পিঠা উৎসব ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ( চতুর্থ পর্ব)।
ছবিতে আপনারা যে পিঠাটা দেখতে পাচ্ছেন সেটার নাম দেখে আমার কাছে বেশ অবাক লেগেছে। পরবর্তীতে মনে হয়েছে আসলে এই পিঠার হয়তো অন্য কোন নাম আছে। শিক্ষার্থীরা মজা করে এই ধরনের নাম দিয়েছে। পিঠার সামনে তারা লিখে রেখেছে মোচড় পিঠা। আমি কখনো এই নামের কোন পিঠা দেখিনি। পিঠাটা দেখতে অনেকটা ডোনাটের মতো মনে হচ্ছিলো। আপনারা যদি কেউ এই পিঠাটার নাম জেনে থাকেন তাহলে কমেন্টে জানাবেন।
এখন আপনারা যে খাবারটির ছবি দেখতে পাচ্ছেন এটার নাম আমার মনে নেই। তবে খাবারটা দেখে অনেকটা মিষ্টি জাতীয় কোন খাবার মনে হচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ ভালই হবে। যদিও খাবারের চেহারা দেখে সবসময় সেটার স্বাদ অনুমান করা যায় না।
এই পিঠাটা আমাদের দেশে মোটামুটি বেশ প্রচলিত। তবে এই পিঠাটা আমি কখনো খেয়ে দেখিনি। অনেকেই দেখেছি খুব আগ্রহ নিয়ে পিঠাটা খায়। এই পিঠা অনেকটা সেমাই পিঠার মতো খেতে। যেহেতু এই পিঠাটা আমি খাই না তাই এটা সম্বন্ধে আমার খুব একটা ভালো ধারণাও নেই।
উপরের ছবিতে যে পিঠাটা দেখতে পাচ্ছেন সেটাও আমাদের বেশ পরিচিত একটা পিঠা। ভাপা পুলি পিঠা বেশিরভাগ মানুষই পছন্দ করে। এই পিঠাটা খেতে বেশ ভালো লাগে। একটা সময় আমিও এই পিঠা খেতাম। যদিও শহরাঞ্চলে থাকার কারণে এখন আর এইসব পিঠা হাতের কাছে খুব একটা পাওয়া যায় না। সে কারণে খাওয়াও হয় না।
উপরের ছবিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে খাবারটি সেটি আসলে মিষ্টি জাতীয় একটি খাবার। এই সন্দেশগুলো আমার বেশ পছন্দের। তবে অনেকে আছেন যারা গুড়ের সন্দেশ পছন্দ করেন। উপরের ছবিতে যে সন্দেশটা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেটা সম্ভবত চিনি দিয়ে তৈরি করা। সন্দেশের নিচে লেখা রয়েছে বরিশাল। তার মানে হচ্ছে এই সন্দেশ বরিশালের লোকজনের মতো করে তৈরি করা হয়েছে। সন্দেশটা দেখে আমার খেতে ইচ্ছা করছিলো। যদিও শেষ পর্যন্ত আর খাওয়া হয়নি।
এখন উপরে যেই খাবারটা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেটার নাম শাহী টুকরা। এটাও এক ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার। যদিও আগে এই ধরনের খাবার প্রচলন গ্রামাঞ্চলে ছিলো না। তবে এখন শাহী টুকরা বাংলাদেশের মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় একটা খাবারে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে নামিদামি সব রেস্তোরাঁতে এখন শাহী টুকরা পাওয়া যায়। খাবারটা খেতে কিন্তু বেশ মজা লাগে।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন পিঠা উৎসব ভ্রমণের অভিজ্ঞতার চতুর্থ পর্ব। আপনার লেখা পোস্টটি দেখে কয়েকদিন আগের স্মৃতি মনে পড়ে গেল আমাদের কলেজে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠান হয়েছিল। আসলে এই উৎসবে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করে বিভিন্ন নাম দিয়ে থাকে। আসলে পিঠা উৎসবে এসে পিঠা কিনে খেতে কিন্তু বেশ দারুন মজা লাগে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া পিঠা না খেললেও পিঠা উৎসবে যোগ দিতে ভালোই লাগে ।এখানে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। আপনার শেয়ার করা সবগুলোই পিঠা অনেক লভনীয় ।আমার সবথেকে সন্দেশ পিঠাটা বেশি ভালো লেগেছে। বাড়ির কাছে হলে যে একটা খেয়ে আসতাম। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া পিঠা উৎসবের ভ্রমণের চতুর্থ পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো। পিঠা উৎসবে গেলে বিভিন্ন ধরনের পিঠা দেখা যায়। শুধু দেখা যায় তা নয় খাওয়ারও আগ্ৰহ জাগে। আজকের পোস্ট থেকে আরও বেশ কিছু ইউনিক পিঠা দেখতে পেলাম। এই পিঠা গুলো আগে কখনো দেখা হয়নি আর প্রতিটা পিঠাই আমার কাছে ইউনিক লেগেছে। তাছাড়া এসব উৎসবে যখন সন্ধ্যার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সেটা বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনার মতো আমিও পিঠা খুব বেশি পছন্দ করি না। তবে হাতেগোনা কয়েকটি পিঠা অল্প অল্প করে খেয়ে থাকি। যাইহোক এই পর্বে বেশ আনকমন একটি পিঠা দেখতে পেলাম। মোচড় পিঠার নাম আমি আগে কখনোই শুনিনি, খাওয়া তো দূরের কথা। দেখতে তো একেবারে ডোনাটের মতোই লাগছে। শাহী টুকরা খেতে দারুণ লাগে। বিশেষ করে ব্যুফে রেস্টুরেন্টে গেলে শাহী টুকরা খাওয়া হয়। ডেজার্ট আইটেম হিসেবে শাহী টুকরা এখন বেশ জনপ্রিয়। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া পিঠা কম পছন্দ করলেও উৎসবে এটেন্ড করলে উৎসবমুখর সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করা যায়।কিছু নতুন আইটেম এর পিঠা দেখতে পেলাম আপনার পোস্টটির মাধ্যমে।ভালো লাগলো পোস্টটি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
পিঠাগুলোর উৎসব আসলেই অনেকটা আনন্দের হয়ে থাকে কেননা এই উৎসবের মাধ্যমে অনেক রকমের অজানা পিঠার নাম এবং সেগুলো সম্বন্ধে জানা যায়। প্রথমের মোচড় পিঠা, এই পিঠার নাম তো এই সর্বপ্রথম আমি শুনলাম এবং দেখলাম। ভাপা পুলি পিঠাটাও আমার পছন্দের একটি পিঠা এবং শাহী টুকরা এটিও আমার অনেক পছন্দের। সন্দেশটি দেখেও মনে হচ্ছে বরিশালের লোকজন অনেক সুন্দর করে সন্দেশ বানাতে পারে। সব মিলে ভাইয়া আজকের পোস্টটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।