পরিবার নিয়ে বাইরে ঘোরাফেরা কেনাকাটা ও খাওয়া-দাওয়ার অভিজ্ঞতা (প্রথম পর্ব)।
আমার স্ত্রী বলছিলো অনেকদিন হোলো বসুন্ধরা সিটিতে যাওয়া হয় না। তাই আমিও চিন্তা করলাম বসুন্ধরা সিটি থেকে পরিবার নিয়ে গিয়ে ঘুরে আসি। আর মেয়ের জন্য ঈদের জামা কাপড় কিনে আনি। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক একটি সিএনজি নিয়ে চলে গেলাম বসুন্ধরা সিটিতে। হাতিরঝিল হওয়ার কারণে বনশ্রী থেকে এখন খুব সহজেই পান্থপথ চলে যাওয়া যায়। তবে যেতে যেতে বেশ কিছুক্ষণ জ্যামে থাকার কারণে গরমে একেবারে ঘেমে একাকার হয়ে গিয়েছিলাম। যার ফলে বসুন্ধরা সিটিতে প্রবেশ করতেই দারুন স্বস্তি পেলাম। কারন আপনারা জানেন বসুন্ধরা সিটি পুরো মার্কেটটা সেন্ট্রালি এয়ার কন্ডিশনড করা।
দীর্ঘদিন পর বসুন্ধরা সিটিতে গিয়ে প্রথমে আমরা ঘুরে ফিরে দেখার সিদ্ধান্ত নিলাম। তবে দ্বিতীয় দোকানে ঢুকতেই সেখানে আমার স্ত্রীর একটি জামা পছন্দ হয়ে গেলো। আবার সেখানে দেখলাম বেশ ভালো ডিসকাউন্ট দিচ্ছে। তাই আমার স্ত্রী প্রথমে একটি জামা কেনার পর সেখান থেকে আরও একটি জামা কিনলো। তারপর আমি চিন্তা করে দেখলাম বোনের জন্য একটা জামা কিনে নেই। বোনের জন্য কেনার পরে বের হয়ে আসার সময় চিন্তা করলাম আমার ভাগ্নের জন্য ও একটা গেঞ্জি কিনি। তবে আমার মেয়ের জন্য সেখানে তেমন কিছু দেখতে পেলাম না। জেন্টেল পার্ক নামের সেই দোকান থেকে বের হয়ে আমরা মেয়ের জন্য জামা কাপড় দেখতে লাগলাম। দেখতে দেখতে দোতালায় গিয়ে একটি শোরুম থেকে আমার মেয়ের জন্য একটি জামা বেশ পছন্দ হোলো। তবে মেয়ে আবার সেই জামা পড়তে অস্বীকৃতি জানালো। তারপর তার পছন্দমত একটি জামা সেখান থেকে তাকে কিনে দিলাম।
মেয়ের জন্য কেনার পরে চিন্তা করতে লাগলাম যেহেতু সবার জন্য কেনাকাটা হয়েছে। তাই দুলাভাইয়ের জন্য ও একটা গেঞ্জি কিনি। তারপর আমি আমার বোনকে ফোন দিয়ে দুলাভাইয়ের গেঞ্জির সাইজ সম্বন্ধে একটা ধারণা নিলাম। তারপর ঘুরেফিরে দুলাভাইয়ের জন্য ও একটা গেঞ্জি কিনলাম। আমরা বাসা থেকে খেয়ে বের হয়েছিলাম। তাই আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম বসুন্ধরা সিটিতে ঘোরাফেরা শেষ হলে আমরা স্টার কাবাব এ গিয়ে কাচ্চি আর খাসির লেগ রোস্ট খাবো। তবে বসুন্ধরা সিটিতে ঘোরাফেরা করতে করতে আমাদের বেশ ক্ষুধা লেগে গিয়েছিলো। এদিকে অনেকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার করে বেশ ক্লান্ত ও লাগছিলো। তাই আমরা চিন্তা করলাম আট তলার ফুড কোর্টে গিয়ে হালকা কিছু খেয়ে নেই। এই পরিকল্পনা মাথায় আসার সাথেই আমরা রওনা দিলাম ৮ তলার উদ্দেশ্যে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
| ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @rupok |
| স্থান | ঢাকা |
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @rupok,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
ভাই আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে ভাইয়া পরিবারের সাথে ঘোরাফেরা কেনাকাটা ও খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্তগুলো অসাধারণ হয়ে থাকে। আপনি দেখছি খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। তবে বৌদি বলেছিল অনেকদিন বসুন্ধরাতে মার্কেট করতে যাওয়া হয়নি। তাই আপনিও রাজি হলেন এবং চলে গেলেন বসুন্ধরায়। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য। আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
এই গরমে আজিজ সুপার মার্কেটে না গিয়ে, বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে গিয়ে খুব ভালো করেছেন। কারণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মার্কেট ছাড়া, এই গরমে শপিং করতে গেলে অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। যাইহোক বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে ঘুরাঘুরি করে বেশ ভালোই কেনাকাটা করেছেন। বসুন্ধরা সিটিতে অনেকদিন হলো যাওয়া হচ্ছে না। আট তলার ফুড কোর্টে ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টে গিয়ে ইন্ডিয়ান খাবার টেস্ট করতে আমার খুব ভালো লাগে। যাইহোক সবমিলিয়ে পোস্টটি দেখে খুব ভালো লাগলো ভাই। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
বসুন্ধরা সিটি শপিং মলটা সত্যিই অনেক সুন্দর। বিভিন্ন কারনে অনেকবার যাওয়া হয়েছে। সবার জন্য কেনা কাটা করলেন শুনে ভালো লাগলো। এখন আট তলায় গিয়ে কি কি খেলেন,তার অনুভূতি শুনার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ।