সন্ধার নাস্তায় চিকেন চাপ খাওয়ার অভিজ্ঞতা।
এখন বাইরের খাবার খাওয়ার আগে বেশ চিন্তা-ভাবনা করি। মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিয়েছি। যদিও আমার বিভিন্ন রকমের জুস এবং কোলড্রিংস আইসক্রিম এগুলো খুবই পছন্দের খাবার। কিন্তু শারীরিক সমস্যার জন্য এই খাবারগুলো এখন এভয়েড করে চলতে হয়। যাইহোক বেশ কিছুক্ষণ চিন্তাভাবনার পরে মনে পড়লো আমাদের শহরে নতুন একটি রেস্টুরেন্ট হয়েছে। যেখানে বিভিন্ন রকমের কাবাব আইটেম পাওয়া যায়। তবে সেই রেস্টুরেন্ট থেকে তখন পর্যন্ত খাওয়া হয়নি। যদিও রেস্টুরেন্টটার অবস্থান আমার খুব একটা পছন্দ না। তারপরেও কয়েকদিন আগে সেই রেস্টুরেন্টের রিভিউ দেখেছিলাম ফেসবুকে। তখন সিদ্ধান্ত নিলাম এই রেস্টুরেন্টে গিয়ে কোন একটা কাবাব খেয়ে আসি। সিদ্ধান্ত নিতেই রওনা দিলাম সেই রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে।
আমাদের শহরটি ছোট হওয়ায় আমাদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে খুব একটা বেশি সময় লাগে না। আর আমাদের বাসার অবস্থান শহরের প্রায় মাঝামাঝি জায়গায়। যার ফলে শহরের যে কোনো দিকে আমরা খুব তাড়াতাড়ি চলে যেতে পারি। মাত্র কয়েক মিনিটের ভেতরে পৌঁছে গেলাম সেই রেস্টুরেন্টে। রেস্টুরেন্টে পৌঁছে ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পেলাম ছোট্ট একটি জায়গা খুব সাধারণভাবে সাজিয়ে রেস্টুরেন্টটি তৈরি করা হয়েছে। সেখানে গিয়ে তাদের মেনু কার্ড দেখে চিকেন চাপ এবং লুচি অর্ডার করলাম। অর্ডার করার কিছুক্ষণ পরেই আমার সামনে খাবার চলে এলো। খাবারটা দেখেই আমার ভালো লাগলো। কারণ আমাদের শহরে এখন চিকেন চাপের নামে যেটা বিক্রি হয় সেটা আসলে চিকেন মাসালা। অরিজিনাল চিকেন চাপ আমাদের শহরে পাওয়া যায় না বললেই চলে।
যাই হোক গরম গরম চিকেন চাপ আর লুচি দেখে আর দেরি করতে পারলাম না। কয়েকটি ছবি তুলেই দ্রুত আমি খাওয়া শুরু করে দিলাম। চিকেন চাপটা ভেঙ্গে যখন মুখে দিলাম। মুখে দিতেই দারুন একটা স্বাদ পেলাম। কিছুদিন আগে আমি ঢাকার নাজিরা বাজারের বিখ্যাত কাবাব এর দোকান বিসমিল্লাহ কাবাব হাউস থেকে কাবাব খেয়েছিলাম। সেখানকার চিকেন চাপের সাথে আমাদের শহরের এই চিকেন চাপের অনেক মিল পেলাম। বুঝতে পারলাম এখানকার বাবুর্চি আসলেই বেশ ভালো কাবাব তৈরি করতে পারে। আমি ধীরে চাপ খেতে লাগলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ হতে খুব একটা বেশি সময় লাগেনি। তবে একটা জিনিস খেয়াল করে দেখলাম। সেখানে কাস্টমার হিসেবে যারা ছিলো তারা সবাই শহরের বাইরের লোকজন। যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী শহরের বাইরে থেকে আমাদের শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে এসেছে। যাইহোক খাওয়া-দাওয়া শেষ হলে আমি বিল মিটিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। আর মনে মনে পরিকল্পনা করলাম পরবর্তীতে আবার কোনো এক সময় এখানে পরিবারের লোকজনকে নিয়ে আসতে হবে। এই চিন্তা করতে করতে বাড়ি ফিরে গেলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। ভাই আপনার আজকের শেয়ার করা সন্ধ্যার রাস্তায় চিকেন চপ খাওয়ার বেশ দারণ একটা অনুভূতি শেয়ার করেছেন। আসলে ভাইয়া বাইরের খাবার খেতে আমারও তেমন একটা পছন্দ নয় তবে মাঝেমধ্যে খেতে হয় । তবে আপনি সেখানে গিয়ে চিকেন চাপ এবং লুচি অর্ডার দিলেন । আর এগুলো গরম গরম পাওয়া আপনার খাওয়ার আগ্রহী আরো বেড়ে গেল। তাই কয়েকটি ছবি তুলেই খেতে শুরু করলেন। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাইরের যেকোনো খাবার ঘরে তৈরি করে খাওয়া হলে ভালো হয়।কিন্তু ভাইয়া যে গরম পরেছে তাতে রান্না ঘরে যাওয়া খুব কষ্ট। তাই হয়তো বিকেলের নাস্তা তৈরি করতে যাওয়া কঠিন কাজ।তবে আমি নিজে বাইরের খাবার খাই না। তাই নিজের কথা আর সবার কথা ভেবেই মাঝে মাঝে নাস্তা আইটেম কিছু করি।যদিও আমাদের ঘরের সবাই বাইরের খাবার খেতে ভীষণ পছন্দ করে।শুধু আমিই করিনা।তারপরেও শহরে নতুন রেস্টুরেন্টে গিয়ে চিকেন চাপ আর লুচি খেয়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে। তবে বলতেই হয় খাবারটা ভালো ই ছিল।একদিন অবশ্য ই পরিবারের সবাইকে নিয়ে যাবেন।ধন্যবাদ সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
ইদানিং তো আমি একেবারে বাহিরের জিনিস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। বাহরের জিনিস গুলো বেশ ক্ষতিকর। তবে মাঝে মাঝে বেশ লোভ জাগে। যখন দেখি সবাই বসে বসে এমন সব লোভনীয় খাবার গুলো গিলে গিলে খাচ্ছে। এই যেমন আজও বেশ লোভ হচেছ কিন্তু ভাইয়া। যাক আপনার পোস্ট পড়ে তো মনে ভরে গেল। ধন্যবাদ এমন সুন্দর লোভনীয় একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনি যে বাইরে খেতে পছন্দ করেন এবং খাওয়া-দাওয়াই বেশ পটু তা আপনার পোস্ট দেখেই বুঝতে পারি ভাইয়া। সন্ধার নাস্তায় চিকেন চাপ খাওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে। পোস্টের ছবি গুলোও বরাবরের মত সুন্দর হয়েছে। এখন মফস্বল শহরেও বেশ ভালো মানের হোটেল-রেস্ট্রুরেণ্ট হচ্ছে। খাবারের মানও ভালো। আপনার আজকের লেখাটি ভালো লেগেছে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
চিকেন চাপ আর লুচি দেখে লোভনীয় লাগছে। খেতে নিশ্চয়ই অনেক ভালো ছিল। আপনি বাইরের খাওয়া দাওয়া বেশ পছন্দ করেন। বেশিরভাগ সময় বাইরে খাওয়া দাওয়ার মুহূর্তগুলো শেয়ার করেন। আমাদের বাসায় অবশ্য আম্মু সবসময় বাসায় সন্ধ্যার নাস্তা তৈরি করে। সেজন্য নাস্তায় বাইরের কিছু তেমন খাওয়া হয় না কখনো। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই। এতো সুযোগ সুবিধা থাকা সত্ত্বেও কিচেনে সহজে যেতে চায় না। তাছাড়া মাছ তো কাটতেই পারে না। বাজারে গিয়ে ছোট মাছ কিনলেও দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকে কাটিয়ে আনতে হয়। যাইহোক সন্ধ্যার সময় কিছু না খেলে আসলেই ভালো লাগে না। চিকেন চাপ এবং লুচি আমারও ভীষণ পছন্দ। চিকেন চাপ এবং লুচি দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুবই ইয়াম্মি লেগেছিল। বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
যে গরম পড়েছে রান্নাঘরে যাওয়াটাই আজকাল মুশকিল। এটা শুধু আপুর সমস্যা না আমাদের সবারই একই সমস্যা ভাইয়া🤣। যাইহোক ভাইয়া চিকেন চাপ খেতে ভালো ছিল জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।