাবে কাস্টমারের জন্য। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
সকালে হাঁটাহাঁটি করা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। যেহেতু আপনাকে ডাক্তার সরাসরি নির্দেশ দিল তাহলে তো আপনার সেটা অবশ্যই করনীয় দরকার। আপনার আব্বা আম্মুর যেহেতু ডায়াবেটিস আছে তাহলে আপনার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। হাঁটাহাঁটি শেষ করে বাজারে গেলেন কিন্তু প্রথম বাজারে তো মাছগুলোর দাম অনেক বেশি বললো। আবারো আপনার সেই পুরাতন বাজারে গিয়ে বাজার করে ঘরে ফিরে গেলেন। খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত ছিল। আপনার আজকের শেয়ার করা ব্লগ পড়ে ভালো লাগলো।