পরিবার নিয়ে বিমান বাহিনীর মিউজিয়াম ভ্রমণের অভিজ্ঞতা (প্রথম পর্ব)।
যেহেতু ঢাকার রাস্তায় অনেক জ্যাম থাকে এজন্য বাসা থেকে একটু তাড়াতাড়ি বের হয়েছিলাম। বেলা আড়াইটার দিকে আমরা বিমান বাহিনীর জাদুঘরের সামনে পৌঁছালাম। সেখানে পৌঁছে আমাদের চারজনের জন্য চারটা টিকেট কিনলাম। আমাদের সাথে আমার ভাগ্নেও ছিলো। তবে আমি অবাক হলাম যে আমার মেয়ে ছোট তার জন্যও টিকেট লাগবে এটা জেনে। যাইহোক টিকেট কাটা শেষ হলে আমি সবাইকে নিয়ে জাদুঘরে প্রবেশ করলাম। জাদুঘর বলতে কিন্তু এটা তেমন কোন জাদুঘর না যেমনটা আমরা সাধারণত দেখে থাকি। এখানে বেশ বড় একটি এরিয়ার মধ্যে একটি জাদুঘরের সাথে পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে।
মূল গেট দিয়ে ঢোকার পরে এর সামনের অংশটা এবং হাতের বা পাশের বেশ কিছুটা অংশে বিভিন্ন রকমের বিমান বাহিনীর ব্যবহৃত প্লেন হেলিকপ্টার আরো বেশ কিছু জিনিসপত্র সাজিয়ে রাখা হয়েছে দর্শনার্থীদের দেখার জন্য। আর হাতের বায়ে কিছুটা এগিয়ে গেলে সেখানে বাচ্চাদের জন্য একটি পার্কের মতো ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকা শহরে এমনিতে মানুষজনের খোলামেলা জায়গায় সময় কাটানোর মতো খুব বেশি জায়গা নেই। তবে এই পার্কটি আগারগাঁও এলাকার লোকজনের সময় কাটানোর জন্য বেশ ভালো একটা জায়গা বলে আমার মনে হোলো। অবশ্য শুধু আগারগাও না ভিতরে ঢুকে দেখলাম দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এসেছে সেখানে ঘুরেফিরে দেখতে। কারণ সাধারণ মানুষের পক্ষে প্লেন হেলিকপ্টার এগুলো কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য খুব একটা হয় না। তবে এই জাদুঘরে এলে আপনি পুরাতন অনেক বিমান হেলিকপ্টার একেবারে কাছ থেকে দেখতে পারবেন। সেই সাথে কিছু বিমান এবং হেলিকপ্টারের ভিতরেও ওঠার ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও তার জন্য আলাদা করে টিকিট কাটতে হয়। অবশ্য টিকেটগুলোর দাম খুব একটা বেশি না।
আমরা প্রথমে সেখানে প্রবেশ করে বিভিন্ন বিমান এবং হেলিকপ্টার গুলো ঘুরে ফিরে দেখতে লাগলাম। আমার মেয়ে এবং ভাগ্নে দুজনে এত কাছ থেকে বিমান এবং হেলিকপ্টার দেখতে পেয়ে তো বেশ খুশি হয়েছিলো। তবে জাদুঘরে রাখা সবগুলো বিমানই ছিলো অনেক পুরাতন। আমরা ঘুরেফিরে বিমানগুলো দেখতে লাগলাম। সেখানে কিছু ফাইটার প্লেনও ছিলো। আবার কিছু ট্রেনার এয়ারক্রাফ্ট ছিলো। আর সাথে ছিলো বেশ কিছু হেলিকপ্টার। আমরা বিমান এবং হেলিকপ্টার গুলি দেখছিলাম আর সেগুলির পাশে লেখা সে বিমান এবং হেলিকপ্টার গুলোর তথ্য পড়ছিলাম। কোন বিমান কোন দেশের তৈরি সেটা কি কাজে ব্যবহৃত হতো কোনটা কেমন যুদ্ধাস্ত্র বহনের সক্ষমতা ছিলো সেগুলো একটি বোর্ডে লেখা ছিলো বিমান গুলির সামনে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া বিমান জাদুঘরে আমার একবার যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। বিশাল এলাকা জুড়ে জাদুঘরটি তৈরি করা হয়েছে। জাদুঘরের বেশিরভাগ জায়গায় বিমান বাহিনীর বিমান রাখা আছে। এছাড়াও ফাইটার প্লেন এবং কিছু ট্রেনার এয়ারক্রাফ্ট রাখা আছে। বাচ্চারা দেখলে বেশ আনন্দিত হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া বিমান বাহিনী জাদুঘরে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বিমান বাহিনী জাদুঘর আসলে বাচ্চাদের জন্য বেশ মজার অভিজ্ঞতা। কারণ বিমান সাধারণত বাচ্চারা আকাশে দেখে ছোট্ট সাইজের। সেই বিমান ই যে আসলে বেশ বড়, এবং এটা সামনা-সামনি দেখার অভিজ্ঞতা বাচ্চাদের ভালোই লাগার কথা বলে আমার ধারণা। তবে এর থেকেঅ বেশি মজা নিশ্চয়ই রাইড গুলোতে করেছে বলে আশা করি। তবে পুরোটা জানতে হলে সামনের পোস্ট পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকলাম ভাই।
কিছুদিন আগে একটি কাজে ঢাকা এসেছিলেন জেনেছি পোস্টে।তখন পরিবার নিয়ে বিমান বাহিনীর যাদুঘরে গিয়েছিলেন জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। সত্যিই ভাইয়া এই যাদুঘরটি অনেক বড় এরিয়া নিয়ে তৈরি করা হয়েছে।সবাই খুব সুন্দরভাবে ঘুরে ঘুরে দেখলেন।আশাকরি পরের পর্বে আরো কিছু দেখতে পাবো।আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দারুন লেগেছে।ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
এবার ঢাকা আসার পর তো আপনার বন্ধুদের নিয়ে, পুরান ঢাকার দিকে বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন এবং মজার মজার খাবার খেয়েছেন। যাইহোক পরিবার নিয়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘরে ঘুরতে গিয়েছিলেন,এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। অনেক আগে গিয়েছিলাম সেখানে। সেখানে গেলে অনেক পুরাতন প্লেন এবং হেলিকপ্টার দেখা যায়। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পরিবারের সবাইকে নিয়ে বিমান বাহিনীর মিউজিয়াম ভ্রমণের গিয়েছে জেনে বেশ ভালো লাগলো। আসলে সবাইকে নিয়ে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করার অনুভূতি বেশ দুর্দান্ত হয়ে থাকে। বিমান বাহিনীর মিউজিয়ামে নিয়ে অনেক কিছুই উপভোগ করেছেন। মিউজিয়ামে গেলে ছোটরা বেশ আনন্দ উপভোগ করে। পরিবার নিয়ে বিমান বাহিনীর মিউজিয়াম ভ্রমণের অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।