ঐতিহ্যবাহী জসিম পল্লী মেলা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ( চতুর্থ পর্ব)।
প্রথমে ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একটি ভ্রাম্যমান খাবারের দোকান। এখানে যে খাবারটি দেখতে পাচ্ছেন আমাদের এলাকায় সেটাকে বলা হয় ভেলপুরী। হয়তো এই খাবারের অন্যান্য এলাকায় অন্য নাম থাকতে পারে। তবে এই ধরনের খাবার বাচ্চারা এবং মহিলারা সবচাইতে বেশি খায়। আমরা যখন মেলায় গিয়েছিলাম তখনও মেলায় খুব একটা বেশি লোক আসেনি। যার ফলে দোকানটা ফাঁকায় দেখা যাচ্ছে।
এখন যে দোকানটি দেখতে পাচ্ছেন এটি বাংলাদেশের মেলার ভেতরে সবচাইতে পরিচিত দোকানগুলির একটি। এখানে যে খাবারগুলি পাওয়া যায় সেগুলো মেলার একটা অন্যতম আকর্ষণ। মেলায় আগত দর্শনার্থীরা প্রায় সকলেই এই ধরনের দোকান থেকে কিছু না কিছু খাবার কেনে। যদিও খাবারগুলো খোলা থাকার কারণে আমি সেখান থেকে কোনো কিছুই কিনিনি। তবে খাবারগুলো যদি ঢেকে রাখা থাকতো তাহলে আমিও সেখান থেকে নানা পদের কিছু খাবার কিনতাম।
ছবিতে আপনারা একটি চটপটির দোকান দেখতে পাচ্ছেন। যদিও ব্যানারে লেখা রয়েছে ফরিদপুরের ফেমাস চটপটি। কিন্তু এই চটপটি ওয়ালার নাম আমি কোনদিনই শুনিনি। ফরিদপুরে যে কটা বিখ্যাত চটপটি বিক্রেতা আছে এই লোকের নাম তাদের ভেতরে নেই। এমনকি আমি কখনো তার নামও শুনিনি। শুধু মেলায় আগত দর্শনার্থীদের বোকা বানানোর জন্য ব্যানারে এই ধরনের কথায় লিখে রেখেছে। এই ধরনের স্টলের খাবারের মান হয় খুবই খারাপ।
এখন আপনারা ছবিতে বাচ্চাদের খেলার দোকান দেখতে পাচ্ছেন। এই ধরনের দোকানের সামনে দিয়ে যখন বাচ্চারা যায় তখন তারা কিছু না কিছু কিনবেই। যদিও আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন মেলায় মাটির তৈরি বা কাঠের তৈরি খেলনার প্রচলন ছিলো বেশি। তবে এখন চাইনিজ প্লাস্টিকের খেলনায় মেলা ভরে গিয়েছে। এখন আর আগের মতো মাটির খেলনা বা কাঠের তৈরি খেলনার অতোটা কদর নেই।
এখন আপনারা ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একজন ঝাল মুড়ি বা চানাচুর বিক্রেতা। এই ধরনের খাবারগুলো সকলের কাছেই প্রিয়। খেতেও দারুন লাগে। এই ধরনের খাবারের দোকানে সব সময় ভিড় লেগেই থাকে। যদিও আমরা যখন মেলায় গিয়েছিলাম তখনও মেলায় বেশি দর্শনার্থী না আসার কারণে দোকানটা মোটামুটি নিরিবিলি দেখা যাচ্ছে।
ছবিটা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একজন কেক বিক্রেতাকে। এই কেকের বিশেষত্ব হচ্ছে আপনার সামনেই তারা ডিম দিয়ে কেক তৈরি করে দেবে। যদিও এই কেকটা খেতে আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগে না। আমি একবার খেয়েছিলাম সাদ ভালো না লাগার কারণে পরবর্তীতে আর কখনো খাওয়া হয়নি। তবে কেকগুলো দেখলে মনে হয় খেতে বেশ ভালো হবে। অনেকে অবশ্য বেশ আগ্রহ নিয়ে খায়।
এখন আপনারা যে স্টলের ছবি দেখতে পাচ্ছেন এখানে কিছু বাচ্চাদের খেলনা আর মেয়েদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র দেখা যাচ্ছে। এই সমস্ত স্টল মেলায় খুবই কমন। বাংলাদেশের সব ধরনের মেলাতে এই ধরনের স্টল দেখা যায়। তবে এতে বেচাকেনা কিন্তু নেহায়েত মন্দ নয়। মহিলারা মেলায় এলে এই সমস্ত দোকান থেকে কিছু না কিছু কিনবেই।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Greetings!
Happy to see your post. you have elaborated things in a manner able way. Your style of writing is unmatched. You have used markdowns like a pro. It seems that you are a hard working. I hope I will see great posts in future. I am very impressed with your writing. I appreciate you.
আসলে এই ধরনের মেলায় বেশ কয়েকবার না গেলে ততোটা উপভোগ করা যায় না। কিন্তু সবসময় একাধিক বার যাওয়ার আসলে সুযোগ হয়ে উঠে না। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে ভাই। মেলায় গেলে আগে বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প দেখা যেতো। কিন্তু এখন প্লাস্টিকের জিনিসপত্রে ভরা থাকে মেলার অনেক গুলো দোকান। মেলার দর্শনার্থীদের আকর্ষণ বৃদ্ধি করার জন্যই মূলত ফেমাস চটপটি নামটা ব্যবহার করেছে। বাটপারি সব জায়গায় ভরে গিয়েছে। এই ডিম কেক গুলো আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে প্রথম বার খেয়েছিলাম এবং খেতেও দারুণ লেগেছিল। তবে আমাদের দেশে যেগুলো তৈরি করে,সেগুলো ততোটা স্বাদ লাগে না। সব মিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম ভাই। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথমে কেকটা দেখে মনে হয়েছিলো খেতে ভালো হবে। তবে খাওয়ার পর ভালো লাগেনি।সেই কারণে পরবর্তীতে আর কখনো ডিমকেক খাওয়া হয়নি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
জসিম পল্লী মেলা ভ্রমণের চতুর্থ পর্বে পড়ে বেশ ভালোই লাগলো ভাইয়া ৷ আসলে মেলায় দেখার মতো অনেক কিছু থাকে ৷ এবং সেটা যদি বড় মেলা হয় তাহলে তো কথাই নেই ৷ দোকান পাট বাদেও আরো অনেক কিছুই থাকে মেলায় ৷ জসিম পল্লী মেলার আপনার কাটানো আরো কিছু অনুভূতি এবং ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ এই পর্বের মাধ্যমে মেলার অনেক খাবারের দোকানপাট সম্পর্কে জানলাম এবং দেখলাম ৷ ভীষণ ভালো লাহলো ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য।