বাড়ির পাশের রেস্টুরেন্টে সন্ধ্যার নাস্তা করা।

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


কিছুদিন আগে আমাদের এলাকাতে একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট হয়েছে। সেখানে পিজ্জা পাস্তা সহ আরো নানা ধরনের খাবার পাওয়া যায়। সাথে থাই এবং চাইনিজ বিভিন্ন আইটেম ও রয়েছে। রেস্টুরেন্টটা হওয়ার কারণে একটা সুবিধা হচ্ছে যদি কখনো এই ধরনের খাবার খেতে ইচ্ছা করে তাহলে বাসা থেকে হেঁটে দু তিন মিনিটেই আমি এই রেস্টুরেন্টে গিয়ে সেই খাবারটা খেতে পারি। আবার অসুবিধাও একটা আছে। সেটা হচ্ছে এই ধরনের খাবার হাতের কাছে থাকলে সেটা খাওয়ার পরিমাণ একটু বেশি হয়ে যায়। এই খাবারগুলো খেতে যতই ভালো লাগুক না কেন এগুলো কিন্তু শরীরের জন্য খুব একটা উপকারী না। যাই হোক এই রেস্টুরেন্ট হওয়ার পর এখান থেকে মাঝে মাঝে খাওয়া হয়। বেশিরভাগ সময় খাওয়া হয়েছে এদের শেফস স্পেশাল চিকেন চাওমিন। এদের চাওমিনটা এক কথায় দুর্দান্ত। আমার কাছে এখন ওল্ড স্টোভ নামের এই রেস্টুরেন্টের চাওমিন সবচাইতে পছন্দের খাবারের পরিণত হয়েছে।

IMG_20231101_200443.jpg

কয়েকদিন আগে সন্ধ্যার সময় হঠাৎ করে দেখি বেশ ক্ষুধা লেগেছে। বাসার কোন কিছু খেতে ইচ্ছা করছিল না। ইতিমধ্যে মাগরিবের আজান দিয়ে দিয়েছিলো। নামাজ পড়তে মসজিদে যখন গেলাম তখন মনে হল এই রেস্টুরেন্টে কয়েকদিন আগে থেকে আমেরিকান চিকেন চপছি পাওয়া যাচ্ছে। যখন ফেসবুকে আমি এই আইটেম টা দেখেছিলাম তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম একদিন এখান থেকে খেয়ে দেখতে হবে। কারণ আমেরিকান চিকেন চপছি আমার অত্যন্ত পছন্দের একটি আইটেম। এটা আমি বিভিন্ন জায়গা থেকে খেয়ে দেখেছি। তাই বাড়ির কাছে রেস্টুরেন্টে এটা পাওয়া যায় দেখে আর না খেয়ে থাকতে পারিনি। সেদিন মাগরিবের নামাজ শেষ করে মসজিদ থেকে বের হয়ে চলে গেলাম সেই রেস্টুরেন্টে।


IMG_20231101_202458.jpg

রেস্টুরেন্টটির অবস্থান মসজিদ থেকে মাত্র ২ মিনিটের দূরত্বে। রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে দেখি ভিতরে বেশ ভালো ভিড় রয়েছে। রেস্টুরেন্টের ভেতরে দুটি অংশ। তার ভেতরে একটি অংশ হচ্ছে কিছুটা খোলামেলা। যেটার উপরে ছাদ দেয়া নেই। যেই জায়গাটা একটু খোলামেলা আমি সেখানে গিয়ে বসলাম। বসার কিছুক্ষণ পর ওয়েটার এলো অর্ডার নেয়ার জন্য। ওয়েটারের কাছে আমি চিকেন চপছি অর্ডার করলাম। ওয়েটার জানলো ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগবে খাবার পরিবেশন করতে। আমি সেখানে বসে খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। আমি খেয়াল করে দেখলাম আমার সামনেই রয়েছে একটি দোলনা। সেই দোলনায় একটি ছোট্ট বাচ্চা মেয়ে বসে দোল খাচ্ছে আর গান গাচ্ছে। বিষয়টা দেখতে ভালোই লাগছিলো।

