ঐতিহ্যবাহী জসিম পল্লী মেলা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ( চতুর্থ পর্ব)।

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


আজ আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি জসিম পল্লী মেলা ভ্রমনের আরো একটি পোস্ট নিয়ে আমি আগেই বলেছি আমাদের শহরের এই মেলাটাতে প্রচুর দোকানপাট থাকে বেশ অনেকটা জায়গা জুড়ে মেলাটা অনুষ্ঠিত হয় সেখানে যে শুধু দোকানপাট থাকে তা নয় মেলায় একটি স্টেজ আছে যে স্টেজে মেলা চলাকালীন প্রতিদিন নানা রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় প্রতিবারই মেলায় গিয়ে সেখানে থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করা হয় তবে এবার আর সেটা করা হয়নি কারণ আগেই বলেছি অন্যান্য বার এই মেলায় মিনিমাম ২-৩ বার আসা হয় তবে এবার মাত্র একবারই মেলায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছিলো সে কারণেই এবারের মেলাটা ভালোভাবে উপভোগ করা হয়নি গতবার মেলায় বন্ধু-বান্ধবের সাথে এসেছিলাম একবার একবার গিয়েছিলাম এলাকার ভাই ব্রাদার দের সাথে সেবার বেশ মজা করে মেলায় ঘোরাফেরা করেছিলাম তবে এবার বিভিন্ন ঝামেলার কারণে আর সেটা সম্ভব হয়নি যাইহোক চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক আজকের ছবিগুলো

IMG_20240220_155057.jpg

প্রথমে ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একটি ভ্রাম্যমান খাবারের দোকান। এখানে যে খাবারটি দেখতে পাচ্ছেন আমাদের এলাকায় সেটাকে বলা হয় ভেলপুরী। হয়তো এই খাবারের অন্যান্য এলাকায় অন্য নাম থাকতে পারে। তবে এই ধরনের খাবার বাচ্চারা এবং মহিলারা সবচাইতে বেশি খায়। আমরা যখন মেলায় গিয়েছিলাম তখনও মেলায় খুব একটা বেশি লোক আসেনি। যার ফলে দোকানটা ফাঁকায় দেখা যাচ্ছে।

IMG_20240220_155303.jpg

এখন যে দোকানটি দেখতে পাচ্ছেন এটি বাংলাদেশের মেলার ভেতরে সবচাইতে পরিচিত দোকানগুলির একটি। এখানে যে খাবারগুলি পাওয়া যায় সেগুলো মেলার একটা অন্যতম আকর্ষণ। মেলায় আগত দর্শনার্থীরা প্রায় সকলেই এই ধরনের দোকান থেকে কিছু না কিছু খাবার কেনে। যদিও খাবারগুলো খোলা থাকার কারণে আমি সেখান থেকে কোনো কিছুই কিনিনি। তবে খাবারগুলো যদি ঢেকে রাখা থাকতো তাহলে আমিও সেখান থেকে নানা পদের কিছু খাবার কিনতাম।

IMG_20240220_155345.jpg

ছবিতে আপনারা একটি চটপটির দোকান দেখতে পাচ্ছেন। যদিও ব্যানারে লেখা রয়েছে ফরিদপুরের ফেমাস চটপটি। কিন্তু এই চটপটি ওয়ালার নাম আমি কোনদিনই শুনিনি। ফরিদপুরে যে কটা বিখ্যাত চটপটি বিক্রেতা আছে এই লোকের নাম তাদের ভেতরে নেই। এমনকি আমি কখনো তার নামও শুনিনি। শুধু মেলায় আগত দর্শনার্থীদের বোকা বানানোর জন্য ব্যানারে এই ধরনের কথায় লিখে রেখেছে। এই ধরনের স্টলের খাবারের মান হয় খুবই খারাপ।

IMG_20240220_155418.jpg

এখন আপনারা ছবিতে বাচ্চাদের খেলার দোকান দেখতে পাচ্ছেন। এই ধরনের দোকানের সামনে দিয়ে যখন বাচ্চারা যায় তখন তারা কিছু না কিছু কিনবেই। যদিও আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন মেলায় মাটির তৈরি বা কাঠের তৈরি খেলনার প্রচলন ছিলো বেশি। তবে এখন চাইনিজ প্লাস্টিকের খেলনায় মেলা ভরে গিয়েছে। এখন আর আগের মতো মাটির খেলনা বা কাঠের তৈরি খেলনার অতোটা কদর নেই।

IMG_20240220_155503.jpg

এখন আপনারা ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একজন ঝাল মুড়ি বা চানাচুর বিক্রেতা। এই ধরনের খাবারগুলো সকলের কাছেই প্রিয়। খেতেও দারুন লাগে। এই ধরনের খাবারের দোকানে সব সময় ভিড় লেগেই থাকে। যদিও আমরা যখন মেলায় গিয়েছিলাম তখনও মেলায় বেশি দর্শনার্থী না আসার কারণে দোকানটা মোটামুটি নিরিবিলি দেখা যাচ্ছে।

IMG_20240220_154939.jpg

ছবিটা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একজন কেক বিক্রেতাকে। এই কেকের বিশেষত্ব হচ্ছে আপনার সামনেই তারা ডিম দিয়ে কেক তৈরি করে দেবে। যদিও এই কেকটা খেতে আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগে না। আমি একবার খেয়েছিলাম সাদ ভালো না লাগার কারণে পরবর্তীতে আর কখনো খাওয়া হয়নি। তবে কেকগুলো দেখলে মনে হয় খেতে বেশ ভালো হবে। অনেকে অবশ্য বেশ আগ্রহ নিয়ে খায়।

IMG_20240220_154927.jpg

এখন আপনারা যে স্টলের ছবি দেখতে পাচ্ছেন এখানে কিছু বাচ্চাদের খেলনা আর মেয়েদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র দেখা যাচ্ছে। এই সমস্ত স্টল মেলায় খুবই কমন। বাংলাদেশের সব ধরনের মেলাতে এই ধরনের স্টল দেখা যায়। তবে এতে বেচাকেনা কিন্তু নেহায়েত মন্দ নয়। মহিলারা মেলায় এলে এই সমস্ত দোকান থেকে কিছু না কিছু কিনবেই।


আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Greetings!
Happy to see your post. you have elaborated things in a manner able way. Your style of writing is unmatched. You have used markdowns like a pro. It seems that you are a hard working. I hope I will see great posts in future. I am very impressed with your writing. I appreciate you.

Posted using SteemPro Mobile

 3 months ago 

আসলে এই ধরনের মেলায় বেশ কয়েকবার না গেলে ততোটা উপভোগ করা যায় না। কিন্তু সবসময় একাধিক বার যাওয়ার আসলে সুযোগ হয়ে উঠে না। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে ভাই। মেলায় গেলে আগে বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প দেখা যেতো। কিন্তু এখন প্লাস্টিকের জিনিসপত্রে ভরা থাকে মেলার অনেক গুলো দোকান। মেলার দর্শনার্থীদের আকর্ষণ বৃদ্ধি করার জন্যই মূলত ফেমাস চটপটি নামটা ব্যবহার করেছে। বাটপারি সব জায়গায় ভরে গিয়েছে। এই ডিম কেক গুলো আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে প্রথম বার খেয়েছিলাম এবং খেতেও দারুণ লেগেছিল। তবে আমাদের দেশে যেগুলো তৈরি করে,সেগুলো ততোটা স্বাদ লাগে না। সব মিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম ভাই। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 3 months ago 

প্রথমে কেকটা দেখে মনে হয়েছিলো খেতে ভালো হবে। তবে খাওয়ার পর ভালো লাগেনি।সেই কারণে পরবর্তীতে আর কখনো ডিমকেক খাওয়া হয়নি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 3 months ago 

জসিম পল্লী মেলা ভ্রমণের চতুর্থ পর্বে পড়ে বেশ ভালোই লাগলো ভাইয়া ৷ আসলে মেলায় দেখার মতো অনেক কিছু থাকে ৷ এবং সেটা যদি বড় মেলা হয় তাহলে তো কথাই নেই ৷ দোকান পাট বাদেও আরো অনেক কিছুই থাকে মেলায় ৷ জসিম পল্লী মেলার আপনার কাটানো আরো কিছু অনুভূতি এবং ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ এই পর্বের মাধ্যমে মেলার অনেক খাবারের দোকানপাট সম্পর্কে জানলাম এবং দেখলাম ৷ ভীষণ ভালো লাহলো ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ

Posted using SteemPro Mobile

 3 months ago 

ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.11
JST 0.030
BTC 67651.34
ETH 3798.05
USDT 1.00
SBD 3.53