IMG_20231101_195921.jpg

যাই হোক বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর সামনে চলে এলো আমার কাঙ্খিত আমেরিকান চিকেন চপছি। এটা আসলে এক ধরনের ফ্রাইড নুডুলস। যার ওপরে ডিম দিয়ে গার্নিশিং করা থাকে। এক একটা রেস্টুরেন্ট এক এক ভাবে ডিম দিয়ে খাবারটা পরিবেশন করে। আমাদের এই রেস্টুরেন্টে একটা ডিম পোচ দিয়েছিলো নুডুলসের উপরে। যেটাকে বলা হয় সানি সাইড আপ। যাইহোক খাবারটা একেবারে গরম গরম পরিবেশন করেছিলো। তাই আমি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তারপর খাওয়া শুরু করলাম। খাবারটা দেখেই বুঝতে পারছিলাম খেতে বেশ ভালো লাগবে। মুখে দিয়েও দেখলাম অনুমান সঠিক ছিলো। খাবারটা একজনের জন্য পরিমাণে কিছুটা বেশি ছিল। তবে আমি যেহেতু এই ধরনের খাবার পছন্দ করি তাই শেষ করতে আমার কোন সমস্যা হয়নি।


IMG_20231101_195909.jpg

যখন খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম তখন খেয়াল করে দেখি আমার পেট রীতিমতো ভরে গিয়েছে। খাওয়া-দাওয়া শেষ হলে বিল মিটিয়ে সোজা বাড়িতে চলে আসলাম। আসার পথে মনে মনে এই রেস্টুরেন্টের উদ্যোক্তাদেরকে ধন্যবাদ দিচ্ছিলাম। কারণ বাসার খুব কাছাকাছি এই রেস্টুরেন্ট থাকায় ইচ্ছে হলেই এখন পছন্দের খাবারগুলো খেতে পারি। তাছাড়া তাদের খাবারের স্বাদও যথেষ্ট ভালো। এখন আমি মনে মনে প্রার্থনা করছি যেনো তাদের ব্যবসাটা ভালো চলে। কারণ ব্যবসা ভালো হলে তারা এখানে থাকবে। আর না হলে তো যেকোনো সময় তারা রেস্টুরেন্ট ব্যবসা বাদ দিয়ে চলে যাবে। তখন আর আমি এইভাবে ইচ্ছা হলেই পছন্দের খাবারগুলি খেতে পারব না।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর


🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 10 months ago 

আপনার বাসার সাথে চাইনিজ রেস্টুরেন্ট হয়ে গিয়ে আপনার বেশ উপকার হয়েছে। আপনার যখন ইচ্ছা তখন গিয়ে খাইতে পারছেন, এটা বেশ আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো। আর আপনার প্রিয় খাবার চাওমিন,জেনে অনেক খুশি হলাম, কেননা আমার চাওমিন অনেক পছন্দের।

 10 months ago 

আসলে ভাইয়া বাড়ির পাশে রেস্টুরেন্ট থাকলে মনে চাই সেখানেই নাস্তাটা করে আসি। ঠিক তেমন আপনিও না বাড়িবাসের রেস্টুরেন্টে গিয়ে নাস্তা করেছেন এবং খুব সুন্দর একটা সময় অতিবাহিত করেছেন এবং এটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

চিকেন চপছি ভাইয়া দেখেই তো মনে হচ্ছে খেতে লোভনীয় হয়েছে। আশাকরি খুব মজা করে খেয়েছেন। মাঝে মাঝে এমন হয় ঘরের খাবার খেতে ইচ্ছে করে না। আপনার বাড়ির পাশে রেস্টুরেন্ট হয়েছে তা তো খুশির খবর। এখন থেকে মাঝে মধ্যে খেতে পারবেন। আপনার পোস্ট পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।

 10 months ago 

হ্যাঁ ভাই বাসার পাশে রেস্টুরেন্ট থাকলে সুবিধা এবং অসুবিধা দুটোই রয়েছে। কারণ বাহিরের খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য তেমন ভালো নয়। আমেরিকান চিকেন চপছি দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। আমেরিকান চিকেন চপছি আমি এবং আমার দুইজন ফ্রেন্ড মোটামুটি ৭/৮ বছর আগে আমাদের মদনপুরের একটি রেস্টুরেন্টে খেয়েছিলাম। ওরা বলেছিল এই আইটেমটা একেবারে নতুন। অর্ডার করার পর এতো বাজে লেগেছিল খেতে, তারপর থেকে আমেরিকান চিকেন চপছি আর খাওয়া হয়নি। যাইহোক দোয়া করি আপনার বাসার এতো কাছের রেস্টুরেন্টটি যেন খুব ভালোভাবে চলে। তাহলে আপনার জন্য বেশ সুবিধা হবে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

বাসার কাছেই রেস্টুরেন্ট হওয়াতে নিজের পছন্দের খাবারগুলো খুব সহজে খাওয়া গেলে তো ভালোই লাগার কথা।আপনি মাগরিবের নামাজ শেষ করে গিয়ে পছন্দের খাবার খেয়েছেন।খাবারটা সত্যি ই খুব লোভনীয় লাগছে।আপনার সাথে সাথে আমিও দোয়া করছি দোকানটা যাতে চলে।চললেই তো থাকবে। নয়ত দোকান উঠে যাবে।আপনি তখন আপনার পছন্দের খাবারগুলো খেতে পারবেন না।

 10 months ago (edited)

ওই যে আমরা কথাই বলি সব কিছুরই উপকার ও অপকার দুটোই রয়েছে। ‌ তেমনি হলো আর কি। ঠিক বলছেন রেস্টুরেন্ট কাছে হয়ে যখন তখন আসা যাওয়া হয়। ‌ রেস্টুরেন্টের খাবার গুলো খুবই টেস্টি হলেও আমাদের শরীরের জন্য তেমন কোন উপকারিতা নেই। কিন্তু এত সুস্বাদ খাবার দেখে কি আর বসে থাকা যায়? চিকেন চপছি কখনো টেস্ট করা হয়নি, ছবিতেও দেখা যাচ্ছে কিছুটা ফ্রাইড নুডুলস এর মত। তাহলে খেতে কিছুটা মুচমুচে ছিল না? যাই হোক কোন রেস্টুরেন্টে গেলে অবশ্যই টেস্ট করে দেখব।

আর ছোট্ট মেয়েদের দোল খাওয়া আর গান গাওয়ার দৃশ্য দেখার ভীষণ ইচ্ছে ছিল।

 10 months ago 

আমার কাছে খোলামেলা ছাদের উপরে যে রেস্টুরেন্টের অ্যারেঞ্জমেন্ট গুলো হয় সেখানে বসতে ভালো লাগে তাছাড়া সেখানকার আরো একটি বিষয় ভালো লাগলো ওয়েটার খাবারের অর্ডার নিয়ে যাওয়ার ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যেই খাবার ডেলিভারি দিয়ে দিল। ছবিগুলো দেখে বুঝতে পারলাম সেখানকার ডেকোরেশনটাও বেশ ভালই আমার কাছে তো ভালই লাগলো।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

ভাইয়া তো মনে হচ্ছে খাবার এর ব্যাপারে ভীষণ উৎসাহী এবং বিজ্ঞ লোক। এভাবে ডিম পরিবেশন আগেও অনেক জায়গাতেই চোখে পড়েছে। তবে এটির যে আলাদা এত দুন্দর একটি নাম আছে, "সানি সাইড আপ", তা আগে জানা ছিলো না। আপনার পোষ্ট পড়ে জানতে পারলাম।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 57647.49
ETH 2274.93
USDT 1.00
SBD 2.50